পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২৩ আগস্ট ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার আগামী ২৩ আগস্ট ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। তিনি এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বয় জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৪ আগস্ট তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং অন্যান্য কার্যক্রমেও অংশ নেবেন। সোমবার (৪ আগস্ট) এ তথ্য বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
এর আগে, এ বছরের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের এই সফর স্থগিত হয়। পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে প্রাণহানির এক ভয়াবহ ঘটনার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সফরটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেদিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৫ সালের ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশের সফর করতে পারছেন না।’
পরবর্তীতে দুই পক্ষ পরস্পরের পরামর্শে নতুন তারিখ চূড়ান্ত করে।
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানের কাছে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর করা বর্বরতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং বকেয়া আর্থিক দাবিসহ ঐতিহাসিক অনিষ্পন্ন বিষয়গুলো উত্থাপন করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেসময়ের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি গড়ার জন্য এসব বিষয় সমাধান হওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ মনে করছে, ওই বিষয়গুলো আলোচনায় থাকার জন্য পাকিস্তান ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যদিও ঢাকা-ইসলামাবাদ মধ্যকার কথাবার্তা ১৫ বছর পর শুরু হয়েছে।
গত জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবিক সংকটের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি তাদের অটুট সংহতি পুনর্ব্যক্ত করে।
১২৩ দিন আগে
মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার ধারাবাহিকতায় এবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। নিউইয়র্ক সফর শেষে আগামী ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
পাকিস্তানের সংবাদমাদ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে নজিরবিহীন লাঞ্চের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এই প্রথম মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে।
যেখানে ২০১৬ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের এই ধরনের শীর্ষপর্যায়ের সংযোগ বন্ধ ছিল, সেখানে এই বৈঠক কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রবিবার (২০ জুলাই) পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিউউয়র্ক পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের চলমান সভাপতিত্বের আওতায় পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের কার্যক্রমে অংশ নেবেন। এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন যাবেন ইসহাক দার।
নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বকালীন ‘বহুপাক্ষিকতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার’ ওপর একটি উন্মুক্ত উচ্চপর্যায়ের বিতর্ক সভার সভাপতিত্ব করবেন তিনি।
এ ছাড়া, নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন প্রশ্ন নিয়ে ত্রৈমাসিক উন্মুক্ত বিতর্ক সভারও সভাপতিত্ব করবেন ইসহাক দার।
তাছাড়া জাতিসংঘ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হবে, সেখানেও তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি উচ্চপর্যায়ের ব্রিফিংয়ের সভাপতিত্ব করবেন। এরপর ফিলিস্তিন প্রশ্নের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও দ্বিরাষ্ট্রীয় নীতির বাস্তবায়ন নিয়ে অনুষ্ঠেয় উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনেও অংশ নেবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে তার এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সংলাপ পুনরায় শুরু করার ইঙ্গিত দিচ্ছে এই বৈঠক।
এর আগে, মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারের সঙ্গে ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করেছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব। বৈঠকে বহু প্রতীক্ষিত বাণিজ্য ও শুল্ক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে আলোচনা ‘খুবই গঠনমূলক’ ছিল এবং এটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বাণিজ্যের বাইরেও বিস্তৃত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আওরঙ্গজেব।
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান-মার্কিন সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিতে হলে বিনিয়োগই হবে মূল চাবিকাঠি। আমরা মনে করি খনিজসম্পদ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সম্ভব।’
আরও পড়ুন: সুইস রাষ্ট্রদূতের প্রাতরাশের বৈঠকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা
১৩৭ দিন আগে