আমীর খসরু
সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই: আমীর খসরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘সাময়িক সরকার’ আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। আমরা নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করছি। নির্বাচিত সরকারের জন্যই ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। যাতে জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, সেই প্রস্তুতি আগেভাগেই গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই যাতে দেশের মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে সরকার নির্বাচিত করবেন, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে। সেই সরকারের কাছে আমাদের অনেক চাওয়া আর প্রত্যাশাও থাকবে।’
আরও পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি গ্রামে একটি পণ্য তৈরি হবে, যে পণ্য ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে। এতে করে ওই গ্রাম অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। এ জন্য কীভাবে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান ও চাহিদা পূরণ করা যায়, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন। কিছু মানুষ কিংবা কোনো গোষ্ঠীর কাছে যাতে অর্থনীতি জিম্মি হয়ে না থাকে।’
এর আগে, জাতীয় এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জিয়া উদ্দিন হায়দারসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
৯৮ দিন আগে
সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী নয়, মানুষের কণ্ঠস্বর হতে হবে: আমীর খসরু
সাংবাদিকদের দলীয় কর্মী না হয়ে মানুষের কণ্ঠস্বর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নগরীর জামাল খানের প্রেস ক্লাব চত্বরে এক সমাবেশে তিনি এই আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে ‘সাংবাদিক ছাত্র জনতার সমাবেশে’প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা বিএনপির সাংবাদিক হওয়ারও দরকার নেই। আপনারা দেশের সাংবাদিক হন, বাংলাদেশের জনগণের সাংবাদিক হন, মানুষের সাংবাদিক হন। এটাই হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের প্রতিজ্ঞা।’
পড়ুন: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বিএনপি
তিনি বলেন, সাংবাদিকতার নামে যারা স্বৈরাচারের পক্ষে দাঁড়ায়, তারা আসলে সাংবাদিক না। তারা প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একটি ব্যক্তির পক্ষে, একটি দলের পক্ষে অবস্থান নেয়—তারা সাংবাদিকতার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তারা হয়ে গেছে দলীয় কর্মী। এই জিনিসগুলো আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। আমাদের যেন তাদের মতো চলতে না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
এর আগে তিনি প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব শীর্ষক প্রদর্শনী’ ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনের উপর বিভিন্ন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও বৈশাখী টিভির ব্যুরো চিফ গোলাম মওলা মুরাদ এবং মিয়া মোহাম্মদ আরিফের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
আমীর খসরু বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে সাংবাদিকতার চিত্র সম্মুখভাবে দেখেছি। কারণ আমরা সম্মুখভাগে ছিলাম। আমি সার্বিকভাবে যেভাবে ছিলাম, সাংবাদিকতার চিত্র পরিষ্কারভাবে দেখেছি। কারা নিজের দেশকে বিক্রি করে সাংবাদিকতা করেছে, কারা ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের সঙ্গে থেকে সুবিধা ভোগ করেছে, সাংবাদিকতার দায়িত্বকে ধ্বংস করেছে, সব দেখেছি।
শেখ হাসিনার সময়ে সাংবাদিকতার ভূমিকা তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্স শেষে যে সাংবাদিকরা জনগণের কথা না তুলে ধরে স্বৈরাচারের কথা তুলে ধরেছে, তারা কি কোনো সাংবাদিক? তারা তো সাংবাদিকতার মান সম্মান নষ্ট করেছে।
পড়ুন: কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে একসঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে তারেক রহমান সাহেবকে বিদ্রুপ করে একটা কার্টুন ছাপানো হয়েছিল। সবাই ভেবেছিল এই সাংবাদিক বিপদে পড়বে। কিন্তু হলো উল্টো—তারেক রহমান সাহেব স্ট্যাটাস দিলেন, ‘আমরা দেড় দশক ধরে যুদ্ধ করছি—এই সাংবাদিকরা যাতে তাদের এ কাজগুলো করতে পারে। এই কথার মধ্যেই সব মেসেজ চলে এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা সত্যিকারের সাংবাদিকতা চাই, নিরপেক্ষতা চাই। সাংবাদিকদের পেশাগত মানদণ্ড অক্ষত রাখতে হবে। এটাই হবে নতুন বাংলাদেশের শপথ। আগামীতে সাংবাদিকরা যদি জনগণের কথা তুলে ধরতে পারে, স্বাধীনতার কথা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক অধিকার তুলে ধরতে পারে—তাহলেই হবে সফল সাংবাদিকতা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, কী ধরনের সাংবাদিকতা চাই।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহকারী মহাসচিব মুস্তাফা নঈম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, সিএমইউজে'র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।
১২১ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একমাত্র উপায় হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। লন্ডনের বৈঠকে দুই নেতা (প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
সোমবার (১৬ জুন) সকালে লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন খসরু।
শুক্রবার (১৩ জুন) অধ্যাপক ইউনূস ওতারেকের মধ্যে বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে সমালোচনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যদি আমরা সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি—তাহলে সবারই নিজস্ব মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সুতরাং, প্রত্যেকেরই তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে একটি—যে প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে। আমাদের অবশ্যই এটি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচনের তাৎপর্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। ‘তরুণ প্রজন্ম কখনও ভোটদানের সুযোগ পায়নি। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায়।’
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে, কারণ জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়েছে।
ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলোর সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, সংস্কার ঐকমত্যের উপর নির্ভর করে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। ‘সংস্কার নির্বাচনের আগে শেষ হবে না এবং এর পরেও অব্যাহত থাকবে।’
ফ্যাসিবাদীদের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের উপর নির্ভর করে। ‘বিচার বিভাগ বিচার পরিচালনা করবে এবং অভিযুক্তদের আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় আছে। যদি এই সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন না হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে।’
রাজনৈতিক ঐকমত্য সম্পর্কে বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে যত বেশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের কারণেই আমরা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসককে সরাতে সক্ষম হয়েছি। তাই, আমরা যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।’
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপির কোনো বড় আপত্তি নেই। ‘আমরা সবসময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যদি সময়সীমা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে স্থানান্তরিত হয়, তবে এটি কোনো বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঐকমত্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
১৭১ দিন আগে
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।’
‘সাত বছর আগে ভিশন ২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান,’ যোগ করেন তিনি।
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল নিয়েও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে নাকি ঐকমত্য হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে।’
বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেই দায়িত্ব বিএনপি পালন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কারণ আমাদের মতো এতো কঠিন সময় কেউ পার করেনি। আমাদের মতো এতো ত্যাগ কেউ করেনি। ৫ আগস্ট না হলে রাষ্টর পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকে বিদেশে থাকতেন। আর আমাদের হয় জেলে, না হয় ফাঁসির কাষ্ঠে থাকতে হতো। সুতরাং বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটা বিএনপি করবে, তোমাদের ওপর কোনো ভরসা নাই।’
এদিকে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনসমাগম। এতে কাকরাইল থেকে আরামবাগ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই সমাবেশ শুরু হয়। কার্যালয়ের বিপরীতে সমাবেশ মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশ আয়োজন করেছে।
সরেজমিনে সমাবেশ ঘুরে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুর থেকে পিকআপ ও বাসে করে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হয়েছেন।
ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাথায় লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের দলীয় লোগোযুক্ত ক্যাপ ও ব্যানার হাতে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশের কারণে কাকরাইল থেকে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাজীপুর থেকে আসা যুবদল কর্মী সুমন শিকদার বলেন, ‘এই সমাবেশের মূল আকর্ষণ তরুণদের প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য। বর্তমান রাজনীতি তরুণদের, তারা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। বিএনপিও তরুণদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছে এবং এই প্রজন্মকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
১৯১ দিন আগে
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন মামলা: আমীর খসরুসহ ৫ জনের খালাস
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে যড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকার শাহবাগ থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে খালাসের রায় দেন।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন— ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমী, মো. রফিকুল ইসলাম নয়ন, হাবিবুর রহমান হাবিব ও রবিউল ইসলাম রবি৷
আরও পড়ুন: সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা
খালাসের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুক্ত বিচার বিভাগ, স্বাধীন বিচার বিভাগ চাই। যেটার জন্য আমরা ১৫ থেকে ১৬ বছর লড়েছি। বিচারের নামে যে প্রহসনে লাখ লাখ মানুষ আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে, জীবন হারিয়েছে, জেলে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছে, পুলিশ কাস্টডিতে মারা গেছে, এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে। বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা ছাড়া একটি দেশের গণতন্ত্র টিকতে পারে না।’
বিচার বিভাগের স্বাধীন সচিবালয় গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা তো আমাদের প্রোপোজাল। এখন যদি এটা বাস্তবায়ন না হয়, আমাদের সময় আমরা বাস্তবায়ন করব। অবশ্যই করব।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই বাসচাপায় ঢাকার শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হন।
এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমীর খসরুর একটি কথিত ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে।
এতে ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার দাবি তুলে ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের তৎকালীন পল্লবী জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মো. শামীম আহমেদ।
মামলায় আমীর খসরু ও ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নাওমীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৭ বছর পর দুই জনের যাবজ্জীবন
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে তখনকার ছাত্র আন্দোলনে উসকানির জন্য তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হয়।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন ডিবির পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান।
২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২২২ দিন আগে
রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের আয়োজনে ইন্সটিটিউটের নিজস্ব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা, ইফতার ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ভিন্নমত হলেও পরস্পর সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।’
দেশে সবার জন্য সব ক্ষেত্রে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
