ব্যবসা-বাণিজ্য
উত্থানের ধারা অব্যাহত পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে টানা উত্থানের ধারা বজায় আছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। সূচক বাড়ার পাশাপাশি দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সারাদিনের লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে গতদিনের তুলনায় ২৭ কোটি টাকা। একদিনের শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয়ে মোট ৪৭১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনেও ঊর্ধ্বগতি। একদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে; যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৪০১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৭, কমেছে ১২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দরবৃদ্ধির হিসাবে তিন ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম বেড়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৯৯ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮০, অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৫৭ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৫০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২৭ এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে দুই পুঁজিবাজারে
লেনদেন হওয়া মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম অপরিবর্তিত ছিল। ১৭ কোম্পানির দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন, দাম বেড়েছে ১৩ কোম্পানির এবং কমেছে ৭ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৮ কোম্পানির ৪১ লাখ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড একাই ৭ লাখ শেয়ার ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নাম। একদিনের ব্যবধানে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে শিকদার ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার।
ডিএসই'র মতো সিএসইতেও ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে আছে লাভেলো আইসক্রিম পিএলসি।
২৩ ঘণ্টা আগে
পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে সামান্য, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির
ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হলেও সূচক বেড়েছে সামান্য। পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে মাত্র ১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০-এর উত্থান ছিল দশমিকের ঘরে।
সারাদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০, কমেছে ১৮৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিতে দামবৃদ্ধির পরিমাণ বেশি। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৭৮, কমেছে ১০৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ২৪, কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
অন্যদিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ১৯ কোম্পানির ২৫ লাখ শেয়ার ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের ২ লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার সর্বোচ্চ ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ দাম কমে তলানিতে অবস্থান করছে অনিলমায়ার্ন ডায়িং লিমিটেড।
বিনিয়োগকারীদের ১৭০ শতাংশ ফেসভ্যালু প্রতি লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে টেলিকম খাতের কোম্পানি গ্রামীণফোন। চলতি বছর এপ্রিলের ২৩ তারিখে কোম্পানিটির বার্ষিক সভা হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, গ্রামীণফোনে শেয়ারপ্রতি লাভ হয়েছে ২৬ টাকা ৮৯ পয়সা। লভ্যাংশ ঘোষণা দেওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে সার্কিট ব্রেকার তুলে দেয়া হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লভ্যাংশ না দেওয়ায় ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি বেকন ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড এবং রহিমা ফুড করপোরেশন লিমিটেডকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ডিএসই। ২০২৪ সালে বেকন ফার্মাসিটিক্যালস ২০ শতাংশ এবং রহিমা ফুড ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও পেরিয়ে গেছে নির্ধারিত সময়।
‘বি’ ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস পিএলসি দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ডিএসসি কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে প্রেরণ করেছে। মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউসকে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নতুন এ তিন কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের কোনো ঋণ না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ডিএসই।
মঙ্গলবার ডিএসই তালিকাভুক্ত মোট পাঁচ কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের পূর্বঘোষিত লভ্যাংশ প্রদান করেছে। এদের মধ্যে ফার্মা এইডস সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড ২৩ শতাংশ, লাভেলো আইসক্রিম ১০ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেম লিমিটেড ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং জিকিউ বলপেন লিমিটেড ৩ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।
খাতভিত্তিক বিশ্লেষণে, একদিনের লেনদেন ডিএসইতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে কাগজ এবং প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দাম বেড়েছে তালিকাভুক্ত ৬ কোম্পানির সবকটির।
এদিকে ১ দশমিক ২৭ শতাংশ দাম হারিয়ে পতনের মুখে পড়েছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের সাত কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৫ এবং বেড়েছে ২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে সূচক। সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮০, কমেছে ৮৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
সিএসইতে দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কোম্পানি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাম হারিয়ে এভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেড অবস্থান করছে তলানিতে।
ডিএসসিতে সামান্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি টাকা। একদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমেছে সিএসইতে। একদিনে সিএসইতে মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
১ দিন আগে
তৃতীয় দিনের লেনদেন শুরু সূচকের উত্থানে
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে ঢাকার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।আরও পড়ুন: টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ১৬২ কোম্পানির, কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৫০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১, কমেছে ১৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
২ দিন আগে
জানুয়ারিতে বাংলাদেশের ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ৪৪৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এটিও আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল আড়াই হাজার কোটি ডলার।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের রপ্তানি কার্যক্রমের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের স্থিতিস্থাপকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা প্রদর্শন করে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তুলে ধরেছে।
অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অধিকাংশ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১২ শতাংশ, নিটওয়্যার ১২ শতাংশ এবং বুনন পোশাক খাতে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানির ভিত্তি শক্তিশালী করুন: ড. ইউনূস
