তৃতীয় তিস্তা সড়ক সেতু
বহুল প্রতীক্ষীত তৃতীয় তিস্তা সেতু চালু হচ্ছে আজ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে তিস্তাপাড়ের মানুষের। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে চলেছে বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় তিস্তা সড়ক সেতু।
এর আগে পাঁচ দফা সময়সীমা পেছালেও অবশেষে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার (১.৪৯ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সেতুটি কুড়িগ্রামের চিলমারী এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মানুষের বহুকালের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে নির্মিত এ সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। আর সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। তিস্তা নদীর বুকে এটি হলো তৃতীয় সড়ক সেতু। তবে ধৈর্ঘ্যে এই সেতুটিই সবচেয়ে বড়।
প্রথম তিস্তা সড়ক সেতুটি নির্মিত হয় ২০১২ সালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা এলাকায়, যার দৈর্ঘ্য ৭৫০ মিটার এবং ব্যয় হয়েছিল ৮৭ কোটি টাকা। দ্বিতীয়টি নির্মিত হয় ২০১৮ সালে রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে। সেটির দৈর্ঘ্য ৮৫০ মিটার এবং ব্যয় হয়েছিল ১৩১ কোটি টাকা।
এবার চালু হতে যাচ্ছে সবচেয়ে আধুনিক তৃতীয় সেতুটি, যা উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।
এলজিইডি কার্যালয় সুত্র জানায়, এলজিইডির অধীনে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ইফাদের (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। শুরুতে ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার কথা থাকলেও, নানা কারণে পাঁবার সময়সীমা পিছিয়ে অবশেষে এ বছরের আগস্টে শেষ হয় কাজ।
আরও পড়ুন: রংপুরে তিস্তা বাঁধে ধস, শঙ্কায় হাজারো পরিবার
সেতুটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান এবং ১৫৫টি গার্ডার। উভয় প্রান্তে পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে ১২টি ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট। পাশাপাশি ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে নদীশাসনসহ মোট ৫৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
১০৭ দিন আগে