স্থানীয়-ব্যবসা-বাণিজ্য
ডিএসইর আরও ১৩ ব্রোকারেজ হাউজ পেল ফিক্স সার্টিফিকেশন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) চালুর লক্ষ্যে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে আরও ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এসব সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ফিক্স সার্টিফিকেশন তুলে দেন ডিএসই'র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। বলেন, ‘যে ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন গ্রহণ করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে যেসব ব্রোকারেজ হাউজ এখনও সার্টিফিকেশনের আওতায় আসতে পারেনি, তাদের সহযোগিতা করার জন্য ডিএসই কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নে সবাইকে সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চলমান পরিবর্তনগুলো বাজারকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিচ্ছে।’
যেসব ব্রোকারেজ হাউজ সার্টিফিকেশন পেল
এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ইবিএল সিকিউরিটিজ পিএলসি, গ্রীনডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনএলআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসইর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান। বক্তব্য দেন ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাহমাত পাশা। সমাপনী বক্তব্য দেন ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আসিফুর রহমান।
এছাড়া ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, রিচার্ড ডি রোজারিও, আইসিটি ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক এএনএম হাসানুল করিম, প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়েরসহ ডিএসই ও বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসইর এপিআই উদ্যোগ
ডিএসই ২০২০ সাল থেকে এপিআই-ভিত্তিক ব্রোকার হাউজ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (BHOMS) চালুর উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে ৬৫টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে সংযোগ নিয়ে নিজস্ব ওএমএসের মাধ্যমে লেনদেনের আবেদন করেছে। আজকের ১৩টিসহ মোট ৩৯টি ব্রোকারেজ হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পেয়েছে। এর মধ্যে ২২টি হাউজ ইতোমধ্যেই নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।
৯৮ দিন আগে
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দামে ঊর্ধ্বগতি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ২০ টাকা বেড়েছে। মূলত ৩টি কারণে এই বর্ষা মৌসুমে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। ফলে চড়া দামের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। এখনই দামের নাগাম টানতে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল সপ্তাহে বন্দরের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয় ৫০-৫২ টাকা দরে। কিন্তু হঠাৎ করেই পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দেশের মোকামগুলোতে পেঁয়াজের মজুদ অনেকাংশে কমে গেছে। যার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়ছে। বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা জাবেদ হোসেন জানান, ৫ থেকে ৬ দিন আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজিতে কিনেছি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে বাজারে এসে পেঁয়াজের দাম শুনে হতবাক হয়েছি। পরে দরকষাকষি করে ১৪০ টাকায় দুই কেজি কিনেছি। আচমকা দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের কষ্ট ছাড়া আর কি করার আছে?
আরেক ক্রেতা নুর হোসেন জানান, প্রশাসনের তদারকি দরকার। না হলে কোনো জিনিসেরই দাম কমবে না। অনেকে পেঁয়াজের সংকটের কথা বলে মজুদ রেখেছে। একারণে দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। আর বাজারে সরবরাহ কমে আসার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা থাকায় দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের এখন থেকে দেওয়া দরকার। এখনই দামের লাগাম টানতে ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানিতে সরকারের পদক্ষেপ প্রয়োজন। এতে পেঁয়াজের বাজার এমনিতেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে ধারণা এই ব্যবসায়ীর।
১১৮ দিন আগে
দাম কমেছে ইলিশের, উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে ইলিশের দাম কমলেও উর্ধ্বমুখী সবজির বাজার। দাম বেড়েছে পেঁয়াজ, ডিম ও মুরগির।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট সাইজের ইলিশ এতদিন ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজকে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়।
মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম এতদিন ছিল ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা যা কমে হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা। এক কেজি বা এক কেজির ওপরে ইলিশ কদিন আগেও ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম ২০০০ থেকে ২৩০০ টাকা।
ইলিশের দাম কমলেও অন্যান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। রুই-কাতলা সাইজভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, শিং ও মাগুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, বোয়াল ও কোরাল ৯০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ আর বাগদা চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায়।
