তামাবিল কাস্টমস
তামাবিল কাস্টমসের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল কাস্টমসের জব্দ করা পণ্যের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং: চট্ট-২২১৪) সভাপতি মনির হোসেনও রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগে আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে গতকাল (বুধবার) জব্দ করা ভারতীয় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পণ্যের নিলাম চলছিল। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম শাহীন আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ ইলিয়াস নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের আটকে রাখেন।
পরে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমেদ ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, নিলামে দুইটি গ্রুপ ছিল। একটি গ্রুপের পক্ষে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন জৈন্তাপুর ছাত্রদল এবং অন্য গ্রুপে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ছাত্রদলের নিলাম নিয়ন্ত্রণের কথা তিনি জানেন না। তবে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি একটি গ্রুপের পক্ষে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের বদরুল আলম শাওন গণমাধ্যমকে জানান, তামাবিল স্থলবন্দর এখনো আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও তার সহযোগীরামাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিলামে অংশ নিতে গেলে নূর উদ্দীনরা আমাদের বাঁধা দেয়। বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন তারা। পরে আপোস মিমাংসায় বসা হলে শ্রমিক নেতা মনির উদ্দীন টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে কীসের আপোস বলে উসকে দেন।’
নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও মনির উদ্দীনদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাওন। তারাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
৯৮ দিন আগে