ফুটবল
অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ: বাছাইপর্বে লাওসের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক লাওসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে জয়ের সূচনা করেছে বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ আগস্ট) ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এই পর্বে তাদের প্রথম ম্যাচের শুরুতেই আধিপত্য বিস্তার করে এবং ফরোয়ার্ড মোসাম্মৎ সাগরিকার জোড়া গোল ও মিডফিল্ডার মুনকি আক্তারের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
মাত্র ১৭ বছর বয়সী সাগরিকা সম্প্রতি সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। এই ম্যাচেও তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মাথায় শান্তি মার্ডির কর্নার থেকে হেড করে গোল করে তিনি প্রথম গোলটি করেন। পরে ৫৮ মিনিটে গিয়ে তৃষ্ণা রানীর কাছ থেকে সময়োপযোগী পাস পেয়ে শান্তভাবে গোল করেন মুনকি।
ম্যাচটি ৮৬ মিনিটে গড়ালে লাওস একটি গোল করে রক্ষণাত্মক দুর্বলতা কাজে লাগায়। তবে কিন্তু সাগরিকা আবারও নিজের দলের জয় নিশ্চিত করেন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে লাওস ২১ ধাপ এগিয়ে (বাংলাদেশের ১২৮ নম্বরের বিপরীতে ১০৭ পয়েন্ট) থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশই বলের নিয়ন্ত্রণ করে এবং আরও বেশি সুযোগ তৈরি করেছে।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের ১৩টি বাছাইপর্বের মধ্যে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় জয়।
বাংলাদেশ পরবর্তীতে পূর্ব তিমুর-লেস্টের মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে পূর্ব তিমুর-লেস্টের বিপক্ষে ৯-০ গোলে জয়ী দক্ষিণ কোরিয়া গোল ব্যবধানে গ্রুপে শীর্ষে থাকবে। গ্রুপ বিজয়ী এবং আটটি গ্রুপের সেরা তিন রানার্সআপ দল ২০২৬ সালে ফাইনাল রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
১২০ দিন আগে
নিকো, লুইসকে না পেয়ে র্যাশফোর্ডকে দলে টানছে বার্সেলোনা
নিকো উইলিয়ামসকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। কিন্তু শেষমেষ তাকে না পেয়ে লুইস দিয়াসকে দলে টানতে মরিয়া হয়েছিলেন বার্সেলোনার স্পোর্টিং ডিরেক্টর দেকো। তার মধ্যেই সবাইকে অবাক করে দিয়ে মার্কাস র্যাশফোর্ডকে দলে ভেড়ানোর খবর চাউর হয়েছে।
ইংলিশ ফুটবলের দলবদল-সংক্রান্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টাইন জানিয়েছেন, এক মৌসুমের জন্য র্যাশফোর্ডকে ধারে পেতে মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে প্রস্তাব দিয়েছিল বার্সেলোনা। রুবেন আমোরিমের দলে ব্রাত্য এই উইঙ্গারের জন্য প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করেছে ইউনাইটেড। আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে, এখন কয়েকটি বিষয় সমাধানে শেষ মুহূর্তের আলোচনা চলছে।
বার্সেলোনায় এলে র্যাশফোর্ডের বেতনের পুরোটাই বহন করবে বার্সেলোনা। সেইসঙ্গে আগামী মৌসুমে যদি তাকে স্থায়ীভাবে কিনে রেখে দিতে চায়, তবে ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর মতো গুনতে হতে পারে ক্লাবটিকে। অন্তত বার্সেলোনার সংবাদ কভার করা ইতালিয়ান সাংবাদিক মাত্তেও মোরেত্তো তেমনই বলেছেন।
এদিকে, ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানোও ‘হেয়ার উই গো’ বলে র্যাশফোর্ড-বার্সা দলবদলের বিষয়টি নিশ্চিত করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
রোমানো জানিয়েছেন, আজ রবিবার অথবা আগামীকালই ইংল্যান্ড থেকে কাতালুনিয়ায় পৌঁছাবেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এরপর শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আগামী সপ্তাহ, অর্থাৎ সোমবার থেকে যেকোনো দিন তার দলবদলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বার্সেলোনা।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাতালান ক্লাবটির প্রাক-মৌসুম সফরেও সঙ্গী হবেন র্যাশফোর্ড।
এদিকে, আর্থিক জটিলতার কারণে এখনও ১:১ নিয়মে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। কয়েকদিন আগে এস্পানিওল থেকে দলে ভেড়ানো তরুণ গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়ারই এখনও লা লিগায় নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেনি ক্লাবটি। ফলে র্যাশফোর্ডের নিবন্ধনেও সময় লাগবে। তবে বার্সেলোনায় খেলতে সমস্ত অনিশ্চয়তা দূরে ঠেলে প্রস্তাব আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান তিনি।