এ কদিনে গরুর মাংসের দাম কিছুটা কমেছে। বেশিরভাগ বাজারে এতদিন ৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হলেও আজ দাম নেমেছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। তবে খাসি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই; কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।
পড়ুন: ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে না বাড়াতে মৎস্য উপদেষ্টার নির্দেশ
চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহের ১৬০ টাকা কেজির মুরগি স্থানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। দাম বাড়তি সোনালি মুরগির। ৩০০ টাকা কেজির পাকিস্তানি সোনালি মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকায়।
মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ডিমের। কারওয়ান বাজার ও কাপ্তান বাজারের মতো জায়গায় পাইকারি দামে ডজনপ্রতি ব্রয়লার বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। খুচরা বাজারে ডিমের দাম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম; ডজনপ্রতি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।
এদিকে, সবজির বাজারে দাম বেশি কাঁচা মরিচের। কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচাবাজারে মরিচের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হলেও শান্তিনগর, রামপুরা ও বাড্ডার কাঁচাবাজারে মরিচের কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শসা, গাজর, টমেটো ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। অন্যান্য সবজির দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কমে আসায় দাম বেড়েছে।
পড়ুন: চাঁদপুরে শাকসবজির দাম বেড়েই চলেছে, ধরাছোঁয়ার বাইরে ইলিশ
এ ছাড়া দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। স্থানভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ক্রেতারা বলছেন, কদিন আগেও তারা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন।
গত এক মাসে বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে, জুনে যা ছিল ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
১১৮ দিন আগে
জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতির গতি বেড়েছে, পিএমআই ৮.৪ পয়েন্ট
চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশিত দেশের ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচকে (পিএমআই) উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, জুন মাসের তুলনায় পিএমআই ৮ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬১ দশমিক ৫ এ পৌঁছেছে। এটি মূলত অর্থনৈতিক কার্যকলাপে একটি শক্তিশালী সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে জুলাই পিএমআই প্রকাশ করেছে। যাতে দেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা ও সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (এসআইপিএমএম) এর কারিগরি সহায়তায় প্রস্তুত করা বাংলাদেশ পিএমআই একটি অগ্রণী উদ্যোগ। এটি ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য অবস্থা তুলে ধরতে উদ্যোগটির নকশা করা হয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা
প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ পিএমআই সূচক মূলত উৎপাদন ও পরিষেবা খাতে দ্রুত সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।
নির্মাণ খাতও প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে কৃষি খাত যদিও এখনও সম্প্রসারিত হলেও মৌসুমী কারণ ও বন্যার প্রভাবে ধীরগতি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
উৎপাদন খাতে টানা ১১ মাস বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে—যেখানে নতুন কার্যাদেশ, কারখানার উৎপাদন, উপকরণ ক্রয়, সমাপ্ত পণ্য, আমদানি এবং সরবরাহকারী সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে বৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে, কর্মসংস্থান এবং নতুন রপ্তানির সূচকগুলো সংকোচন দেখিয়েছে।
পরিষেবা খাতে, জুলাই মাসে টানা দশম মাসের মতো বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে সমস্ত প্রধান সূচক—নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, কর্মসংস্থান, উপকরণ খরচ এবং অর্ডার ব্যাকলগ—দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে।
জুন মাসে প্রথমবারের মতো সংকোচনের পর নির্মাণ খাত জুলাই মাসে পুনরুদ্ধার করেছে। মাসটিতে নতুন ব্যবসা, নির্মাণ কার্যকলাপ, উপকরণ খরচ এবং অর্ডার ব্যাকলগের সম্প্রসারণ হয়েছে—যদিও কর্মসংস্থান হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে, কৃষিখাত তার দশম মাসের বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তবে তা ধীর গতিতে। নতুন ব্যবসা এবং উপকরণ খরচসহ বেশিরভাগ উপসূচক, ধীর প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে এবং কর্মসংস্থান আরও সংকুচিত হয়েছে।
পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য শুল্ক ২০ শতাংশ করা স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতি
ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি কৃষি, উৎপাদন ও পরিষেবাগুলোতে ধীর বৃদ্ধি হয়েছে। এতে নির্মাণ খাত আশাব্যঞ্জক উত্থান নথিভুক্ত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বশেষ পিএমআই সূচক ইঙ্গিত দেয় যে, জুলাই মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে মূলত পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধির কারণে। এর ফলে রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৭৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।’
তবে, কৃষি খাত জুলাই মাসে ধীরগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে, যা দুর্বল সময়কাল এবং বর্ষার ব্যাঘাতকে প্রতিফলিত করে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
