ছাগলনাইয়া
ফেনীতে বন্যা: সব হারিয়ে নিঃস্ব ৪৯ পরিবার, ক্ষতিগ্রস্ত ৯১৫ ঘরবাড়ি
ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর তিন উপজেলা—ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার ১৩২টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, ঘর-বাড়ি। এখনও নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে রয়েছেন বন্যাদুর্গতরা। ফুলগাজীতে বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯টি পরিবার এখন অন্যের ঘরে (আত্মীয় বা পাশের প্রতিবেশীর বাড়িতে) আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে বাঁশের খুঁটির ওপর পলিথিন বা প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে মাথার ওপরে ছাউনি করে অবস্থান করছেন। গত শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বন্যার আবাসন খাতের ক্ষয়ক্ষতির এ চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজীতে ২০টি এবং পরশুরামে ২৮টি কাঁচা ও আধাপাকা ঘর সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়ে গেছে। প্রতি ঘর দুই লাখ টাকা ধরে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে—ফুলগাজীতে ৪৯৫টি, ছাগলনাইয়ায় ৩০৪টি এবং পরশুরামে ৬৯টি ঘরবাড়ি। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ কোটি টাকা।
গত রবিবার সরেজমিনে ফুলগাজীতে গিয়ে দেখা যায়, বন্যায় বিধ্বস্ত বসতভিটায় বসে আছেন উত্তর দৌলতপুর গ্রামের হোসনে আরা বেগম। পাশের একটি ছোট্ট স্কিম ঘরে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে। এক বন্যা আমাকে পুরো নিঃস্ব করে দিয়েছে। কোনো কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। ছোট তিন সন্তানকে নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছিলাম। এক সপ্তাহ পর ফিরে এসেছি। কী করে ঘর তুলব—মাথায় আসছে না। এখন পর্যন্ত আমাদের পুনর্বাসনে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।’
মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপরে বইছে। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৬৭টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর পশ্চিমমাথা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. রাজুসহ চার বন্ধু বেড়িবাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। একপর্যায়ে রাজু প্রবল স্রোতে ভেসে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৪টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর ও শুভপুর ইউনিয়নেরও ১৫টির বেশি গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বারবার ভেসে যায় স্বপ্ন, টেকসই বাঁধ চায় ফেনীবাসী
ফেনী সদরে ৯টি এবং দাগনভূঞা উপজেলার ২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু জায়গায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালে পর্যন্ত উঠেছে বন্যার পানি।
পানি নামার পর এসব এলাকার মানুষ আশ্রয় খুঁজছেন। দুর্গতদের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। চলতি মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পরশুরাম অংশে ২২টি ও ফুলগাজী অংশে ১৯টি—মোট ৪১টি স্থানে নদীভাঙন দেখা দেয়।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় আবাসনসহ আরও কয়েকটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এনজিও ও সংগঠন আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। তবে সরকারিভাবে পুনর্বাসনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি।’
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এবারের বন্যায় ফেনীতে প্রায় এক লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা পেলে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
আবাসন খাত ছাড়াও এবারের ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৩৮ কোটি ৭ লাখ, মৎস্য খাতে ৮ কোটি ৭১ লাখ, প্রাণিসম্পদ খাতে ৬৫ লাখ, সড়ক খাতে ৯০ কোটি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতি ৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত
গত বছরের (২০২৪) ভয়াবহ বন্যায় ফেনীতে ৭০ হাজার ৪১৫টি আধাপাকা ও কাঁচা ঘর, আসবাবপত্র এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আনুমানিক ৫৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ওই বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৭ হাজার ৩৫০টি পরিবার এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৫৬ হাজার ৬৫টি ঘর।
১৩৭ দিন আগে
ফেনীতে চুরির দায়ে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় টাকা চুরির অভিযোগে মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ছেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মঈন উদ্দিন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
শনিবার বিকালে উপজেলার বাথানিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রলির ধাক্কায় বাবা-ছেলের মৃত্যু, চালক আটক
নিহত নুর মোহাম্মদ নোয়াখালীর সুধারাম থানার আন্দার চর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। বাথানিয়া গ্রামে এক বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন ছাগলনাইয়ার বাথানিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।
নুর মোহাম্মদের মা বিবি খতিজা জানান, চার বছর আগে নুর মোহাম্মদকে ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দিয়ে যান তিনি। তার মাসিক বেতন ধরা হয়েছিল দুই হাজার টাকা। চার বছরে তাকে কখনো ছুটি দিত না ওই পরিবার। সেই ক্ষোভ থেকে গেল ২৭ রমজানে বাসা থেকে ৮০ হাজার টাকা ভর্তি একটি খাম নিয়ে নোয়াখালীর বাড়ি চলে যান নুর মোহাম্মদ। বাড়ি যাওয়ার পর থেকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকেন ব্যাংক কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের অব্যাহত হুমকিতে ঈদের পরদিন তিনি ছেলেকে নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে হাজির হন এবং চুরি করে নেওয়া টাকা ফেরত দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রলির ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
তিনি আরও বলেন, বাড়ি ঢোকা মাত্রই ব্যাংক কর্মকর্তার চারভাই মিলে তার ছেলেকে মারধর শুরু করেন। বাধা দিলে তাকেও মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন তারা। সারা রাত দফায় দফায় তার ছেলেকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া পরদিনও তার ছেলেকে মারধর করা হয়। এরপর শনিবার বিকালে মারধরে মারা যান তার ছেলে নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন, আমার ছেলের যদি কোনো অন্যায় থাকতো, তাহলে তাকে পুলিশে দিতো। আমি তাদের কাছে আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। তবু তাদের মন গলেনি। এভাবে নির্যাতন করে, সারারাত ধরে পেটাতে পেটাতে আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি আরও বলেন, নিহতের পিঠ, কোমর, হাত, পাসহ পুরো শরীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সোমবার খুলছে ব্যাংক, দোকানপাট-আদালত