এর আগে গত মৌসুমের জানুয়ারির দলবদলের সময়ও বার্সেলোনায় আসার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন র্যাশফোর্ড। সে সময় নিজের প্রতিনিধিকে দিয়ে ক্লাবটির কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে তখন শেষ পর্যন্ত তাকে দলে টানেনি কাতালানরা।
এরপর মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য ধারে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলায় যান তিনি। সেখানে ঘরোয়া ও ইউরোপা লিগে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখেন র্যাশফোর্ড। সেইসঙ্গে ১৭ ম্যাচে ১০ গোলে অবদান রাখেন (৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট)।
তবে এপ্রিল মাসে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় আগেভাগেই তার মৌসুম শেষ হয়ে যায়। শেষ চার ম্যাচে ভিলানদের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি। এমনকি ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জন্য অ্যান্ডোরা ও সেনেগালের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য থমাস টুখেলের ঘোষিত স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।
ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ আয়ের খেলোয়াড়দের একজন র্যাশফোর্ড। তার সাপ্তাহিক বেতন ৩ লাখ ৮০ হাজার ইউরোরও বেশি। এই বেতনের তিন-চতুর্থাংশ পরিশোধ করে ভিলা। এর পাশাপাশি পারফরম্যান্সভিত্তিক বোনাসও দিয়েছে ক্লাবটি।
এ বছরের শুরুতে বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছিলেন, তিনি লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার পাশাপাশি উইংয়ে আরও খেলোয়াড় চান। বিকল্প না থাকায় মৌসুমের শেষভাগে এসে খানিকটা ভুগতেও হয়েছে দলটিকে।
আরও পড়ুন: নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে লা লিগার শিরোপা পুনরুদ্ধার বার্সেলোনার
এরপর মৌসুম শেষ হলে আথলেতিক বিলবাউয়ের তরুণ প্রতিভা নিকো উইলিয়ামসের প্রসঙ্গটি আরও একবার সামনে আসে। কিন্তু শুরুতে বার্সেলোনা সাফ জানিয়ে দেয়, নিকোর জন্য অপেক্ষা করে গত বছরই ছেড়ে গেছে বার্সেলোনার ট্রেন।
তবে নিজেই এবার প্রতিনিধিকে দিয়ে বার্সায় খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেন নিকো। সেইসঙ্গে ব্লাউগ্রানা জার্সি পরতে প্রয়োজনে গতবার বার্সেলোনার প্রস্তাবিত বেতনের চেয়েও কম নিতে রাজি বলে জানান তিনি। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখ তাকে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি বেতনের প্রস্তাব দিলেও বার্সেলোনায় খেলার আগ্রহ থেকে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বাঁ উইংয়ে তার শক্তি ও তীব্র আগ্রহ বিবেচনায় আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে নড়েচড়ে বসে বার্সা কর্তৃপক্ষ। নিকোর রিলিজ ক্লসের ৬০ মিলিয়ন ইউরো জোগাড়ও শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত যখন বিলবাউয়ের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে, তখনই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নেন তিনি।
পরে অবশ্য জানা যায়, বিলবাউকে ট্রান্সফারের অর্থ পরিশোধ করলেও নিজের নিবন্ধনের বিষয়টি নিয়ে লিখিত নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন নিকো। কিন্তু বার্সেলোনা তা দিতে অস্বীকৃতি জানালেও তিনি মৌসুমের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে খেলবেন বলে মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়েছিল। তবে তাতে আশ্বস্ত হতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, নিজের বড় ভাই ইনিয়াকি উইলিয়ামস এবং ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে বারবার নতুন চুক্তিতে সই করতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
নিকোর সঙ্গে হওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতার পর নিজের প্রথম পছন্দ লিভারপুলের কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াসের দিকে দৃষ্টি দেন দেকো। তার জন্য উঠেপড়ে লাগে বায়ার্নও। কিন্তু দুই ক্লাবের প্রাথমিক প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করে লিভারপুল। এরপর কয়েক দফায় বায়ার্ন অর্থের পরিমাণ বাড়ালেও তাতে এখনও রাজি হয়নি ইংলিশ লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই অবস্থা এবং নিজেদের আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিয়াসের দিক থেকে মুখ ফেরায় বার্সেলোনা।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ম্লান করে মৌসুমের শেষ এল ক্লাসিকোও জিতল বার্সেলোনা
