পুনর্বাসন
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পুনর্বাসন শুরু তামিম ইকবালের
বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবাল এই বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন বিশ্বকাপের আগে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসার লক্ষ্য নিয়ে তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বুধবার সকালে তামিম শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন এবং ইনজুরি থেকে পুনরুদ্ধারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তার পুনর্বাসন শুরু করেন।
দীর্ঘ সময়ের জন্য পিঠের ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করার কারণে এই মাসের শেষের দিকে এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ক্রিকেটার হাসান মাহমুদ
এ ছাড়া বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজেও তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইনজুরি ও পরবর্তী অস্বস্তিকর পরিস্থিতি গত মাসে তামিমকে হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে বাধ্য করেছিল।
যাইহোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের পর তামিম তার অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। এ ছাড়া টাইগারদের জন্য তার প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।
দুর্ভাগ্যবশত চোট আগের মতোই আবার দেখা দিয়েছে এবং তাকে বাংলাদেশের ওডিআই অধিনায়কত্ব থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।
অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান বিশ্বকাপের আগে তামিমের ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তামিম নিজেই বড় ধরনের ক্রিকেট ইভেন্টের আগে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
অধিনায়কত্ব ত্যাগের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করার সময় তামিম বলেন, আমি ইচ্ছা করলে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ করতে পারতাম। তবে সেটা দলের খরচে আত্মকেন্দ্রিক হতো।
তিনি আরও বলেন, দলের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে আমি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ জিতবে: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সুদানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সুদান থেকে ৭ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনার জন্য এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
ক) যেসকল কর্মী দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা, সহ-জামানতে পাঁচ লাখ টাকা এবং জামানতসহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া হবে।
খ) সুদানফেরত যেসব কর্মী পুনরায় বিদেশ যেতে চান, প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসাপেক্ষে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পছন্দের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ করে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য যেসব দেশে কর্মী পাঠায়, সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের নেওয়া হবে।
গ) আগ্রহী কর্মীদের বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়ন/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ/কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সুদানফেরত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড/সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের (ডিএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রত্যাগত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এ ব্যাপারে সুদানফেরত সকলকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রত্যাগত কর্মীদের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডিএমও) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডিএমও-এর ঠিকানা www.bmet.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি, বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে ইউএনএইচসিআরের সুপারিশ বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য তারা জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) সুপারিশ বিবেচনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর-এর সহযোগিতায় ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, এই প্রোগ্রামটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের বিস্তৃত প্রতিক্রিয়ার একটি উপাদান, যেখানে প্রধান ফোকাস রোহিঙ্গাদের স্বদেশে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা। যা বিশ্বব্যাপী মার্কিন রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের অংশ হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘বার্মার সামরিক বাহিনীর হাতে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত এবং আমরা বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলে বার্মা থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এক দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছি।’
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনা এবং এই নৃশংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহায়তা চায় ইউএনএইচসিআর
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন একটি অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতি সংকটের মুখে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী নেতৃত্বকে প্রতিফলিত করে। কারণ বিশ্বজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও অস্থিতিশীলতা থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে ইউএনএইচসিআরের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
বন্যার্তদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা বন্যার্তদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করছি। খবরের কাগজে দেখেছেন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষ কীভাবে অমানবিক জীবনযাপন করছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে বিপর্যয়কর বন্যা মোকাবিলা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।’
মঙ্গলবার এক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি নেতা আরও বলেন, সরকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসেনি।
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে তারা (সরকার) অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিল। জনগণের ভোটের সরকার যদি না হয় তাহলে জনগণের কষ্ট, জনগণের দুঃখ প্রাধান্য পায় না, পায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থ।’
সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দ্য ইস্যু অব ওয়াটার শেয়ারিং বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শিরোনামে এ অলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দেশে ভয়াবহ বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সরকার এখন পর্যন্ত হিসাব করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: আ’ লীগ সরকার জনগণের শত্রু হয়ে উঠেছে: ফখরুল
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়।
তিনি বলেন, জয়েন্ট রিভার কমিশনের কোনো রিপোর্ট ছাড়াই বৈঠকে মন্ত্রী শুধু লিপ সার্ভিস দিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের অনেক এলাকা যখন বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছিল, তখনও ভারত ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা উজান থেকে পানিতে ডুবে থাকি যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয় না। আমাদের জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য যখন পানির প্রয়োজন হয়, তখন উজানের পানি অন্য অঞ্চলে (ভারতের) প্রবাহিত করে বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, যমুনা নদীর ওপর একটি বড় সেতু নির্মাণ করা হলেও এখন শুষ্ক মৌসুমে সেতুর নিচে গরুর গাড়ি চলে। ‘ভারতে ব্যারেজ এবং বাঁধের জন্য এটি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ভারতের সাধারণ নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহারের কারণে বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী তাদের গভীরতা ও প্রস্থ হারাচ্ছে, যার ফলে বর্ষাকালে বন্যা হয়।