‘এখন একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে গণতন্ত্রহীন দেশ হিসেবে। একেকটি দিন যাচ্ছে যেখানে জনগণের প্রতিনিধিত্ব নেই, জনগণের ফিডব্যাক নেই। জনগণের সমর্থন, প্রতিনিধিত্ব, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক অর্ডার (শৃঙ্খলা) ফিরিয়ে আনা যাবে না।’
ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সভাপতি মনজারে খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট সভাপতি প্রকৌশলী সেলিম মো. জানে আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি প্রমুখ।
২৬৪ দিন আগে
বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি আজ কোথায়, আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামের ষোলশহরের বিপ্লব উদ্যানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমুখী যুব পদযাত্রার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি
তিনি বলেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মীসহ অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী।
আমীর খসরু বলেন, আবারও বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চায়। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।
দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কী হবে! এ সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিদেশে চিকিৎসার দাবি বিএনপির
৩৮৩ দিন আগে
আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন ও রাজনীতির কারণে বাংলাদেশ সব দিক থেকে ডুবে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ডুবে গেছে। এখন দেখবেন ঢাকা শহর পানিতে ডুবে যাচ্ছে। আসলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের কারণেই বাংলাদেশ চতুর্দিকে ডুবছে।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে কারণ এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পর্যায়ে সক্ষম ও মেধাবীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যদি দলীয় লোকদের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাহলে ঢাকা শহর ডুবে যাবে, পুরো বাংলাদেশ ডুবে যাবে।’
কয়েকটি বিরোধী দলের প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চের’ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু।
তিনি বলেন, ‘কোটা পদ্ধতি নিয়ে আমার অবস্থান পরিষ্কার। এই শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের মেধাবীদের খাটো করতে চায়। আওয়ামী লীগ এভাবে শাসন করতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মেধাবীদের কোনো সুযোগ থাকবে না, বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ারও কোনো সুযোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে মেধাবী জাতি হিসেবে দেখে বলে মনে হয় না। ‘একটি ফ্যাসিবাদী সরকার একটি বুদ্ধিমান দেশে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। বুদ্ধিমান লোকেরা সত্য কথা বলে, সত্যের পথে চলে, আওয়াজ তোলে এবং প্রতিরোধ করে।’
খসরু কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও তাদের ভোটাধিকারের দাবিতে একই দৃঢ় সংকল্প নিয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বাংলাদেশের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কোটা আন্দোলন ইতোমধ্যে মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। ছাত্র ও যুবসমাজ এখন সমগ্র জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করছে।’
তিনি আরও বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল বা পুনর্বহাল শুধু আইনি বিষয় নয়, এটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়।
সরকার যেন দ্রুত নীতিনির্ধারণী ভিত্তিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে আমাদের কর্মসংস্থান কীভাবে হবে সে বিষয়ে একটি কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবিও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের মতোই চীন থেকে খালি হাতে ফিরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হতাশ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন সাইফুল হক।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট ও জনগণকে দমন অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সাকি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকার কোনও কথাই শুনছে না। জনগণ আশা করে, বিরোধী দলগুলো আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে।’
আরও পড়ুন: চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
৫১০ দিন আগে
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
৬১২ দিন আগে
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
বাংলাদেশে এখন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের নেভাল এভিনিউয়ের মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাফেতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, এতে সাংবাদিকতা ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় সরকারি ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ (পর্যবেক্ষণকারী)। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ায় কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট শাসনের (রেজিম) বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা কিন্তু অনেক বাধা অতিক্রম করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সঙ্গে করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখেন, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।’
আমীর খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের বেনিফিশিয়ারি সাংবাদিকরা ছাড়া বাংলাদেশের সাধারণ সাংবাদিকরা মুক্ত হতে চাচ্ছে। তারা মুক্তির পথ খুঁজছে। তারা যদি মুক্ত হতে না পারে এখন, তাহলে আগামী দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলে কোনো কিছু থাকবে না। সাংবাদিকতা পেশা বলে যে কিছু আছে, এটাও ভুলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: আমীর খসরু
গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে- শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।
সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের কাছে সুবিধা চান প্রধানমন্ত্রী: আমীর খসরু
আরও ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নছরুল কাদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও আলী আব্বাস প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে আ’লীগ: আমীর খসরু
৬১৫ দিন আগে