স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
সেপ্টেম্বরে শুরু হচ্ছে রিহ্যাব শারজাহ ফেয়ার-২০২৪
‘প্রবাসে উপার্জন স্বদেশে আবাসন’ স্লোগান সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিটেন্স ফেয়ার-২০২৪।
৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর শারজাহর এক্সপো সেন্টারে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।
রিহ্যাবের গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর মেলার উদ্বোধন করবেন।
মেলা উপলক্ষে শারজাহতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাঝে এখন থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে। মেলায় এখনও অংশ গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, প্রবাসীদের জন্য হোম লোন ব্যবস্থা সহজ করায় মেলা থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে এ বছর।
শারজাহতে রিহ্যাবের এই মেলায় রিহ্যাব সদস্য প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
ইতোমধ্যে রিহ্যাব ইন্টারন্যাশনাল ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলিম উল্ল্যাহ এবং কো চেয়ারম্যান মো. ইমদাদুল হক বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে সাক্ষাৎ করে এসেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রিহ্যাব হাউজিং অ্যান্ড রেমিটেন্স ফেয়ার-২০২৪ সফলভাবে সম্পন্ন করতে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার ৪ ঘণ্টা খোলা ছিল ব্যাংক, দীর্ঘ লাইন গ্রাহকদের
বুধবার ৪ ঘণ্টা খোলা ছিল ব্যাংক, দীর্ঘ লাইন গ্রাহকদের
দেশজুড়ে কারফিউয়ের জেরে সব ব্যাংক টানা তিন কার্যদিবস বন্ধ থাকার পর বুধবার মাত্র চার ঘণ্টা খোলা ছিল। এ সময় গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে টানা পাঁচ দিন ইন্টারনেট ছিল না। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির পর আজ বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি অফিস ও ব্যাংক খোলা ছিল।
বেলা ১১টা থেকে ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকরা ভিড় করেন। বেশিরভাগই টাকা তুলতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের বর্জনের মধ্যে অনলাইনে মুদ্রানীতি বিবৃতি প্রকাশ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, কাকরাইলসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই প্রতিবেদক ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের অতিরিক্ত ভিড় ও দীর্ঘ লাইন দেখেছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, দিনের বেলায় নগদ জমার চেয়ে উত্তোলন হয়েছে বেশি।
গ্রাহকরা জানান, গত পাঁচ দিন ইন্টারনেট না থাকায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও অধিকাংশ এটিএম বুথ অচল হয়ে পড়েছে। এর ফলে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তোলার জন্য আজ ব্যাংকগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কাওসার আহমেদ বলেন, 'বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। নগদ টাকার অভাবে গত কয়েকদিন আমি খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারিনি। বেশ কয়েকটি এটিএম বুথ ঘুরে আমার মতো অনেককেই অসুবিধার সম্মুখীন হতে দেখেছি।’
তিনি বলেন, 'আজ ব্যাংক খোলা শুনে আমি সঙ্গে সঙ্গে এখানে চলে এসেছি।’
পূবালী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় টাকা তুলতে আসা অবসরপ্রাপ্ত জয়নাল উদ্দিন বলেন, ‘নগদ অর্থের অভাবে নানা সমস্যায় পড়েছি। কেনাকাটা ও ওষুধ কিনতে যেতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই স্বস্তি পেয়েছি যে ব্যাংকগুলো আজ খুলেছে। হাতে নগদ টাকা থাকলে মনে স্বস্তি থাকে।’
আরও পড়ুন: সীমিত পরিসরে খুলেছে অফিস-ব্যাংক; রাজধানীতে যানজট
খেলাপি ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংক ১১% বললেও প্রকৃত চিত্র ২৫%: ড. আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশে জুন মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০.৪২ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুনে বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা মে মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও সামান্য কমার কথা বলা হয়েছে। মে মাসের ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমে জুনে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: কর কাঠামো সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি, ব্যাংক ঋণের কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা
দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার মে মাসের ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে জুনে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিএস।
তবে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হওয়ায় এখন পণ্য ও সেবায় ভোক্তাদের ব্যয় হচ্ছে ১০৯ টাকা ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের জুনে ছিল ১০০ টাকা।
এর প্রভাব পড়ছে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের ব্যক্তিদের ওপর। তাদের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে পরিবারের ব্যয় পরিচালনা করতে সবচেয়ে বেশি লড়াই করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখোমুখি হচ্ছে যা ধারাবাহিকভাবে ৯ শতাংশের ওপরেই রয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল দেখা যায়নি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।
অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'মূল্যস্ফীতি করের মতো কাজ করে, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে প্রভাবিত করে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা পরিবারকে সমর্থন করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয় বাড়ানোর জন্য লড়াই করে। গত দুই বছরের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে তাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে।’
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক নীতি নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
মূল্যস্ফীতি কমাতে অপ্রক্রিয়াজাত খাদ্যের ওপর শুল্ককর সবসময় কম থাকে: ড. মশিউর রহমান
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ৩০ টাকা
শনিবার ঢাকার কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ৯৭ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
দেশি জাতের পেঁয়াজের প্রধান উৎস ফরিদপুর ও পাবনা থেকে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে।
শনিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৯৭ থেকে ১০৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, সরবরাহ সংকটের কারণে গত সপ্তাহে সব ধরনের দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি, যেখানে দাম বেশি।’
আমদানি শুল্ক, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ হিসাব করলে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও এখন বেশি বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
মাজেদ বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে মালিবাগ, কারওয়ার বাজার ও হাতিরপুল বাজারের কয়েকজন ক্রেতা কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা মাহমুদা আলম বলেন, ‘রাতারাতি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি আমাদের বিস্মিত করেছে। এভাবে মাংস, সবজিসহ সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ কী করবে!’
রাজারবাগ এলাকার গৃহকর্মী জহুরা বেগম বলেন, ‘কাঁচাবাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এখন আমরা পেঁয়াজকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মনে করি না। বেশিরভাগ সময় এটি ছাড়াই রান্না করার চেষ্টা করি।’
প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৪ মে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১৪ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বাড়ানো হয়।
নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি পাওয়া ৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচসহ সব সবজির দাম বাড়তি
ইকোনোমিক জোনে ২১.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীনের কোম্পানির চুক্তি সই
বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্যারি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদন শিল্প স্থাপনে ২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনের কোম্পানি ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেড।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝেং শুয়ং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চীনের এই কোম্পানি বছরে ১৭ লাখ ব্যাকপ্যাক, হ্যান্ডব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাগ, ক্যাপ, বেল্ট ও লাগেজ উৎপাদন করবে। এতে ২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়
ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা চাহিদা মতো এলসি করতে না পারায় গেল ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি কমলেও কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের গেল অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৭ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ টন পণ্য।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসির (লেটার অব ক্রেডিট) সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল দ্বিগুণ পরিমাণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্ক হারের পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে।
আমদানিকারক মনির হোসেন জানান, বৈশ্বিক মন্দায় ডলার সংকট দেখিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো বিনিময় হার বাড়ানোয় এলসি খুলতে পারেননি অনেক ব্যবসায়ী। এতে করে বেনাপোল দিয়ে আমদানি কমেছে ব্যাপক হারে। তবে সরকার হঠাৎ বিভিন্ন পণ্য আমদানি উপর শুল্ক বাড়ানোয় কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, অর্থবছরে শেষ দিকে উচ্চ শুল্ক হারের বেশি আমদানি এবং সরকার শুল্কহার বাড়ানোয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়। অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব পরিশোধ পূর্বক ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে বলে কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
তাছাড়া গেল অর্থবছরে সরকারের মেগা প্রকল্পের পণ্য বেনাপোল দিয়ে আমদানি হয়েছে। এতে করে কাস্টমসের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
সিমেন্ট শিট ব্যবহার প্রাণিসম্পদ খাতে বছরে উৎপাদন বাড়াবে ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি
প্রাণিসম্পদ খাতে, বিশেষ করে হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করলে দেশে বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকারও বেশি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত ‘সবুজ নির্মাণ: সিমেন্ট শিট যেভাবে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করছে’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান।
