মালামাল লুট
ময়মনসিংহে মার্কেট মালিকের বিরুদ্ধে মোবাইলের দোকান থেকে মালামাল লুটের মামলা
ময়মনসিংহ শহরের একটি মোবাইলের দোকান থেকে সম্প্রতি মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা করেছেন একজন ব্যবসায়ী।
কোতোয়ালি মডেল থানা মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে মামলাটি গ্রহণ করে।
গত ২০ জুন মালামাল লুটের ঘটনার পর মামলা করতে গেলেও শুরুতে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আতিকুর রহমান খান।
এ ব্যবসায়ীর ভাষ্য, হারুন টাওয়ার নামের যে মার্কেটে তার দোকান, সেখানকার মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের প্রভাবে এতদিন মামলা নেয়নি কোতোয়ালি মডেল থানা।
কী আছে মামলার এজাহারে
আতিকুর রহমান খান কোতোয়ালি মডেল থানায় মার্কেট মালিক হারুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিকুর ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ শহরের ৭ নম্বর সি কে ঘোষ রোডে হারুন টাওয়ারের নিচ তলায় ‘সাঈম টেলিকম’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তিনি আট লাখ টাকায় ৫ নম্বর দোকানটির পজেশন কেনেন। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেন।
আরও পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
এতে বলা হয়, ১৮ জুন মার্কেট মালিক হারুন জানান, ১৯ জুন হারুন টাওয়ারের নিচতলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সে কথা অনুযায়ী তিনি দোকানটি বন্ধ রাখেন। পরবর্তী সময়ে ১৯ জুন তিনি জানতে পারেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মার্কেটে গিয়ে হারুনের দেখানো মতে ১৩টি দোকানের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু দেখেন।
ব্যবসায়ীর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উচ্ছেদের বিষয়ে হারুনের সঙ্গে কথা বললে তাকে জানানো হয়, যারা নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছেন, তাদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে না এবং তিনি যেন বাড়িতে চলে যান। সে কথা অনুযায়ী তিনি বাড়িতে চলে যান, কিন্তু পরের দিন ২০ জুন মাগরিবের নামাজের পর তিনি খবর পান, হারুনসহ অভিযুক্তরা তার দোকানের সব মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে তিনি মার্কেটের সামনে গিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে দেখেন।
তার অভিযোগ, মার্কেটের সামনের কলাপসিবল গেটের তালা বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কর্ণপাত করেননি অভিযুক্তরা। তারা গেটও খোলেননি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা দোকান মালিককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলেন।
আতিকুর রহমান খান উল্লেখ করেন, ২০ জুন বিকাল ৩টা থেকে তার দোকানের শাটার, সাইনবোর্ড ও আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মালামাল নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এসব পরিস্থিতি দেখে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
দোকান থেকে মোবাইল, এক্সেসরিজ, আসবাবপত্রসহ মোট ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৩ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ করেন স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান খান।
এ ছাড়া হারুনসহ অন্যরা দোকান ভাড়া পরিশোধের রসিদ, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন এ ব্যবাসয়ী।
জানতে চাইলে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার কথা শুনেছি। একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
১৬২ দিন আগে
পটুয়াখালীতে হাত-পা ও মুখ বেঁধে গৃহবধূকে হত্যা, মালামাল লুট
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে শাহনাজ পারভীন লাকি (৫০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। এ সময় ঘরে থাকা বেশ কিছু আসবাবপত্র ভাংচুর ও মালামাল লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও ওই ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি লুটপাটের ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ তার ঘরে একা ঘুমিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে তার দেবর শাহআলম বাড়িটিতে গিয়ে পেছনের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ঘরে ঢুকে পারভীন লাকির হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে আশপাশের স্থানীয়দের জড়ো করেন। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে খবর দেয়।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এটি ডাকাতি নাকি চুরি সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
