কুমারখালী
কুমারখালীতে পাট জাগ দিতে গিয়ে ডুবে বাবা-ছেলের মৃত্যু
বাড়ির উঠানে কাঠের চৌকি। তার উপরে লাল চাঁদরে ঢাকা রয়েছে সরকারি চাকুরিজীবী জাহিদুল ইসলাম ( ৪৫) ও তার ছেলে জিহাদের (৯) লাশ। সেখানে আহাজারি করছেন শোকে মাতম শিলু খাতুন। তাদের ঘিরে রয়েছেন উৎসুক জনতা ও স্বজনরা। তারা শিলুকে শান্ত্বনা দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের জংগলী গ্রামের স্কুলপাড়ায় সরেজমিন গিয়ে এমন হৃদয়বেদারক দৃশ্য চোখে পড়ে। এর আগে বিকাল ৪টার দিকে মরা কালিগঙ্গা নদী থেকে জাহিদুল ও জিহাদের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
জাহিদুল ওই এলাকার রফি মণ্ডলের ছেলে ও কুষ্টিয়া পল্লী ও দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন কার্যালয়ের কর্মচারী এবং তার ছেলে জিহাদ জংগলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জাহিদুল সরকারি চাকুরির পাশাপাশি চাষাবাদ করেন। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ছেলে জিহাদকে নিয়ে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে পাট জাগ দিতে গিয়েছিলেন জাহিদুল। পাট জাগ দেওয়া শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে নদীর মাঝ থেকে তীরে ফিরছিলেন। হঠাৎ জাহিদুল পানিতে ডুবে যায়। এরপর ছেলে জিহাদ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সেও ডুবে যায়। বিষয়টি নদীর তীরে থাকা স্থানীয় ফয়জুল হক (৬৫) টের পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন।
পড়ুন: দিনাজপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু, রাবার ড্যামে কিশোর নিখোঁজ
পরে এলাকাবাসী প্রায় দেড়ঘণ্টা নদীতে খোঁজাখুঁজি করে প্রথমে ছেলে জিহাদ এবং পরে একই স্থান থেকে তার বাবা জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফয়জুল হক বলেন, পাট জাগ দেওয়া শেষে জাহিদুল তার ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ফিরছিল। হঠাৎ প্রথমে বাবা এবং পরে ছেলে পানিতে ডুবে যায়। ডুবতে দেখে দ্রুত স্থানীয়দের খবর দিই।
নিহত জাহিদুল ইসলামের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে খাচ্ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত নদীতে গিয়ে দেখি শত শত মানুষ। সবাই উদ্ধারের চেষ্টা করছে। পরে ৪টার দিকে বাপ বেটার লাশ পাওয়া যায়। তার ভাষ্য, পাট জাগ দেওয়ার জন্য জাহিদুল ছুটিতে ছিল আজ। বাপ বেটা দুজনেই সাঁতার জানত।
নদীতে ডুবে বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলছে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশিদুল ইসলাম তুষার।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্দ্র প্রসাদ বিশ্বাস বলেন, নদীতে পাট জাগ দিতে গিয়ে বাবা ও ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসী লাশ উদ্ধার করেছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন খাঁন বলেন, পাট জাগ দিতে গিয়ে পানিতে ডুবে বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।
১৩৬ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বজনদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে কুমারখালীর শহরতলীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকা থেকে ৮-১০ জন দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। রফিক আওয়ামী লীগ করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর রফিক আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গড়াই নদীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে তাকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়। এছাড়া গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় নাশকতার মামলায় রফিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘নাশকতা মামলার রফিককে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২১৭ দিন আগে
কুমারখালীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীর চরে কাটা ধান পলিথিন দিয়ে ঢাকতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
বু্ধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতান গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জহুরুল ওই গ্রামের মৃত চয়ন উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,পদ্মা নদী শুকিয়ে চর জমেছে। সেখানে কৃষক জহুরুল ধান চাষ করেছিলেন। বুধবার সকালে পাকা ধান কেটে রেখে এসেছিলেন তিনি। দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে পলিথিন নিয়ে কাটা ধান ঢাকতে যান জহুরুল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাড়ে কৃষক জহুরুলের জরাজীর্ণ টিনশেডের ঘর। ঘরের ছোট্ট বারান্দায় রাখা রয়েছে মরদেহ। উৎসুক জনতা শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেছেন। স্বজনরা আহাজারিতে ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত
এ সময় জহুরুলের ভাতিজা মুন্না শেখ বলেন, ‘আমি আর চাচা একসঙ্গে কাজ করছিলাম। হঠাৎ বিশাল শব্দ করে ডাক ( বজ্রপাত) মারে। তখন চাচা এক দিকে আর আমি আরেকদিকে উল্টে পড়ি। পরে ছুটে এসে দেখি তার কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। শরীরের এক পাশ পুড়ে গেছে।’