ইআরএফ ও বাংলাদেশ সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের যৌথভাবে আয়োজিত এই কর্মশালায় শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, সিমেন্ট শিট ব্যবহার বাড়লে এক দিকে উৎপাদন খরচ কমিয়ে প্রান্তিক লোকসানি খামারগুলো মুনাফায় ফিরতে পাবে অন্যদিকে ভোক্তারা কমমূল্যে ডিম-দুধ-মাংস খেতে পারবে।
ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নথু রাম সরকার।
এছাড়াও বক্তব্য দেন সিমেন্ট শিট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মুসাদ্দিক হোসেন ও সিমেন্ট শিট শিল্পের বড় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান আনোয়ার গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াইজ আর হোসেন।
মুসাদ্দিক হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশ উচ্চ তাপমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা প্রাণিসম্পদ ও কৃষি খাতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। এই দুশ্চিন্তা কমাতে সিমেন্ট শিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। শিটগুলো ৬ স্তরের হওয়ায় অতিরিক্ত গরমের সময় শেডের ভিতরের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, এতে শেডের ভিতরের পরিবেশ তুলনামূলক শীতল থাকে। যা মুরগি ও গবাদি পশুর হিটস্ট্রোকে মৃত্যু কমিয়ে দেয়।
এই শিট ব্যবহারে খামার নির্মাণ ব্যয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়, যা উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় ওয়াইজ আর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গবাদি-পশু হাঁস-মুরগি উৎপাদনে সিমেন্ট শিট ব্যবহারে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। দেশে সিমেন্ট শিট ব্যবহারের ফলে ডিম, দুধ ও মাংস উৎপাদন প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। সিমেন্ট শিট মৎস্য ও গবাদিপশুকে রোগ-ব্যাধি থেকে শুধু রক্ষাই করছে না, সেসঙ্গে মৃত্যুহার প্রায় ১০ শতাংশ কমাচ্ছে।’
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে ড. নথু রাম সরকার বলেন, সিমেন্ট শিট বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব, টেকসই নির্মাণ, ব্যয় সাশ্রয়ী, তাপ ও অগ্নি প্রতিরোধকসহ নানা সুবিধার কারণে বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ও আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এবং কৃষি খাতের অবকাঠামো নির্মাণে ঢেউটিনের পরিবর্তে সিমেন্ট শিটের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, বিভিন্ন গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হিটের কারণে গবাদিপশু ও মুরগি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দেয়, যার ফলে উৎপাদন কমে যায়। সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি শেড নির্মাণের ফলে তাপ প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ার ফলে গবাদি পশু ও মুরগির খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। গবাদি পশু ও পোল্ট্রি খাতে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুহার কমায় ও ডিম-দুধ-মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
দেশে বর্তমানে মোট ১.২৫ লাখ পোল্ট্রি খামার আছে, যার মধ্যে ৩৫ শতাংশ খামের শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। এতে বছরে ডিমের উৎপাদন প্রায় ১১ শতাংশ বা ২৫৭ কোটি পিস ডিম বেড়েছে। যদি শতভাগ খামারে সিমেন্ট শিট ব্যবহার করা যায় তবে বছরে প্রায় ৭০০ কোটি পিস ডিম অতিরিক্ত উৎপাদন হবে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
এছাড়া দেশে প্রায় ৪.২৫ লক্ষ গবাদি পশুর (ডেইরি ও ফ্যাটেনিং) বাণিজ্যিক খামার রয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য গৃহপালিত গবাদি পশুসহ দেশে মাংসের উৎপাদন বছরে ৮৭.১০ লাখ টন।
গবেষণায় জানানো হয়, বর্তমানে দুগ্ধ ও পশু মোটাতাজাকরণ খামারগুলোর প্রায় ১৯ শতাংশ শেড সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি। যদি শতভাগ খামার সিমেন্ট শিট দিয়ে তৈরি করা যায়, তবে দেশে বছরে মাংসের উৎপাদন অতিরিক্ত প্রায় ৬ লাখ টন বাড়বে যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সিমেন্ট শিট সেক্টরে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। বর্তমানে দেশে ৫টি সিমেন্ট শিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক প্রায় ৩.৬২ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে।
কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরও ছিলেন ইআরএফের জয়েন্ট সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, অর্থ-সম্পাদক রহিম শেখ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) হুমায়ুন ফরিদ, আনোয়ার গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া এন্ড কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) সুমন সাহাসহ আরও অনেকে।
রপ্তানি প্রণোদনা কমালে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে: ব্যবসায়ী নেতারা
চলতি অর্থবছরে প্রায় সব খাতে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পরে রপ্তানি ভর্তুকি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ওপর চাপ কমানো এবং রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করাও এ পদক্ষেপের লক্ষ্য।
তবে এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তার মতে, এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস পোশাক খাতের ওপর।
হাতেম এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, ‘পোশাক খাত এখন আইসিইউতে রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা না দিলে শিগগিরই লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে।’