১১৯ দিন আগে
ভরিতে ১০৫০ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে নির্ধারিত নতুন দাম কার্যকর হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা।
এক ধাক্কায় স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল ১৮৯০ টাকা
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
সবশেষ গত ৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
১৩৫ দিন আগে
এক ধাক্কায় স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়ল ১৮৯০ টাকা
টানা দুই দফা কমার পর এবার দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বেড়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, বুধবার (২ জুলাই) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাজুস।
নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ২৮ জুন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
১৫৬ দিন আগে
এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমল ৪২৯২ টাকা
দেশের বাজারে আরেক দফা কমেছে স্বর্ণের দাম। চার দিন আগে ভরিতে ১ হাজার ৬৬৮ টাকা দাম কমার পর এবার ভরিতে ২ হাজার ৬২৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস।
শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
এতে করে দুই দফায় সপ্তাহের ব্যবধানে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৪ হাজার ২৯২ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
পড়ুন: ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে, সবশেষ গত ২৪ জুন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেসময় ভরিতে ১ হাজার ৬৬৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৬০ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৪০ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৬ বার, আর কমেছে মাত্র ১৪ বার।
১৫৯ দিন আগে
একটি সাংবাদিক ফোরামের জন্যই ১৫ লাখ টাকা, প্রশ্নের মুখে বিএসইসি
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের জন্য ১৫ লাখ টাকার ‘বিএসইসি ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেলোশিপ প্রোগ্রাম’ চালু করেছে।
তবে সর্বজনীন সুবিধা না দিয়ে একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের এ সুযোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৬ জুন) কমিশন জানায়, পুঁজিবাজারের ওপর স্বচ্ছ, নির্ভরযোগ্য এবং গবেষণামূলক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে এই অ্যাওয়ার্ডস-ফেলোশিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের ১৬ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অ্যাওয়ার্ডস এবং ফেলোশিপের জন্য আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে বিএসইসি।
এই প্রোগ্রামের এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে তিন ক্যাটাগরিতে (প্রিন্ট, অনলাইন, ইলেকট্রনিক) তিনজন সাংবাদিককে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাত লাখ ৫০ হাজার টাকার নগদ অর্থ ও একটি ক্রেস্ট দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএসইসি।
এছাড়া ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিজম ফেলোশিপের আওতায় পাঁচ লাখ টাকা ও দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের পৃথক দুটি ফেলোশিপের ঘোষণা দিয়েছে কমিশন।
কমিশন জানায়, এ উদ্যোগের মাধ্যমে বিএসইসি পুঁজিবাজার বিষয়ক সাংবাদিকতায় দায়িত্বশীলতা, নৈতিকতা ও সততাকে উৎসাহিত করতে চায়, যা দেশের পুঁজিবাজার ও সর্বোপরি অর্থনীতির গতিশীলতাকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে।
এই ফেলোশিপ সাংবাদিকদের বৈশ্বিক আর্থিক বাজার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করবে, তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং নৈতিক সাংবাদিকতার মানদণ্ড নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে জানায় কমিশন।
তবে বিএসইসির অ্যাওয়ার্ডস ও ফেলোশিপের যোগ্যতায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট একটি সাংবাদিক ফোরামের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, শুধু যারা সেই ফোরামের নিয়মিত সদস্য তারাই আবেদন করতে পারবেন।আরও পড়ুন: সরকার পুঁজিবাজার উন্নয়নে আন্তরিক: বিএসইসি চেয়ারম্যান
একটি নির্দিষ্ট ফোরামের সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের সুযোগ দেওয়ায় বিএসইসির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। ফোরামের বাইরের সাংবাদিকরা বলছেন, এ ধরণের সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং নীতিবিরুদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসির ডেপুটি চিফ রিপোর্টার মোস্তফা মাহবুব বলেন, ‘যদি নির্দিষ্ট সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে যৌথভাবে কমিশন এ আয়োজন করে থাকে, তাহলে দোষের কিছু নেই। কিন্তু যদি কমিশন নিজে থেকে উদ্যোগ নেয় তাহলে এটি সঠিক নয়।’
যদিও কমিশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ সমন্বয়ের কোনো কথা উল্লেখ নেই এবং পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, কমিশনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের জন্য এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে কমিশন বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাহবুব বলেন, ‘যদি একটি নির্দিষ্ট ফোরামের জন্য এ সুবিধা হয়ে থাকে, তাহলে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচ করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আবার ফেলোশিপের যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট ফোরামের সদস্য নাম্বার থাকার বাধ্যবাধকতার মধ্যেও সাংঘর্ষিকতা আছে।’
