কারিগরি ত্রুটি
প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্ধ সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোগান্তি
কারিগরি ত্রুটির কারণে তিন সপ্তাহ ধরে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে সিলেট নগরীসহ পুরো বিভাগে প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে।
কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী বিদ্যুৎ আচার্য বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সচল করতে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। ‘আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই এটি আবার চালু করা সম্ভব হবে।’
গ্রিড উপকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল বিভিন্ন পরীক্ষা ও পরিদর্শনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ আচার্য বলেন, ‘ঢাকা থেকে আসা দলটি এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছে। সব পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে সিস্টেম সঠিক প্রমাণিত হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এই সপ্তাহের মধ্যেই চালু করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।’
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব চুরির পর ভেঙে নিচ্ছে দেয়ালও
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এখান থেকে সিলেট বিভাগের চারটি জেলা—সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় বর্তমানে সিলেট পুরোপুরি জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভরশীল।
কিন্তু জাতীয় লোড ডিসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি) থেকে সিলেটে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে, ফলে লোডশেডিং আরও বেড়েছে। এতে ওই চার জেলায় মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
এ ছাড়া, অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকায় প্রতিদিনই পানি সংকট দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত লোডশেডিং চলতে পারে। এমনকি পরিস্থিতি আরও খারাপও হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
১২৩ দিন আগে