মোশাররফ অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এবং অন্যান্য অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য অংশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে উৎসব করছে সরকার: অভিযোগ ফখরুলের
সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় বন্যার্তরা ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে: বিএনপি
পুনর্বাসনে কুয়াকাটার ২২ জেলে পরিবারের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিনা নোটিশে পুনর্বাসন ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও পুর্নবাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কুয়াকাটার ২২ জেলে পরিবার। তারা পুনর্বাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। শনিবার সকাল ১১ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গঙ্গামতি খালগোড়া এলাকার ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্য মো. সালাম মুসুল্লীর পক্ষে মো. শহিদুল ইসলাম শাহীন।
লিখিত বক্তব্যে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘর ভাংচুর, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
আরও পড়ুন: পল্লী এলাকার সড়ক পুনর্বাসনে বড় ধরনের প্রকল্প নিল সরকার
প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, বিগত প্রায় ৪০ বছর বসবাসকারী জেলে পরিবারদের স্থায়ী বসবাসের কাগজপত্র তৈরি করে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে মনগড়া সিদ্ধান্তে বাৎসরিক ৫০০ টাকা কখনও এক হাজার আবার দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করেন কুয়াকাটা গঙ্গামতি বন বিভাগের কর্মকর্তারা। বিগত ১০ বছর ধরে বছরে দুই হাজার টাকা করে দিয়ে আসলেও এবছর ১০ হাজার টাকা দাবি করা নিয়ে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেনের সাথে ঝামেলা হয়।
এ ব্যাপারে বিট অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন জেলেদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বনের অভ্যন্তরে ঘরবাড়ি উচ্ছেদে কোন আগাম নোটিশের প্রয়োজন নেই। তবে টাকা নেয়ার বিষয় নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
গঙ্গামতি গোড়াখালে বসবাসরত জেলে পরিবারের পুনর্বাসন, উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ ও আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে ইতোমধ্যেই একাধিকবার মানববন্ধন করাসহ স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে সহায়তা করুন: প্রধানমন্ত্রী
জেলে পরিবারের দাবি, বন বিভাগের পাহাড়াদার হিসাবে তাদের স্থাপন করা হয়েছে সে হিসাবে তারা পুর্নবাসনের দাবি রাখে। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা না করে কোন নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ মনগড়া ও বন বিভিগের কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
জেলে পরিবারের দাবি, যেখানে তারা বসবাস করছেন সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে। ওই গাছের নিচে কোন চারা রোপন করলেও বেড়ে ওঠার সুযোগ নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ২২ পরিবারের জীবন যাপন নিশ্চিত করার আশা ব্যক্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে মহিপুর বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনায়ন করার আদেশ রয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চলছে। জেলে পরিবারদের লিখিত নোটিশ দেয়া হয়নি তবে মৌখিকভাবে অনেকবার জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৪৯ পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘর’
দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ২০ জুন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলার ১৩টি উপজেলার ৬৪৯টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীন দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত নিউচর আশ্রয়ণ প্রকল্প হস্তান্তর
তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তার কন্যা দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিতের ঘোষণা দেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির পৃথিবীর বুকে অনন্য। একসাথে একই দিনে এত সংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমি সহ ঘর দেয়ার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
‘মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অংশ হিসেবে আগামী ২০ জুন সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ শতাংশ জমিসহ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পেয়ে খুশি গৃহহীন পরিবারগুলো
দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫০টি, পটিয়া উপজেলায় ৩০টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ১০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৫০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি, কনর্ফুলী উপজেলায় ০৫টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০ টি, রাউজান উপজেলায় ২৪৮টি, হাটহাজারী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ৫০টি, মীরসরাই উপজেলায় ২৫টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১০টি সহ সর্বমোট ৬৪৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
উল্লেখ্য, উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং গৃহহীনদের জন্য ১০ কোটি টাকার অনুদান প্রধানমন্ত্রীর
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও গৃহহীন জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের জন্য দুটি আলাদা তহবিলে ১০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি ট্রাস্টে এ সহায়তা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনার দুর্দিনে জনগণের পাশেই আছেন প্রধানমন্ত্রী
এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেয়া হবে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এবং বাকি ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে গৃহহীন জনগোষ্ঠীর আশ্রয় এবং পুনর্বাসনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী কোভিড সঙ্কট: দ্রুত পুনরুদ্ধারে ইএসসিএপি-কে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এই ১০ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছেন।
আরও পড়ুন: লিডার্স সামিট: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৪ পরামর্শ
দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুকে পুনর্বাসনসহ ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
সারা দেশে ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুদের প্রযোজ্য ক্ষেত্রে (প্রমাণিত হোক বা না হোক) পুনর্বাসনসহ ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে একটি নীতিমালা তৈরির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আলোচনায় চীনা প্রেসিডেন্ট
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারকে তার সামর্থ্যের অনুযায়ী আরও সহায়তা প্রদানের সদিচ্ছার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: খুলনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে জনপ্রতি বরাদ্দ ৩ টাকারও কম!
সিডর’ ও ‘আইলা’র পর সম্প্রতি বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ খুলনা জেলায় আঘাত হেনেছে। সুন্দরবনের কারণে ব্যাপক আকারের ক্ষয়ক্ষতির কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। তবুও বুলবুলের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৪৮ হাজার পরিবার।