শেষ পর্যন্ত গত সপ্তাহে নাকি ৬০ মিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছিল কাতালান ক্লাবটি। তবে স্বাভাবিকভাবেই ৯০ মিলিয়ন ইউরো চাওয়া লিভারপুলের কাছে সেটি পাত্তা পায়নি। তাই দীর্ঘদিন ধরে নিজের স্বপ্নের ক্লাবে খেলতে চাওয়া ইংলিশ প্রতিভাকেই দলে ভেড়াচ্ছে বার্সেলোনা।
এই চুক্তি কার্যকর করায় বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিকের ভূমিকা ছিল বলে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। জার্মান এই কোচের অধীনে একেকটি দানবে পরিণত হয়েছে দলটির তরুণ ফুটবলাররা। আনসু ফাতি ছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন।
ফলে ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে নিজের হারানো ফর্ম ফিরে পাবেন, সঙ্গে স্বপ্নের ক্লাবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে থেকে যাবেন বহু বছর—র্যাশফোর্ডের পাশাপাশি এই প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন বার্সেলোনার কোটি সমর্থক।
১৩৮ দিন আগে
বার্সেলোনাসহ ৫ ইউরোপীয় ক্লাবকে বড় অঙ্কের জরিমানা
আর্থিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে বার্সেলোনা, চেলসি, অ্যাস্টন ভিলা, অলিম্পিক লিওঁ ও রোমাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। পাশাপাশি এই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উয়েফার প্রতিযোগিতায় নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
উয়েফার ক্লাব ফিন্যান্সিয়াল কন্ট্রোল বডি (সিএফসিবি) এই জরিমানা করেছে। উয়েফা বলছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায় সংস্থাটি।
উয়েফার আর্থিক নিরীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৪ সালের উয়েফার নির্ধারিত আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাবগুলো এই জরিমানার মুখে পড়েছে। পরের মৌসুমে ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি হলে আরও বড় জরিমানা গুনতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে।
এক বিবৃতিতে সিএফসিবি জানিয়েছে, ‘সম্পদ বিক্রি, খেলোয়াড় বিনিময় এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে খেলোয়াড় স্থানান্তরের মাধ্যমে যে আয় হয়, তা ক্লাবের হিসাব-নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।’
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি। এমন খুশির দিনেও ক্লাবটিকে দুঃসংবাদ শুনতে হলো।
এই জরিমানার সবচেয়ে বড় অঙ্ক গুনতে হচ্ছে চেলসিকে। ক্লাবটিকে সর্বোচ্চ ৩১ মিলিয়ন ইউরো (৩৬.৫ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়ের বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কোয়াড গড়তে ব্যয়ের নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগে আরও ১১ মিলিয়ন জরিমানা করা হয়েছে। এটি এক মৌসুমে কোনো ক্লাবকে উয়েফার করা সর্বোচ্চ জরিমানা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
তবে এই শাস্তি এখানেই শেষ নয়; নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাবের আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত না করতে পারলে তাদের আরও ৬০ মিলিয়ন ইউরো (৭১ মিলিয়ন ডলার) অতিরিক্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
অন্যদিকে, গত কয়েক বছর ধরে আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা বার্সেলোনার ঘাড়ে চেপেছে ১৫ মিলিয়ন ইউরো (১৭.৭ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা খড়্গ।
এর আগেও একবার উয়েফার জরিমানার কবলে পড়েছিল বার্সেলোনা। ২০২৩ সালে আয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে কাতালান ক্লাবটিকে ৫ লাখ ইউরো জরিমানা করেছিল সংস্থাটি।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা ফরাসি ক্লাব লিওঁকে জরিমানা করা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ ইউরো। নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হতে পারে এই ক্লাবটিকেও।