এদিকে ফিরোজ মাহমুদ নামে এক কলেজে ছাত্র জানান, ১৫ বছর আগে জিয়ারুল নামে আরও এক যুবক ফুটবল খেলতে গিয়ে একই স্থানে বজ্রপাতে মারা গিয়েছিলেন। তার ভাষ্য, আকাশে মেঘ হলে সবাইকে সতর্ক হওয়া উচিৎ।
জহিরুলের মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
২১৯ দিন আগে
কুমারখালীতে ৬৭৫০ কৃষকের মাঝ প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ
উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২০২৪-২৫ রবি মৌসুমে ৬ হাজার ৭৫০ জন কৃষককে প্রণোদনার ১১ প্রকার ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফী মো. রফিকুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস জানান, প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে এক হাজার ৭৫০ জন কৃষককে ২০ কেজি করে গমের বীজ ও ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ২৫০ জনকে ২ কেজি করে ভূট্টার বীজ এবং ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, দুই হাজার ৩৫০ জনকে ১ কেজি করে সরিষা বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ২০ জনকে ২০ কেজি করে সূর্যমুখী বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ৫০ জনকে ১০ কেজি করে চিনাবাদাম বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ৩৫০ জনকে ১ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও রাসায়নিক সার, ৬০ জনকে ৫ কেজি করে মুগডাল বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি, ৫ কেজি এমওপি সার, ৫৫০ জনকে ৫ কেজি করে মসুর বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার, ১৫০ জনকে ৮ কেজি করে খেসারি বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার, ৪০ জনকে ২ কেজি করে আড়হড় ( আড়ল) বীজ এবং ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং এক হাজার ২০০ জন কৃষককে দুই কেজি করে উচ্চফলনশীল জাতের ধানের বীজ বিতরণ করা হয়।
৩৯৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. সবুজ ও বিপ্লব হোসেন নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সান্দিয়ারা লাহিনীপাড়া সড়কের চাপড়া ইউনিয়নের চাপড়া সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
নিহত দুইজন হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সবুজ এবং একই উপজেলার বাড়াদী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুইটি মোটরসাইকেলই অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। এ জন্য নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে তারা গুরুতর আহত হন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বিকাল ৩টার দিকে সবুজের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে গাড়িচাপায় ভ্যানচালক নিহত
৫৮৬ দিন আগে
কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সহিংসতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানালেও অস্বীকার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেরকালোয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
গুলিবিদ্ধ দুই ভাই ওই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে মো. জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)।
তারা বর্তমানে ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুজনই জেলে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বেরকালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী অভিযোগ করে জানান, সাবেক মেম্বর খালেক ও তার দুই ছেলে রিপন এবং লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তারা নিয়মিত জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসব নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ওই গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় প্রতিপক্ষ তাদের উপর হামলা চালায়। সকালেও তার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
তার দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। অতীতের ঘটনায় কয়েকটি মামলা চলমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মেম্বরের ছেলে রিপন আলী মুঠোফোনে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করেছিল। সেজন্য তারাও প্রতিপক্ষকে পাল্টাধাওয়া দিয়েছিলেন। সে সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এলাকাবাসী জানায়, সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। অতীতেও কয়েকবার সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬৯৩ দিন আগে
১০ দিনেও খোঁজ মিলেনি কুমারখালীর নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি রাজিব আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার।
স্বজনদের দাবি, গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
রায়হানা জানান, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তার বাবার বাড়ি খোকসায় আছেন। তার স্বামী কুমারখালী শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া আসা করে। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তার স্বামী মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিল শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর) তিনি ( রাজিব) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।
