যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইন
যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের’ সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৪৬৬
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে যুক্তরাজ্যের ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে ব্রিটিশ সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার পর লন্ডনে সংগঠনটির সমর্থনে বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভ থেকে চার শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পার্লামেন্ট স্কয়ার এবং হোয়াইটহলে বিক্ষোভরতদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাত ৯টা পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থনের অভিযোগে ৪৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনসহ অন্যান্য অভিযোগে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (শনিবার) বিকেলে পার্লামেন্ট স্কয়ারে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামের এক প্রচার সংগঠন এক বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার হাতে জড়ো হয় হাজারখানেক মানুষ।
ওই সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেন, গ্রেপ্তার ও সম্ভাব্য কারাবাসের ঝুঁকি নিয়েই বহুসংখ্যক মানুষ আজ রাস্তায় নেমেছে। (গাজায়) অব্যাহত গণহত্যায় (যুক্তরাজ্য) সরকার যেভাবে জড়িত, তাতে মানুষ কতটা ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত— তারই প্রমাণ এই জনসমাগম।
আরও পড়ুন: তথ্য ফাঁসের পর গোপন প্রকল্পে যুক্তরাজ্যে স্থানান্তরিত হাজারো আফগান
গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ পার্লামেন্ট স্কয়ারের বাইরের সবুজ চত্বরের পাশে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থকরা পোস্টার হাতে জড়ো হতে থাকে। তাদের মধ্যে এক নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবারই প্রিয়জন আছে, কিন্তু আপনারা ভুল মানুষকে গ্রেপ্তার করছেন।’
তিনি পার্লামেন্টের দিকে নির্দেশ করে বলেন, ‘ওখানে যান। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করুন।’
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) বিমানে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন সদস্যদের কর্মকাণ্ড ছিল একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি। তা মোটেও সন্ত্রাসবাদ নয়।
তার দাবি, ওই বিমানগুলোই আসল সন্ত্রাসী। বিমানগুলো গাজায় গিয়ে শিশুদের হত্যা করেছে।
ওই নারী আরও বলেন, ‘আমি কেবল একটা কাগজের টুকরো ধরে আছি। এ তো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে না। বরং ইচ্ছা করে ২০ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখা হলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
১১৭ দিন আগে