অনুসন্ধান ফলাফল - টিসিবি
মোট - 84
আগামীকাল থেকে টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় শুরু
নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম আগামীকাল রবিবার (১০ আগস্ট) থেকে শুরু হবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবির উপপরিচালক মো: শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারগুলোকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তদুপরি, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি, চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি, ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি এবং বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা হবে।
পড়ুন: ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ, ৬ জেলার যান চলাচল বন্ধ
অন্যদিকে, ১০ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ব্যতীত) এই জেলা ও মহানগরীগুলোতে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ৫০০ জন সাধারণ ভোক্তার নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মশুর ডাল) বিক্রয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ভোক্তা প্রতি ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩0 টাকা, চিনি ১ কেজি ৮0 টাকা এবং মশুর ডাল ২ কেজি ১৪0 টাকায় বিক্রি করা হবে।
স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে বিক্রয় মূল্য আগের মতোই বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
১১৮ দিন আগে
বাজেটে: বাড়ছে ভাতা, টিসিবির আওতায় আরও ৫ লাখ পরিবার
নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বয়স্ক, বিধবা, মহিলা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মা ও শিশু সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সুবিধাভোগী আরও ৫ লাখ পরিবার বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) নতুন অর্থবছরের ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপনকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র হ্রাস, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিতে এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ও মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধির দিকে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে।
এবারের বাজেটে বয়স্ক ভাতা মাসিক ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, প্রতিবন্ধী ভাতা ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা এবং মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির আওতায় মাসিক ভাতা ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
এছাড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য মাসিক ভাতার হার ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। টিসিবি সহায়তা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, মূল্যস্ফীতির কষাঘাত থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ৫৭ লাখ পরিবারকে টিসিবি কার্ডের আওতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
এবারের বাজেটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর মেয়াদ ৬ মাসে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৫ লাখ পরিবারকে টিসিবির আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
১৮৬ দিন আগে
৩০ জুনের মধ্যে টিসিবি উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্ত হবে
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ( টিসিবি) পণ্য বিতরণ কার্যক্রমের আওতায় জেলাভিত্তিক উপকারভোগীদের সম্পূর্ণ তালিকা আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে।
রবিবার (১ জুন) তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সারা দেশের এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারকে নতুন স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যভাবে টিসিবির পণ্য দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে ফের সচিবালয়ে বিক্ষোভ
সভায় উপকারভোগী পারিবারগুলোর মধ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ ও সক্রিয় করার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়া এবং অযোগ্য হয়েও উপকারভোগীর কার্ড নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পিআইডি জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মোট ৫৭ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১২টি কার্ড সক্রিয় করা হয়েছে এবং প্রায় ১৬ লাখ কার্ড নিষ্ক্রিয় থাকার কারণে বাতিল করা হয়েছে সবশেষ, ৮ লাখ ১০ হাজার ২৭৬টি নতুন স্মার্ট পারিবারিক কার্ড প্রস্তুত করে জেলা প্রশাসনের কাছে বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মে পর্যন্ত মোট বিতরণ করা স্মার্ট পারিবারিক কার্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৬১ হাজার ২৮৮টি।
১৮৭ দিন আগে
টিসিবির কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
দেশের সুবিধাবঞ্চিত কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে টিসিবির কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়নোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল ) দুপুরে ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আয়োজিত ‘ট্রেড উইথ টিসিবি’ শীর্ষক বিজনেস টক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে জাপানি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বাণিজ্য উপদেষ্টার