তিনি আরও জানান, ওই দিন বিকাল থেকেই তিনি তার স্বামীকে স্বজন, বন্ধুসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন তিনি।
রায়হানা বলেন, স্বামী রাজিবের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তাদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তারা। থানায়ও গিয়েছেন। তবুও ভাইকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল।
রাজিব আহমেদকে তার স্ত্রী রায়হানা মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেন সান্টু।
পূবালী ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ জানান, রাজিব খুব ভদ্র, নম্র ভালো মানুষ। অফিসে কারো সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। গত ২০ ডিসেম্বর শেষ অফিসে এসেছিলেন রাজিব।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৭০৪ দিন আগে
কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে ২ জনের মৃত্যু!
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে আরও একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ইসলাম (৫০) নামের এক মোটর শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগের দিন শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে মারা যান কাশেম আলী (৪০)।
নুরুল ইসলাম উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘরমধুয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে এবং কাশেম আলী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার দুর্বাচারা গ্রামের নুর ইসলাম পটলের ছেলে।
এ ছাড়াও, মো. গঞ্জের আলী নামে একজন অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দুর্বাচারা গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে।
জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যায় নুরুল ইসলাম ও মো. কাশেম আলী অ্যালকোহল পান করেন। এরপর গঞ্জের আলীসহ তিনজনে পুনরায় ওই অ্যালকোহল পান করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টায় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ায় স্বজনেরা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই চিকিৎসাধীন কাশেম মারা যান। পরের দিন রবিবার রাত ৮টায় নুরুল ইসলাম মারা যান। গঞ্জের আলী এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও তাপস কুমার সরকার জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা গেছেন। এঘটনায় এখনও একজন চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় নারী নিহত, আহত ৩
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
৭৩২ দিন আগে
কুমারখালীতে ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার, যুবক আটক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় ১০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মো. সালাউদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে আটককের দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বড় মসজিদ সড়ক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. সালাউদ্দিন কুমারখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের খয়েরচারা মাঠপাড়া গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক অভিযানে ১০০ লিটার চোলাই মদসহ সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় ১৩২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ, ব্যবসায়ী আটক
কুড়িগ্রামে বিদেশি মদ জব্দ, আটক ২
৭৭৮ দিন আগে
কুমারখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় এনজিওকর্মী নিহত
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় এক এনজিওকর্মী নিহত হয়েছেন। রবিবার (১ অক্টোরব) ৭টার দিকে উপজেলার কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পুটিয়া এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শিমা খাতুন (৩২) নন্দনালপুর ইউনিয়নের বজরুখ বাঁখই গ্রামের হারুন প্রামাণিকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।
এছাড়াও, তিনি খোকসা ব্র্যাক এনজিওর হিসাবরক্ষক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে হানিফের বাসের ধাক্কায় এনজিওকর্মী নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার ৭টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের আলাউদ্দিন নগর থেকে স্কুটি চালিয়ে কুমারখালীর দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় পুটিয়া এলাকায় পৌঁছালে পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে সড়ক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ বলেন, ওই এনজিওকর্মীকে অজ্ঞাত একটি ট্রাক পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া চৌড়হাঁস হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় প্রবাসী নিহত
রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় রিকশা আরোহী নিহত
৭৯৬ দিন আগে