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত মাছ এবং প্লাস্টিক পণ্যসহ অন্যান্য প্রধান রপ্তানি খাতেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়।
রপ্তানি সম্পর্কে একটি আনুষ্ঠানিক মন্তব্যে ইপিবি বলেছে, এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যটি বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
২ দিন আগে
টানা দুদিন ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান
গত সপ্তাহের লাগাতর পতনের পর চলতি সপ্তাহে টানা দুদিন উত্থান দেখল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সারাদিনের লেনদেন দুই পুঁজিবাজারেই বেড়েছে সূচক এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট। গতদিন ১৩ পয়েন্ট বৃদ্ধির পর আবারও উত্থানে প্রধান সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৪৫ পয়েন্টে।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৩ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১৯, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি আছে দরবৃদ্ধির তালিকায়। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ১২৩, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৪৬ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ৪৭ কোম্পানির, কমেছে ১৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯, কমেছে ৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ইস্যুকৃত ৪ করপোরেট বন্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত আছে ৩ এবং কমেছে একটির দাম।
সোমবার ব্লক মার্কেটে মোট ২৪ কোম্পানির ২৯ লাখ শেয়ার ১৪ কোটি টাকার ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মিডল্যান্ড ব্যাংক ১২ লাখ শেয়ার ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
সূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন। সাত কার্যদিবস পড় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে চারশ’ কোটির ঘর। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে ৪৩১ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিনের তুলনায় ৫৬ কোটি টাকা বেশি।
বাজার উত্থান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দেওয়াই এখন কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। একদিন সূচকের ব্যাপক উত্থান হলো, আরেকদিন রীতিমতো ভরাডুবি; এ ধরণের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে থেকে বাজারকে রক্ষা করতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
বাজার সংস্কার প্রসঙ্গে রেজাউল বলেন, টাস্কফোর্স পুরোদমে কাজ করছে। টাস্কফোর্সের কাজের সুবিধার্থে ফোকাস গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। বাজারে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানকল্পে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দিনের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে সূচক কমলেও সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। লেনদেন শেষে সিএসই'র সার্বিক সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
লেনদেন হওয়া ২০৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১০০, কমেছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সারাদিনে মোট ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সিএসইতে একদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দরবৃদ্ধি হয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ইনটেক লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে আছে হামিদ ফেব্রিকস পিএলসি।
ডিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে সাড়ে ৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে পড়েছে মেঘনা সিমেন্ট মিলস।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
২ দিন আগে
উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু দেশের পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দিনের শুরু থেকেই সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, যে ধারা বজায় ছিল দিনের শেষভাগ পর্যন্ত।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
সারাদিনের লেনদেন দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮৭, কমেছে ১৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ কোম্পানি বিভিন্নহারে বিনিয়োগকারীদের শেয়ারপ্রতি ফেস ভ্যালুর ওপর তৃতীয় প্রান্তিকের লভ্যাংশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও ‘এ’ ক্যাটাগরির অধিকাংশ কোম্পানি ছিল দাম কমার তালিকায়। এই ক্যাটাগরিতে দাম কমেছে ১০২ কোম্পানির, বেড়েছে ৮৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৫৩, কমেছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ দাম বেড়েছে ৪৯, কমেছে ২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল অপরিবর্তিত। দাম বেড়েছে ১১ কোম্পানির, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ৩৩ কোম্পানির ৫১ লাখ শেয়ার ১৮ কোটি টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড একাই শেয়ারপ্রতি ৯৬ দশমিক ৯০ টাকা সর্বোচ্চ দরে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৯৩৪ শেয়ার ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
রবিবার দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি গোল্ডেন সন লিমিটেড। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। এদিকে জিল বাংলা স্যুগার মিলস লিমিটেডের শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে।
ডিএসইতে প্রধান সূচক বাড়লেও সূচক কমেছে এসএমই খাতে। একদিনের লেনদেনে ১৮ পয়েন্ট হারিয়ে এসএমই ইনডেক্সে সূচক কমেছে দেড় শতাংশের বেশি। লেনদেন হওয়া ১৮ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২ এবং বেড়েছি ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: প্রথম কার্যদিবসে উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
সূচকের উত্থান হলেও ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৩৩ কোটি টাকা। দিন শেষে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট ৩৫৬ কোটি টাকার সূচক এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩৮৯ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সারাদিনের লেনদেনে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭, কমেছে ৭৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই'র মতোই সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে সিএসইতে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
৩ দিন আগে
পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (ইউএনবি)-
সপ্তাহজুড়ে পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন, টার্নওভার এবং সামগ্রিক রিটার্ন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা স্বল্পসময়ে মুনাফা তুলতে ঝুঁকছেন জেড ক্যাটাগরির তুলণামূলক খারাপ কোম্পানির দিকে।
পাঁচ কার্যদিবসে (২৬-৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ৫১৬৬ পয়েন্ট দিয়ে রবিবার লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫১২২ পয়েন্টে।
একইভাবে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহে ডিএসইর এসএমই ইনডেক্সের সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা, যা পূর্বের সপ্তাহে ছিল ৪১২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭৪ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজারের মোট টার্নওভার। মোট টার্নওভার হয়েছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহের ব্যবধানে সামগ্রিকভাবে বাজারে দাম বেড়েছে মোট ৯৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকি ২৭২ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দরপতন প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মিচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ পতন ১৫ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহ ভালো যায়নি আইটি খাতেও। এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ। একইভাবে ওষুধশিল্পে পতনের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকৌশল এবং সিরামিক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মাত্র চার খাতে। বাকি ১৯ খাতে রিটার্ন ছিল নেতিবাচক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেডে। পাঁচ দিনে কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
