ফাঁকা ঢাকা
ঈদের ছুটিতেও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি
ঈদুল আজহায় এবার টানা ১০দিন ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে নিজ বাড়িতে ঈদ কাটাতে গেছেন অনেকে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন ঢাকায় মানুষজন অনেক কম। তাছাড়া, যানবাহনও কম। তবে কম মানুষ কিংবা কম যানবাহনের ধোঁয়াও ঢাকার বাতাসের মানে তেমন পরিবর্তন আনতে পারেনি।
রবিবার (৮ জুন) ঈদের দ্বিতীয় দিনে অনেকটা ফাঁকা ঢাকার বাতাস সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১১টা ২৮ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৩০, এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৫ম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। তাই ঢাকায় অবস্থানরত সংবেদনশীলরা রয়েছেন ঝুঁকিতে।
প্রথমত, ঢাকায় মানুষ কম এখন, যান চলাচলও নেই তেমন। আবার মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতও হয়েছে টানা কয়েকদিন। তা সত্ত্বেও বাতাসের মানের অবনতি নিয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ১৬৬ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট। শহর দুটির স্কোর ১৫৩ ও ১৪৫।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, আর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রার মধ্যে কেমন থাকবে দেশের আবহাওয়া
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৮০ দিন আগে
ফাঁকা ঢাকায় ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাধারণ জনগণ এবার স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকায় কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারের বিভিন্ন জনমুখী উদ্যোগ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে জনগণ এবার স্বস্তিতে ঈদযাত্রা করতে পারছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে ও ভালোভাবে ঈদযাত্রা করতে পারেন এবং ঈদ শেষে নিরাপদে ঢাকায় ফিরে আসতে পারে।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজধানীর নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সবাই ছুটি ভোগ করছেন। কিন্তু পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কিন্তু ছুটিতে যাচ্ছে না।’
‘রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন সুসংহত থাকে- সে লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য তারা ধন্যবাদ প্রাপ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’
ফাঁকা ঢাকায় কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘মহান আল্লাহর রহমতে এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি নাই।’
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ স্মৃতিসৌধে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোনো ষড়যন্ত্রের হুমকি থাকে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো। জনগণ সাথে থাকলে ও মোকাবিলা করলে কেউ কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।’
পরিদর্শনকালে রাজধানীর বাস টার্মিনাল, প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্ট যানজটমুক্ত রাখতে ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। তাছাড়া তিনি নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়ের কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন।
২৫১ দিন আগে