৩১৮ দিন আগে
সাভারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট
সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ কোটি টাকার জিনিসপত্র লুটে নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাত ৪টার দিকে উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের নিশিচিন্তপুর এলাকার মান্নান মোল্ল্যার বাড়িতে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতি হওয়া বাড়ির মালিক মান্নান জানান,ভোরে দোতলা ডুপ্লেক্স বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে একদল মুখোশধারী ডাকাত প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে রুমে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করেন। এসময় তারা বাড়ির আলমারী ভেঙে নগদ ২৮ লক্ষ টাকা ৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি
এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলী জানান, ডাকাতদল পালিয়ে যাবার সময় তাদের ১০ থেকে ১২জনকে দৌড়ে বাড়ির দক্ষিণ দিকে যেতে দেখেছেন এবং চিৎকার করেছেন।
সকালে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন,ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডাকাতিকালে এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে আহত ২
৬৮৩ দিন আগে
নড়াইলে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট
নড়াইলে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. হাসানুজ্জামানের বাসায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার গভীর রাত পৌনে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তার বাসার গ্রিল কেটে ডাকাতদল ডাকাতি করে।
মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘রাত ৪টার সময় ৮/১০ জনের ডাকাতদল আমার বাসায় ঢুকে আমার ও আমার স্ত্রীর হাত পা বেধে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা,ডলার, বিদেশি ঘড়ি, বন্ধুক,পিস্তল ও গুলি নিয়ে যায়। এতে আমার আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ডাকাতদের মুখে মুখোশ ও মাস্ক পরা ছিলো। তাদের ভাষা আমাদের এলাকার আঞ্চলিক ভাষা।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (ক্রাইম) মো. কামররুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
আমরা আশা করছি অচিরেই ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
আরও পড়ুন: পণ্যের বাজার, সরবরাহ চেইন নিয়ন্ত্রণ করে টাকা লুটপাট করছে আ.লীগ সিন্ডিকেট: বিএনপি
সরকার জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য পাতাল রেল প্রকল্প শুরু করেছে: বিএনপি
১০১৯ দিন আগে
রাজধানীতে দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখেরও বেশি টাকার মালামাল লুট
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোরে মেসার্স হারুণ টায়ার এন্ড ব্যাটারি এন্টারপ্রাইজ নামের দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
লুটকারীরা এ সময় প্রায় ১০ লাখেরও বেশি টাকার মালামাল লুট করে। এই ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীর ছুরিকাঘাতে গৃহবধূ খুন
জানতে চাইলে মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। তদন্তকারী দল সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে লুটকারীদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
সিসি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার ভোর তিনটা ৩৫ মিনিটের দিকে লুটকারীরা দোকানের সার্টার ভেঙ্গে প্রবেশ করে। প্রায় আধঘন্টা ধরে তারা দোকানে বিভিন্ন সরঞ্জাম একটি সাদা রংয়ের পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চলে নিয়ে যায়।
দোকানের ম্যানেজার বাহার উদ্দিন জসিম জানান, প্রায় ৫০ পিস বিভিন্ন ধরন ও সাইজের টায়ার, ৬ পিস ব্যাটারি, ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ তিন লাখ ৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোরের সংঘবদ্ধ দলটি।
গত এক মাসে রাজধানীর বারিধারা ও বনশ্রী এলাকার টায়ার ও ব্যাটারির দোকান থেকে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর উত্তরা থেকে মহাখালী পর্যন্ত যানজট, যাত্রী দুর্ভোগ চরমে
রাজধানীতে দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ২
১১৭৮ দিন আগে
বাগেরহাটে বাড়িতে ঢুকে অচেতন করে মালামাল লুট
বাগেরহাট, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ইউএনবি)-চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী গ্রামে বাবু মণ্ডলের বাড়িতে রবিবার রাতে দুর্বৃত্তরা নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে অচেতন করে বাড়ির মালামাল লুট করে নিয়েছে।
২১১১ দিন আগে