অন্যদিকে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক সপ্তাহে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ রিটার্ন হারিয়ে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে নেই কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। শীর্ষ দশের মধ্যে দরবৃদ্ধির ৬ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির এবং বাকি ৪ ‘বি’ ক্যাটাগরির।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে নেই কোনো ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি ছিল এ সপ্তাহের তলানিতে থাকা শেয়ার।
ব্রোকারেজ হাউসগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা তুলে ক্ষতি পোষাতে খারাপ শেয়ারে দেদারসে বিনিয়োগ করছে। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমেছে বাজারে। অন্যদিকে লভ্যাংশ না দেওয়া বা স্বল্প লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিতে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।
৬ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠন ও ঋণ আদায় নিশ্চিতে সুপারিশ কমিটি
নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতা প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এবং সমস্যাসংকুল প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠানকে নীতি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে কিনা; তা যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করবে এই কমিটি।এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির কার্যপরিধিতে ৫০কোটি ও তার চেয়েও বড় অংকের যেসব ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে শ্রেণিকৃত হয়েছে, সেগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আর শিখা বলেন, পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মেজবাহ-উল-হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ মামুন রশীদ, হক বে থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধি আবদুল হক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
কাজটি শেষ করার ক্ষেত্রে কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মাসে সর্বোচ্চ দুবার বৈঠকের জন্য তাদের পারিতোষিক দেওয়া হবে।
৬ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার একের পর এক পতন দেখেছে। লেনদেনের শেষদিনে সূচকের পতন না হলেও হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য উত্থান। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইক্স ছিল শূন্যের কোটায়, সূচক বেড়েছে মাত্র দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৩ পয়েন্ট আর ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে ৫৪ পয়েন্ট।
সূচকের বেহাল দশায় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুরো সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবসে সূচক কমেছে। শেষ কার্যদিবসে সূচকের যা উত্থান হয়েছে, তা নিতান্তই নগণ্য। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নি দিনকে দিন কমতে থাকবে বলে জানান তারা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ বিনিয়োগকারী তাদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন, যা বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ১২০ কোম্পানির দামবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩, কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৩০ কোম্পানির, কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ কোম্পানির দাম কমেছে, অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানি এবং বেড়েছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোম্পানির ৩২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার ১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বেশি দাম হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। শেষ কার্যদিবসে মোট ৩৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারেও সূচকের বড় পতন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির, বেড়েছে ৬০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ডিএসই'র মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। বৃহস্পতিবার সিএসইতে মোট ১২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ঢাকার পুঁজিবাজারেও মতো চট্টগ্রামেও দরপরতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
৬ দিন আগে
টানা চতুর্থদিনের মতো পতনের মুখে পুঁজিবাজার
টানা চতুর্থদিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুর ঘণ্টা থেকে পতনের ধারা অব্যাহত ছিল শেষ পর্যন্ত। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি সূচকের পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
ডিএসইর শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ৭ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক কমেছে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ২০৬, বেড়েছে ১২৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা পতনের মুখে পুঁজিবাজার, তিন দিনে সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট
ক্যাটাগরি হিসেবে, ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ৮০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩ কোম্পানির শেয়ার দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ২২ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘জেডে’ ৪৯ কোম্পানির দাম কমেছে। বেড়েছে ২১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানি, কমেছে ১০ এবং বেড়েছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৯ কোম্পানির ২৯ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ডিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩১৪ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩২৮ কোটি টাকা।
ডিএসইর এসএমই খাতের শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ঢিলেঢালাভাবে। এই খাতের ডিএসএমইএক্সের সূচক বেড়েছে ১ শতাংশেরও কম।
সারাদিনের লেনদেন এ খাতে মোট ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বেড়েছে ৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বেশিরভাগ কোম্পানির দাম কমলেও এ খাতে গতদিনের তুলনায় লেনদেন সামান্য বেড়েছে। মঙ্গলবার এই ইনডেক্সে মোট ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে বিশেষ বিনিয়োগের পরিমাণ ও সময়সীমা বাড়াতে গভর্নরকে চিঠি
সূচকের পতনের দিনেও হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলসের শেয়ারের দাম ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে ছিল কোম্পানিটি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দাম কমে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রিমিয়াম সিমেন্ট মিলস পিএলসি।
সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৯১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৯৭, বেড়েছে ৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি সিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সিএসইতে গত দিনের ১০ কোটি টাকার লেনদেন বুধবার নেমে এসেছে ৪ কোটির ঘরে।
১ সপ্তাহ আগে