উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক: স্বল্প মেয়াদে ১৬ সুপারিশ বাস্তবায়ন, বাস্তবায়নাধীন ৮৫
বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য ১২১টি সুপারিশের মধ্যে ১৬টি ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং ৮৫টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অগ্রগতির বিষয়ে জানানো হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা মোট ১১টি সংস্কার কমিশন করেছিলেন। ইতোমধ্যে কমিশনগুলো প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের মধ্যে যেগুলো আশু বাস্তবায়ন করা দরকার, সেটার ওপরে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল—সেটার আজকে একটু আপডেট নেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে আইন উপদেষ্টা ১২১টি সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ্য চিহ্নিত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান। আজকে সেটার আপডেট নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এগুলোর মধ্যে মোট ১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৮৫টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন। ১০টি সুপারিশ আংশিক বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর দশটি বাস্তবায়নযোগ্য কিনা—সেটা এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে।'
১১৯ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো এ বৈঠকে অংশ নিতে সচিবালয়ে গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ের নবনির্মিত এক নম্বর ভবনের পঞ্চম তলায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। তার আগে সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ের প্রবেশ করেন।
আজ সকালে সচিবালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান উপদেষ্টার আগমনকে কেন্দ্র করে সচিবালয়ে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এক নম্বর গেট ছাড়া অন্য কোনো গেট দিয়ে গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এক নম্বর গেটে সোয়াত সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সচিবালয়ের ভেতরে ও বাইরে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে তৎপর দেখা গেছে। সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া আর কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সচিবালয়ে প্রবেশের স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি সচিবালয় বিটে কাজ করা সাংবাদিকদেরও সকাল ১১টা পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি গোষ্ঠী উন্মুখ: প্রধান উপদেষ্টা
সকাল থেকেই এক নম্বর ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের এ ভবনের আশপাশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ভবনটি ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। নতুন নির্মিত এক নম্বর ভবনের সামনে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে।
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ত্রয়োদশ তলায় মন্ত্রিসভা কক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তারপর দ্বিতীয়বারের মতো তিনি সচিবালয়ে গিয়েছেন। তবে নতুন ভবনে এটিই প্রথম উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক।
গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টার রাষ্ট্রীয় বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হতো। সরকার পতনের দিন ক্ষতিগ্রস্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংস্কার করে সেটিকেই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। তারপর থেকে নিয়মিতভাবে সেখানেই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হচ্ছে।
১২০ দিন আগে
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
২০৮ দিন আগে