তিনি বলেন, এ ঘটনায় রবিবার মা বিবি খতিজা ছাগলনাইয়া থানার ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। ব্যাংক কর্মকর্তা মঈন উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেছেন।
৬০০ দিন আগে
ফেনীতে বালুবাহী ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বালুবাহী ট্রাকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেনের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সাড়ে ৮টার দিকে মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকটি রেললাইন পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
নিহত মো. মিজান বরিশালের উজিরপুর কাউয়ারাহা গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে এবং অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি সকালে মুহুরীগজ্ঞে এলাকায় পৌঁছলে লাইনে উঠা একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে এ সময় ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন।
ঘটনার পর থেকে গেটম্যান মো. সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ই/৩২(১)নং রেলগেইটে সকালে গেইটম্যান দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন না। আর এই কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বলেন, বালুবাহী ট্রাক রেলক্রসিং করার সময় ট্রাকের পেছনের অংশে ট্রেনের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রতিবন্ধী কিশোরের মৃত্যু
ঝিনাইদহে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
৬০৯ দিন আগে
ছাগলনাইয়ায় অটোরিকশায় বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুহুরীগঞ্জ সমিতির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ও সেনা কল্যাণের চট্টগ্রাম শাখার কর্মকর্তা আবু তাহের (৫৯) ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার (৪৮) ও অটোরিকশার চালক মনা মিয়া (৩০)।
নিহতের ভাই ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন জানান, তার ভাই ও ভাবি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাংলাবাজারে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তারা নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মুহুরীগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেইনের পাশে সিএনজি পাম্প থেকে বের হয়ে একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নিয়ে ঢাকামুখী লেনে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী শ্যামলী পরিবহন একটি গাড়ি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি কয়েকবার উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়।
তাৎক্ষণিক পুলিশ ও আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ বন্ধুর মৃত্যু
ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
৭৯৮ দিন আগে
ফেনীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
ফেনীর পরশুরামে বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের পরশুরাম-ছাগলনাইয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. জসিম উদ্দিন (৫৫) পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খন্ডল বাজার থেকে নিত্যপণ্যের বাজার করে বাড়িতে ফেরার পথে মো. জসিম উদ্দিন খন্ডল বিক্সসের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরতর জখম করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ হোসেন জানান, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে একরাম হোসেন সোহেল বাদি হয়ে পরশুরাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা!
১৩৬৪ দিন আগে
ফেনীতে অটোরিকশা-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর বালিয়াপুর এলাকায় একটি পিকআপের সঙ্গে একটি অটোরিকশার সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই একজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে তিন জন মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ পিকআপ ভ্যানকে জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে চাঁদের গাড়ি উল্টে নিহত ১, আহত ২
নিহতরা হলেন শুভপুর বন শুল্ক পরিক্ষণ ফাঁড়ির বনমালি টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার আমতেল গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর পুত্র নুরুল ইসলাম (৫২), ছাগলনাইয়ার জয়চাঁদপুর গ্রামের আবদুল গোফরানের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫), জগন্নাথ সোনাপুর গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে শহিদউল্লাহ কাজী (৬২), মিরসরাই উপজেলার কাটাগাং গ্রামের এনামুল হকের ছেলে আরিফ (২৬)।
আরও পড়ুন: খুলনা-যশোর মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
আহতরা হলেন আবদুল মালেক (২২) ও আইয়ুব (২৮)।
আহতদের ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আহত ২
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
বিদায়ী এপ্রিলের লকডাউনের এক মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জন নিহত ও ৫০৭ জন আহত হয়েছে। একই সময় রেল-পথে ৮টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে এবং নৌ-পথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত, ৯ জন আহত এবং ২ নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
এইমাসে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৮২ জন পথচারী, ১৩৪ জন চালক, ১১০ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৩ জন শিক্ষার্থী, ৬ জন শিক্ষক, ২৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৫২ জন নারী, ৪৭ জন শিশু এবং ৪ জন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মধ্যে নিহত হয়েছে ১১২ জন চালক, ৮২ জন পথচারী, ৩৮ জন নারী, ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৩৬ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪২ জন শিশু, ২ জন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, ৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ৪জন শিক্ষক ছিল।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় সর্বোচ্চ ২২১টি দুর্ঘটনা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে, ১৪৪টি দুর্ঘটনা মোটরসাইকেলে, ৫৫টি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৬৪টি নসিমন ও করিমন, ৫২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৩০টি প্রাইভেট কার ও ২০টি বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।
এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ এপ্রিল। ওইদিনে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়।
সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৪ এপ্রিল ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়।
১৬৬১ দিন আগে
ফেনীতে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
জেলার ছাগলনাইয়ায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১৯৩১ দিন আগে
ফেনীর সীমান্ত হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
করোনাভাইরাস ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং ভারতের শ্রীনগর সীমান্তের বর্ডার হাট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি।
২০৯৭ দিন আগে