বিএসইসির ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, তিন বছর ধরে পুঁজিবাজার নিয়ে রিপোর্টিং করছে সরকারের এমন নিবন্ধিত ও বাংলাদেশি মালিকানাধীন সংবাদপত্র বা অনলাইন সংবাদমাধ্যম বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা অ্যাওয়ার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ফেলোশিপের সুবিধা শুধু ফোরামের সদস্যদের মধ্য থেকেই দেওয়া হবে।
কিন্তু অ্যাওয়ার্ডস এবং ফেলোশিপের জন্য নেই কোনো আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন করতে গেলে লাগছে ফোরামটির সদস্য নম্বর।
এ প্রসঙ্গে আরেক বেসরকারি চ্যানেল সময় মিডিয়া লিমিটেডের বিজনেস ডেস্ক কোওর্ডিনেটর কামরুল সবুজ বলেন, ‘এ ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যে অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপ নির্দিষ্ট কিছু সাংবাদিকদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো দূরভিসন্ধিমূলক।’
অ্যাওয়ার্ড এবং ফেলোশিপের পুরো ব্যাপারটি নিয়ে ফোরামের বেশ কয়েকজন সদস্যও বিব্রত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফোরামের সদস্য এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, ‘যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ পুঁজিবাজার রিপোর্টিং-এর জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় এবং ফেলোশিপের উদ্দেশ্য যদি থাকে পুঁজিবাজার বিষয়ে সাংবাদিকদের আরও দক্ষ করা, তাহলে ফোরামের মধ্যে সীমাবদ্ধ না করে এ সুযোগ সর্বজনীন করা উচিত ছিল কমিশনের।’
পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। বিএসইসির মুখপাত্র এবং পরিচালক আবুল কালাম বলেন, ‘এভাবেই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই নীতিমালার আলোকেই অ্যাওয়ার্ড-ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে ভালো চোখে দেখছেন না পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরাও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক পদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সাংবাদিকদের অ্যাওয়ার্ড-ফেলোশিপের নামে উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা করছেন কমিশন। শিবলী কমিশন পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু তাদের সময়ও এরকম অসামঞ্জস্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, যা বর্তমান কমিশন নিয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের এক সদস্য জানান, ‘বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী নেগেটিভ ক্যাম্পেইন করে আসছে। হয়তো সেই গোষ্ঠীটিকে আটকাতেই আরেক গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন তিনি।’
তবে এসব না করে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের উত্তর মিডিয়ার সামনে নিজেরই দেয়া উচিত বলে মনে করেন টাস্কফোর্সের এ সদস্য।
১৭১ দিন আগে
১০ দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
ঈদের দুইদিন আগে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির দশ দিন পার হওয়ার আগেই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১৯২ টাকা বাড়িয়েছে জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২৮ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, রবিবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার ৮০২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬৮ টাকা নির্ধারণ।
পড়ুন: ঈদের আগে ভরিতে ২৪১৫ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
এছাড়া স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানিয়েছে বাজুস।
এর আগে, সবশেষ ৫ জুন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৪১৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
১৭৩ দিন আগে
চট্টগ্রাম বিভাগে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোরবানির কাঁচা চামড়া
এবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় লবণ দিয়ে মোট ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠানো তথ্য অনুসারে, বিভাগের মাদরাসা, এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং হাউস থেকে সংগৃহীত চামড়ার মধ্যে রয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি গরু ও মহিষের চামড়া এবং ৭৪ হাজার ৩০২টি ছাগলের চামড়া।
জেলাগুলোর মধ্যে, চট্টগ্রামে ২ লাখ ৭২ হাজার ১০০টি চামড়া, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৮৯টি, নোয়াখালীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি, চাঁদপুরে ২৩ হাজার ৬৫টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ৯৯ হাজার ৭৮১টি, খাগড়াছড়িতে ৫ হাজার ৮৫৯টি, লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, রাঙ্গামাটিতে ২ হাজার ৮৪৮টি, বান্দরবানে ২ হাজার ২৯২টি এবং কুমিল্লায় ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৫টি চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সরকারের বিনামূল্যে সরবরাহ করা লবণ ব্যবহার করে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সরকার কোরবানির মৌসুমে চামড়ার যথাযথ সংরক্ষণ এবং এতিম শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সারা দেশে এতিমখানা, মসজিদ এবং মাদ্রাসাগুরোতে ৩০ হাজার টন লবণ সরবরাহ করেছে।
এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়া স্থানীয়ভাবে দুই থেকে তিন মাস ধরে কাঁচা চামড়া ব্যবহারের উপযোগী রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১৭৮ দিন আগে