তার মতে, এই মুহূর্তে রপ্তানি প্রণোদনা কমানো মানে এ খাতকে গলা টিপে হত্যা করা।
তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
সোমবার এ বিষয়ে তিনি ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে সরকার রপ্তানি ভর্তুকি কমিয়েছে।
তবে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং প্রণোদনা উভয়ই প্রয়োজন।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কিছু খাতকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিকল্প উপায়ে এটি কভার করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক স্থানীয় শিল্প উচ্চ সুদের হার এবং উচ্চ ইউটিলিটি বিলের কারণে হিমশিম খাচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে।
তাই রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে স্থিতিশীল বিনিময় হার ও স্বস্তিদায়ক হারে জ্বালানি সরবরাহ অপরিহার্য।
গত ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে রপ্তানি প্রণোদনার সর্বোচ্চ হার ১০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সব বাজারে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে অর্ধেক করে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য নগদ ভর্তুকি ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
এই কম রপ্তানি প্রণোদনা পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য বিভিন্ন খাতের জন্য প্রযোজ্য হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটির হার ছিল ১৫ শতাংশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে তারা ২০ শতাংশ প্রণোদনা পেতেন। তবে ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানিতে ৬ শতাংশ প্রস্তাব করেছে সরকার।
বর্তমানে ৪৩টি খাত এই সহায়তা পেয়ে থাকে। গত তিন বছরে সরকার বার্ষিক প্রায় ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ডাল, মসলাসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম জনগণের নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুটিকয়েক করপোরেট কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল না থেকে, এসব পণ্য আমদানিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদের সমান সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তারা।
একই সঙ্গে আমদানি-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করার পাশাপাশি নিত্যপণ্যের কালোবাজারি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
শনিবার (২৯ জুন) বিকালে এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে এফবিসিসিআইয়ের এসেনশিয়াল ফুড আইটেমস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এসব দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. গোলাম মাওলা। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্যাহ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চিনি, মসলাসহ নিত্যপণ্যের কালোবাজারি রোধে এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছে। ট্যাক্স, ভ্যাট নিয়েও কথা হয়েছে, আশাকরি একটি ইতিবাচক ফলাফল মিলবে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে প্রথম দিনে ডিএসইতে ২৪৬ কোটি টাকার লেনদেন
নিত্যপণ্যের বাজারের সমস্যা এবং সমাধানে উপায় নির্ধারণে এই খাতের ব্যবসায়ীদের কাছে সুচিন্তিত মতামত চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে দেশের বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য সবার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যবসায়ীসহ সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা নিত্যপণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, মজুদ ও সরবরাহ নিয়ে বাস্তবভিত্তিক একটি তথ্যভাণ্ডার বা ডাটাবেজ তৈরির প্রস্তাব দেন। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির জন্য করপোরেট কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভরশীল না হয়ে টিসিবিকে সরাসরি নিত্যপণ্য আমদানির আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি, টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বন্ধ চিনিকলগুলো চালুর প্রস্তাবও দেন বক্তারা। এছাড়া, নিত্যপণ্যের চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদারের পরামর্শ দেন ব্যবসায়ীরা।
সভায় ছিলেন, এফবিসিসিআই’র পরিচালক, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।
আরও পড়ুন: ‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
খুলনার কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কোনো সবজিতে দুই গুণ আবার কোনোটিতে দাম বেড়েছে দেড় গুণ। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ ও মুরগি। এতে চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (২৪ জুন) খুলনার নতুনবাজার, দৌলতপুর বাজার, গললামারী বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার ঘুরে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আবদুল্লাহ আবু নাসের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এসে এই মাথা থেকে ওই মাথা ঘুরছি। কিছু কিনতে পারছি না। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
দৌলতপুর বাজারের রহমান শেখ ইউএনবিকে বলেন, ‘বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বেগুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা ঢেঁড়শ ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি আলু ৫০ টাকা, আদা ৩০০ টাকা, ডাটাশাক ৩০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাঁচাবাজারে চড়া দাম, হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা