আলী রিয়াজ
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান আলী রীয়াজের
দেশের ও জাতির স্বার্থে সংস্কার বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, জাতীয় সনদ তৈরিতে সবার পক্ষ থেকে ছাড় দিতে হবে। এমনটি হলে জুলাই আন্দোলনের মতো সনদ তৈরিতেও ঐকমত্যে পৌঁছা সম্ভব বলে আশা করা যায়।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ষষ্ঠ দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আমরা অগ্রগতির একদম শেষে, ক্ষেত্র বিশেষে আলোচনা অগ্রগতি কতটুকু, মত পার্থক্য আছে, তার পরেও আমরা আলোচনা করছি। এটার একটা ইতিবাচক দিক যে, বিভিন্ন সময়ে আনুষ্ঠানিক অনানুষ্ঠানিক এই প্রক্রিয়াকে অগ্রসর করার জন্য আপনারা সকলেই বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছেন।’
তিনি বলেন, ‘বহু প্রাণের বিনিময়ে আমরা এখানে এসেছি, একদিনের সংগ্রামে আসিনি। ১৬ বছর ধরে অব্যাহত সংগ্রাম, ৫৩ বছর ধরে বিভিন্নভাবে গ্রণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম, একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম তারই একটা পর্যায়ে আমরা এখানে বসতে পেরেছি। ফলে রাষ্ট্রের স্বার্থ জাতির স্বার্থকে বুকে রেখে সকলে মিলে আমরা যেন অগ্রসর হতে পারি সেটা বিবেচনা করবেন।’
অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে মীমাংসায় আসতে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি, আপনাদের খানিকটা ছাড় দিতে হবে, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকেও আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি যে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন সংশোধনের মধ্য দিয়ে আমরা ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বা জাতীয় ঐকমত্যে পৌছতে পারব।’
‘সকলে আন্তরিক বলে সংস্কার চাইছেন, সকলেই জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র চাইছেন, সকলেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাটার কথা বলেছেন, সেই জায়গায় যেন আমরা পৌঁছাতে পারি সেই প্রত্যাশা করছি।’
বুধবারের আলোচ্যসূচিতে ছিল— রাষ্ট্রের মূলনীতি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পদ্ধতি, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল-এনসিসি গঠন কাঠামো, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি ও নারী প্রতিনিধিত্ব।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা আজকের সংলাপে অংশগ্রহণ করেছে। এ সময় প্রস্তাবিত সংস্কারের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান উপস্থাপন করেন দলগুলোর প্রতিনিধিরা।
এর আগে, গত ২ জুন দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মুহাম্মদ ইউনুস।
তার আগে, চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এরপর ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে কমিশন। সেখানে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোট অংশ নেয়। এই দফার সংলাপ শেষ হয় ১৯ মে।
দ্বিতীয় পর্বের সংলাপ শেষে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন আগামী মাসে একটি সংস্কার রূপরেখা, ও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করে ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শুরু
১৬৩ দিন আগে
সংসদে ১০০ সংরক্ষিত নারী আসনে একমত বেশিরভাগ দল: আলী রীয়াজ
আগামী সংসদ নির্বাচনে ১০০ নারী সদস্যের সংরক্ষিত আসনের ব্যাপারে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘নারী আসন নিয়ে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল বাদে কারও কোনো দ্বিমত নেই। তবে কোন পদ্ধতিতে সংরক্ষিত আসনে নারীরা সংসদে আসবেন; সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে।’
‘নারী আসনের পদ্ধতি নিয়ে সারাদিন আলোচনা শেষে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি। একদিনে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে সেটি আশা করাও ভুল। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে,’ যোগ করেন তিনি।
সংবিধানের ৭০নং অনুচ্ছেদে প্রায় সবকটি রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। এ ব্যাপারে অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট বাদে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রকাশে সবাই সম্মত বলে জানান আলী রিয়াজ।
এছাড়া সংসদের স্থায়ী কমিটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট, প্রিভিলেজ, ইস্টিমেশন এবং পাবলিক আন্ডারটেকিং কমিটির সভাপতি পদ বিরোধী দল থেকে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতের ভিত্তিতে বিরোধী দলকে সুযোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে সবাই একমত বলে জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রায় সবকটি দল সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষপাতী। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বিচারপতি নিয়োগ হবে সেই পদ্ধতিগত পরিবর্তন নিয়ে দ্বিমত আছে। এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।’
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় অনেক দল নীতিগতভাবে এখনো একমত না উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। উচ্চকক্ষে ১০০ আসন দেওয়ার ব্যাপারেও আলাপ হয়েছে দলগুলোর সঙ্গে।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণ অধিকার পরিষদের পক্ষপাতের অভিযোগের ব্যাপারে রিয়াজ জানান, ‘যথাসম্ভব নিরপেক্ষ থেকে কমিশন সব রাজনৈতিক দল নিয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমতে আসার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত: আলী রিয়াজ
১৭১ দিন আগে
জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত: আলী রিয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্তের লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আলী রিয়াজ বলেন, ‘হয়তো সব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল একমত হবে না। কিন্তু সবাইকেই ছাড় দেওয়ার মনোভাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
ঈদের আগে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু হলেও মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মূল আলোচনা শুরু করেছে কমিশন।
বিএনপি-এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধাপের আলোচনা চলছে। এতে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে রয়েছে, সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আলী রিয়াজ জানিয়েছেন, এখন থেকে টানা তিন দিন আলোচনা চলবে। এরপরেও আলোচনা অব্যাহত থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলো রাজি থাকলে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও আলোচনা করতে রাজি কমিশন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াত
১৭১ দিন আগে
ভবিষ্যতে অধিকার আদায়ে তরুণদের যেন আর প্রাণ দিতে না হয়: আলী রিয়াজ
এদেশের জনগণকে বা তরুণ প্রজন্মকে যেন অধিকার আদায়ে আর কখনো প্রাণ দিতে না হয়, সে কারণে কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি আদর্শ জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এমন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সবার চাওয়া— যেখানে নাগরিক অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ থাকবে, একটি জবাদিহিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকবে। একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হন বা যা-ই হন না কেন তিনি যেন ক্ষমতার উর্ধ্বে বা ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হয়ে না যান।’
আলী রিয়াজ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম সেভাবেই পরিবর্তনের ধারা সূচনা করতে হবে। কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে এমন একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে, যেখানে ভবিষ্যত প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ জায়গা বলে বিবেচনা করতে পারে। এদেশের জনগণকে বা তরুণ প্রজন্মকে যেন আর কখনো তার অধিকার আদায়ের জন্য প্রাণ দিতে না হয়।’
এ সময় সবার ঐকমত্যে ভবিষ্যত বাংলাদেশের একটি পথরেখা তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা অর্জনের চেষ্টা করছি: আলী রীয়াজ
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই একমত হয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরির চেষ্টা করছি, যেটি ভবিষ্যত বাংলাদেশের পথরেখা নির্দেশ করবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে কমিশন অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া লক্ষ্য অর্জন করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ও জনগণকে ঐক্যের জায়গায় পৌঁছাতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনায় ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু'র নেতৃত্বে দলটির মহাসচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুল কাদের, পারভীন নাসের খান ভাসানী এবং আমিনুল ইসলাম সেলিমসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: দলগুলোর সাথে ১৫ মের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করব: আলী রীয়াজ
ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ভাসানী অনুসারী পরিষদসহ এ পর্যন্ত ২৭ টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
২১১ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা মেনেই আলোচনা হচ্ছে: আলী রিয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি জানান, ইতোমধ্যে যেসব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেকটা বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সংসদ ভবনের এলডি হলে পাঁচ কমিশনের দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের ওপর মতামত নিতে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো আলোচনার বসার আগে এসব কথা বলেন আলী রিয়াজ।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরও পড়ুন: এলডিপিকে দিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ঐকমত্য কমিশন বা সংশ্লিষ্ট কমিশন থেকে যেসব সুপারিশ পাঠানো হয়েছে, তার মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে মতের ভিন্নতাও রয়েছে।’
তবে যেসব বিষয়ে মতভিন্নতা আছে তার অনেকগুলো বিষয়ে তাদের নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনা করবেন এবং আমাদের জানাবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণে রয়েছি। সুপারিশমালার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেবল এই টেবিল থেকে হতে পারে না। কারণ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর নীতিনির্ধারকেরা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণ করবেন।’
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের হয়ে আজ (মঙ্গলবার) আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
এর আগে, এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি। পরে রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সংলাপে যোগ দেয় দলটি।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন হবে: আলী রীয়াজ
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫ টি দল মতামত দিয়েছে।
এ পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শেষ করেছে ঐকমত্য কমিশন।
২২৭ দিন আগে