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘পাঁচ আগস্ট বিপ্লবপূর্ববর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে যে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর থেকে মুক্ত ছিলো না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভিজিটকালে তার অনেক প্রমাণ পেয়েছি।’
উপকারভোগী নির্বাচন করতে বিগত সময়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিদর্শনকালে জুট মিলের মালিকের টিসিবি কার্ড দেখেছি ,পাঁচতলা বাড়ির মালিকের এবং প্রশাসনে কর্মরতদের বাড়িতেও তিনটি কার্ড দেখতে পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে দুর্বৃত্তায়নের যে প্রতিচ্ছবি দেখেছি, সেখান থেকে মনে হয়েছে মানুষের মনে সরকারের ব্যবস্থাপনা ও মাঠ প্রশাসনের ওপর যে আস্থা, সেটা কখনই কাজ করবে না, যদি যোগ্য লোক দেখে প্রতিদিন তার অধিকার অতিক্রম করছে (বঞ্চিত করছে) দুর্বৃত্তরা এবং এই দুর্বৃত্তায়ন সামাজিকভাবে সামগ্রিকভাবে আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।’
টিসিবির কার্যক্রমে পরিবর্তন আনার আকাঙ্ক্ষা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কর্মকালে টিসিবিকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানের প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টার আহ্বান
এককোটি পরিবারের জন্য সরকার ১২/১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এই টাকার যোগ্য ব্যবহার দেখতে চাই। এটার জন্য যোগ্য উপকারভোগী নির্বাচন করতে চাই এবং একই সাথে এই টাকায় অধিক পণ্য ক্রয় করতে চাই। সেজন্য ব্যবসায়ীদের টিসিবির কাজের সাথে অংশগ্রহণ দেখতে চাই। এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্য সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে, মানুষ তার যোগ্য স্থান ফিরে পাবেন।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।স্বাগত বক্তব্য রাখেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ।
২২৬ দিন আগে
শৈলকুপায় শতাধিক টিসিবি কার্ডের পণ্য নেওয়ার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কার্ড ছাড়াই টিসিবির পণ্য জোর করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) শৈলকূপার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিক্রি করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খবরের সত্যতা পান। প্রকাশ্যে টিসিবির পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কাঁচেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াস লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ১০০টি কার্ডের বিপরীতে টিসিবির পণ্য নিয়ে যান। ডিলারের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারধরের হুমকি দেন।
শৈলকুপা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউনিয়নের প্রশাসক মো. শরীফ উদ্দীন জানান, টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে যুবদলের আহ্বায়ক জুলিয়াসের নেতৃত্বে অন্তত ১০০টি টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত টিসিবির মাল ফেরৎ কিংবা টাকাও দেয়নি। পরে তিনি ইউএনওকে ঘটনাটি অবহিত করেন বলে জানান।
টিসিবির ডিলার মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষ জানায়, হুট করেই জুলিয়াসের লোকজন এসে ১০০টি কার্ডের পণ্য জোর করে নিয়ে যায়। বিষয়টি তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১০০টি কার্ডের পণ্য তিনি কিনে বৃহস্পতিবার বিতরণ করবেন। তবে যুবদল নেতা জুলিয়াস ১০০টি পণ্যের দাম পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু এখনো টাকা পায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা জুলিয়াস বলেন, ঘটনাস্থলে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করুন। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। কে বা কারা টিসিবির পণ্য নিয়ে গেছে আমি কিছুই জানি না। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এরকম অভিযোগ তুলেছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক
কাঁচেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দীন বলেন, ঘটনা শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। জুলিয়াস মালগুলো ফেরত দিতে চেয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে কিনা জানিনা। ব্যক্তির দায় দল বহন করবে না বলেও জানান তিনি।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, টিসিবির পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। তবে থানায় এখনো পর্যন্ত টিসিবির ডিলার বা অন্য কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রশাসনকে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এখনো কেন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না তা আমি খতিয়ে দেখছি।
২৭৫ দিন আগে
বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে আগামী বুধবার থেকে ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হবে। ইতোমধ্যে এ কার্যক্রম ছয় জেলায় চলমান আছে। নতুন করে ৫৬ জেলায় কার্যক্রম যুক্ত হবে।
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে চাই। প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা রাখতে হবে।
চলতি মাসের ১৭ তারিখের মধ্য সকল উপকারভোগীকে স্মার্ট কার্ড পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দ্যেশে উপদেষ্টা বলেন, ৫৭ লাখ উপকারভোগী স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য পাবেন। যাদের এখনও স্মার্টকার্ডের কার্যক্রম শেষ হয়নি, কিন্তু তালিকায় নাম আছে তারাও পণ্য পাবেন। এছাড়া ৬৪ জেলায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে সর্বসাধারণের মাঝে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।
