ডায়রিয়ার প্রকোপ
নাটোর হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত দেড় শতাধিক
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নাটোর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লার দেড় শতাধিক বাসিন্দা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে নাটোর সদর হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছেন শতাধিক রোগী।
পানিবাহিত কারণে এসব এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে কিনা- তা তদন্ত করতে পৌরসভার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা এলাকাগুলো পরিদর্শন করে পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
আক্রান্তরা জানান, গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে হঠাৎ করে পৌর এলাকার ঝাউতলা, কাঠালবাড়িয়া, চৌকিরপাড়, ডোমপাড়া, উলুপুর মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রাত থেকে একের পর এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী সদর হাসপতালে আসতে থাকে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমি খাতুন।
তিনি বলেন, সব রোগীই ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছে।
নাটোর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার সরকার জানান, আমরা পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে এটি পানিবাহিত বলে মনে হচ্ছে না। তবে নমুনা পরীক্ষার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে পাঠানো হবে।
নাটোর পৌরসভার ওয়াটার সুপারভাইজার রবিউল ইসলাম জানান, আমরা সরেজমিনে আক্রান্ত এলাকাগুলো ঘুরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, পানি পরীক্ষা করেছি। প্রাথমিকভাবে পানিতে জীবানুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: যৌথ ব্যবস্থাপনায় চলবে ঢাকা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল
তিনি বলেন নাটোর পৌরসভার ১২টি পাম্পের সাহায্যে একযোগে পানি উত্তোলন করে ইন্টার কানেকশনের মাধ্যমে পুরো পৌর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। পানি খেয়ে এমন হলে পুরো নাটোর পৌর এলাকার মানুষ— যারা সাপ্লাই পানি পান করেন সবার আক্রান্ত হওয়ার কথা।
অতি গরমের কারণে খাবার থেকেও হতে পারে বলে ধারণা তার।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফিন হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানান, বিষয়টি অনুসন্ধানে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই করে কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
৯২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ, বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে শিশুদের ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেড়েছে। রোটা ভাইরাসের প্রভাবে শীতের হিমেল হাওয়ার কারণে ডায়রিয়া বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই অভিভাবকদের বাড়তি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, বেডের তুলনায় সাত গুণ রোগী হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে শীতকালীন রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন অন্তত ৬০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা ও ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে বারান্দার চারদিকে কাপড় দিয়ে ঘিরে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর স্বজনরা ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে
সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের তাসলিমা বেগম আড়াই বছরের নাতনী তাইয়েবাকে নিয়ে দুইদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ওয়ার্ডের ভেতরে তো দূরের কথা বারান্দাতেই জায়গা পাওয়া যায় না। পাটি বিছিয়ে গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। বাইরে থেকে সবকিছু কিনতে হচ্ছে। ওষুধ, এমনকি খাবার স্যালাইনও কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।
১৪৪২ দিন আগে
যশোরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে
যশোরে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
২০৮৯ দিন আগে