আরও পড়ুন: দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা
‘রমজানে কেউ যাতে মজুতদারি করতে না পারেন, জেলা প্রশাসকদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একই সাথে ভোক্তারা যেন পুরো মাসের বাজার একসাথে না করেন; সে বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে হবে। একসাথে পুরো মাস বা সাত দিনের পণ্য কিনলে সরবারহ সংকটে কেউ কেউ দাম বাড়িয়ে নেয়।’
তিনি বলেন, আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চাই। কারো প্রতি জুলুম করা হবে না, তবে কেউ জুলুম করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসময় অন্যায় প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের সর্বশক্তি নিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান,অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
২৭৮ দিন আগে
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাক সেল চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় সকল বিভাগীয় সদর ও ৫টি দরিদ্র পীড়িত এলাকাসহ মোট ১৩টি এলাকায় ১২ লাখ পরিবারের মাঝে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছি।’
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমান ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তূকিমূল্যে পণ্য সরবারহ করে থাকে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এই ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ড অ্যাক্টিভেশন হবে এবং এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
এই সংখ্যাকে আরও বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ১২ লাখ পরিবারকে রমজান মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ট্রাক সেল কার্যক্রম চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বন্ধ পাটকল ব্যক্তিখাতে লিজের মাধ্যমে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এর বিনিময়ে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ৯ হাজার টন পণ্য এই কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি হবে। এই কার্যক্রমে বাজার নিম্নগামী ও সহনশীল হবে। এতে প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে।’
খুলনার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস।
টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, ১ কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ও চিনি ১৫৬ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
২৯৭ দিন আগে
টিসিবির জন্য ২১৩ কোটি টাকায় চিনি-ডাল কিনবে সরকার
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার করে মোট ২০ টন চিনি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে ব্যয় হবে ২১৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
এরমধ্যে ১১৫ টাকা ৪২ পয়সা কেজি দরে চিনি ও ৯৮ টাকা ৪৫ পয়সা কেজি দরে মসুর ডাল কেনা হবে। ফ্যামেলি কার্ডধারীদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে এসব চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১০ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এছাড়া সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ১১৫ কোটি ৪২ লাখ টাকায় চিনি কেনা হবে। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১১৫ দশমিক ৪২ টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে চিনি কেনার লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার টন কেনার চুক্তি হয়েছে। নতুন করে এখন আরও ১০ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আরও পড়ুন: টিসিবির ওএমএস কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক
এদিকে বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে (ওটিএম) ১০ হাজার টন মসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
শেখ অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৯৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় এ ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ৯৮ দশমিক ৪৫ টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মসুর ডাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৮৮ হাজার টন। এ পর্যন্ত ক্রয় চুক্তি হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫০ টন। আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিলো উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৩১১ দিন আগে
টিসিবির ট্রাক সেল ফের চালুর দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেল ফের চালু করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে নতুন করে দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়াকে সমর্থন করে না বলেও জানিয়েছে দলটি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক না বাড়াতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘এতে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসার খরচ বাড়বে যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
‘সরকার তার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য করের আওতা বাড়াবে, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যাতে নেমে না যায় এবং তাদের ভোগান্তি যাতে না বাড়ে, সে বিষয়টি সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের গণবিরোধী লুটেরা অর্থনৈতিক নীতি ও বিদেশে সীমাহীন অর্থপাচারের ফলে সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্তের জীবন ইতিহাসের সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে। মহামারি করোনায় নিঃস্ব হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিল অনেক পরিবার যারা আর শহরে ফিরতে পারেনি। অথচ সরকারি মেগা প্রজেক্টে বিদেশ থেকে কর্মী এনে কাজ করানো হয়েছিল।’
‘আবার বাংলাদেশের বেকার শ্রমিক বসতভিটা, কৃষিজমি ও হালের গরু বিক্রি করে বিদেশে কাজ করতে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। কারণ, বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর খাতে তৈরি হয়েছিল সিন্ডিকেট। গার্মেন্টসে কাজ করতে গিয়ে নারী শ্রমিক ন্যায্য মজুরি ও বেঁচে থাকার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছেন। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত তার কষ্টের কথা বলতে না পেরে হয় বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন, নাহয় দেশেই মানবেতর জীবন বেছে নিতে হচ্ছে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে এই মধ্যবিত্ত, এই গার্মেন্টস শ্রমিক, এই সাধারণ মানুষ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর ন্যূনতম জীবনযাপনের উপকরণগুলো সহজলভ্য হবে, ভেঙে যাবে লুটেরার সিন্ডিকেট, বৃদ্ধি পাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা, ফিরে পাবেন তাদের আত্মমর্যাদা।’
‘গরীব জনগণ যাতে স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে, সেজন্য ট্রাকে করে তেল, ডাল ও চাল বিক্রয় করে টিসিবি। এটি একটি অবমাননাকর প্রক্রিয়া। আমরা দেখেছি, এই দেশের নাগরিক কীভাবে ট্রাকের পেছনে দাঁড়িয়ে ৫-১০ টাকা কমে চাল, ডাল ও তেল কেনার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এই ধরনের প্রান্তিক মানুষদের রাষ্ট্রের কাছ থেকে ন্যূনতম যে অধিকার, ট্রাক সেল বন্ধ ঘোষণার মাধ্যমে সেটিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণের প্রতি কতটা দায়হীনতা অনুভব করলে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা আমরা কল্পনা করতে পারি না।’
অবিলম্বে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি সংক্রান্ত অধ্যাদেশগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে টিসিবির ট্রাক সেল এই মুহূর্তে চালু করার আহ্বান জানান আখতার।
এ সময়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিকল্প হিসেবে কিছু প্রস্তাবও তুলে ধরেন তিনি। জাতীয় নাগরিক কমিটির এই সদস্য সচিব বলেন, প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে হবে ও কর জাল সম্প্রসারণ করতে হবে যা সরাসরি সাধারণ মানুষের জীবনমানের ক্ষতি করবে না।
তার মতে, ‘প্রত্যক্ষ কর বাড়ানো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে অবশ্যই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিদ্যমান কর কাঠামোয় যে সীমাহীন দুর্নীতি হয় তা বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে রাজস্ব আয় বাড়বে।’
বিগত সরকার ১৫ বছরে বিদেশে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে বলে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সেগুলো দেশে ফেরত আনার জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে আহ্বান জানান তিনি।
৩২৮ দিন আগে
টিসিবির ওএমএস কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক
নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে এবার চলমান ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহর ও এর আশপাশের এলাকার পোশাককর্মী পরিবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ পোশাকশ্রমিক পরিবারকে ওএমএস কর্মসূচিতে যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনির মতো প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে তারা। ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের শ্রমিকদেরও এই সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজার স্থিতিশীল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তায় সরকারের বৃহত্তর কৌশলের অংশ হিসেবে এই সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সারা দেশে ১ কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের জন্য ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর সরকারের মনোযোগের ওপর আলোকপাত করেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করছে, পাশাপাশি বেসরকারি খাতও সরবরাহ চেইনে অবদান রাখছে। এটি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে দাম স্থিতিশীল করতে সহায়তা করবে।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, সক্রিয় বাজার মনিটরিংয়ের কারণে ইতোমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। এখন আমদানি বা উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে খুচরা মূল্যের ব্যবধান কমানো জরুরি।
তবে ওএমএস কার্যক্রমে নতুন করে ১০ লাখ পরিবার যুক্ত করার বিষয়টি স্পষ্ট করে অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, ১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবি কার্ডের যে কার্যক্রম, তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তাই সেখান থেকেই এই ১০ লাখ পরিবারের জন্য সংস্থান করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিবের ডিওর ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ ঢাকার পাশের কারখানার পোশাকশ্রমিকদের মাঝে টিসিবির নির্ধারিত পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩৭৩ দিন আগে