আমেরিকান ব্যবসায়ী জন টেক্সটরের মালিকানাধীন লিওঁ বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার কারণে ফরাসি ঘরোয়া লিগ ‘লিগ আ’ থেকে অবনমনের বিরুদ্ধে লড়ছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে ক্লাবটির করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা। তাছাড়া, উয়েফা-নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে লিওঁ আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ থেকেও বাদ পড়তে পারে।
এই ক্লাবগুলোর পাশাপাশি আরেক ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে ১১ মিলিয়ন ইউরো এবং ইতালির রোমাকে ৩ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা গুনতে হবে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়াগো জোতা নিহত
উয়েফার শর্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোকে দুই থেকে চার বছরের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উয়েফার আয়ের নীতিমালার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্য ফেরাতে হবে।
১৫৩ দিন আগে
সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ ফুটবলার দিয়াগো জোতা নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার দিয়াগো জোতা প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্পেনের জামোরার কাছে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় তাতে আগুন ধরে যায়। এতে আপন ভাইয়ের সঙ্গে নিহত হন এই তারকা ফুটবলার।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নিজের দীর্ঘদিনের বান্ধবী (প্রেমিকা) রুট কারর্ডোসোর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জোতা। তাদের ঘরে তিনটি শিশু রয়েছে।
তারকা এই ফুটবলারের মৃত্যুতে পুরো ফুটবল অঙ্গন ও ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জোতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে তার ক্লাব লিভারপুল। এরমধ্যেই পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির ফুটবল ফেডারেশনও শোক বার্তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
পর্তুগালের পোর্তো শহরের সন্তান দিয়াগো জোতা এফসি পোর্তো ও উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ফুটবলে নিজের জায়গা করে নেন। এরপর ২০২০ সালে তিনি প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ পাউন্ডে লিভারপুলে যোগ দেন। খুব দ্রুতই তিনি রেডসদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে পরিণত হন। লিভারপুলের হয়ে ১২৩ ম্যাচে ৪৭টি গোল করেন তিনি এবং চলতি বছরের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এদিকে, তিনি ৪৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পর্তুগালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং দুইবার উয়েফা নেশনস লিগ জিতেছেন। সবশেষ গত জুন মাসে পর্তুগালের হয়ে ন্যাশন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছিলেন জোতা।
১৫৪ দিন আগে
ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন রোনালদো
ইরানে ইসরায়েলের হামলার মধ্যে শান্তির বার্তা দিয়েছেন পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
পর্তুগালের হয়ে ইউফা ন্যাশন্স লিগের জিতেছেন ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলধারী সিআর সেভেন। দেশের হয়ে ফাইনালে গোলও করেছে তিনি।
এ ম্যাচের নিজের স্বাক্ষর করা একটি জার্সি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উপহার দিয়েছেন রোনালদো। কানাডার কানানাস্কিসে অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনে এ উপহারটি দেওয়া হয়েছে।
ওই জার্সিতে লেখা ছিল, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্পের প্রতি—শান্তির জন্য প্রার্থনা।’
রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টকে যখন জার্সিটি উপহার দেওয়া হয়, তখন তিনি সেটি ক্যামেরার সামনে তুলে ধরেন, যাতে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদোর বার্তাটি স্পষ্ট দেখা যায়।
রোনালদোর সই করা পর্তুগালের জার্সিটি তুলে দেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা। তিনি ট্রাম্পকে জানান, জার্সিতে একটি বিশেষ বার্তা রয়েছে।
বার্তাটি শুনে ট্রাম্প রোনালদোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তিনিই সর্বকালের সেরা।’
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়ের এমন বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধ ও সহিংসতা থামিয়ে শান্তির আহ্বান জানানোর জন্য এটি রোনালদোর একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: স্পেনকে হারিয়ে ফের নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল
১৭০ দিন আগে
ব্রাজিল-একুয়েডরের বিশ্বকাপ নিশ্চিত, হেরে টানা তৃতীয়বার ব্যর্থ চিলি
দিনটি ছিল কার্লো আনচেলত্তির ৬৬তম জন্মদিন। সেলেসাওদের দায়িত্ব নিয়ে শুরুটা ভালো না হলেও ঘরের মাঠে এদিন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। এর মাধ্যমে ইতালীয় এই কোচের বিশেষ দিনটি আরও রাঙিয়েছেন তার শিষ্যরা।
সাও পাওলোর করিন্থিয়ান্সে বাংলাদেশ সময় বুধবার (১১ জুন) সকালে প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
৪৪তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের করা একমাত্র গোলটিই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। এটি আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিল দলেরও প্রথম গোল। প্রথম ম্যাচে একুয়েডরের মাঠে গোলশূন্য ছিলেন ভিনি-কাসেমিরোরা।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিল। পাশাপাশি আর্জেন্টিনার পর দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে তৃতীয় দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের।
অপর ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে শেষের অন্তত ২০ মিনিট দশজনের দলে পরিণত হয়েও থিয়াগো আলমাদার শেষের গোলে হার এড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। এই ড্রয়ে ব্রাজিলের সমান ম্যাচে ১১ জয় ২ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় রয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল।
আরেক ম্যাচে পেরুর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে একুয়েডর। তাদের পয়েন্টও ব্রাজিলের সমান, ১৬ ম্যাচে ২৫। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ব্রাজিলকে টপকে আর্জেন্টিনার পরই জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
১৭৬ দিন আগে
এএফসি এশিয়ান কাপ: ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের কাছে হারল বাংলাদেশ
এএফসি এশিয়ান কাপ সৌদি আরব ২০২৭ বাছাই পর্বের গ্রুপ সি’র দ্বিতীয় ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার ঢাকায় নতুনভাবে উদ্বোধন করা জাতীয় স্টেডিয়ামে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৯৭৩ সালে প্রথম মুখোমুখি হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এটি টানা দ্বিতীয় পরাজয়।
১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মালয়েশিয়ায় মের্দেকা কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথমবার মুখোমুখি হয়ে ১-১ গোলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরে ২০১৫ সালের ৩০ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১-২ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
এই দিনের অন্য গ্রুপ সি ম্যাচে, স্বাগতিক হংকং ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে নতুনভাবে উদ্বোধন করা কাই টাক স্পোর্টস পার্কে।
এই ম্যাচের ফলাফলে সিঙ্গাপুর গ্রুপ সি’র শীর্ষে স্থান অর্জন করেছে। তারা দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট অর্জন করেছে। হংকংও চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে সিঙ্গাপুরের পরেই অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এবং ভারত এক পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মিডফিল্ডার সং ইউ ইয়ং ৪৫ মিনিটে গোল করে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে নেন (১-০)। এরপর ৫৮ মিনিটে ফরোয়ার্ড খসান ফান্দি আহমদ একটি আরেকটি শট থেকে সিঙ্গাপুরের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন (২-০)।
বাংলাদেশ ৬৭ মিনিটে হামজা দেওয়ান চৌধুরির একটি জাদুকরি পাস থেকে রাকিব হোসেনের একটি সোজা শটে ব্যবধান এক পয়েন্টে নামিয়ে আনে (২-১)।
এর পরেও বাংলাদেশ একাধিক আক্রমণ করলেও তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ২৮ মিনিটে রাকিব হোসেন শমিত সোমের পাস থেকে গোলের কাছাকাছি পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত তার শটটি বাইরে চলে যায়।
আরও পড়ুন: স্পেনকে হারিয়ে ফের নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল
শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ ডিফেন্ডার তারিক কাজির একটি দুর্দান্ত হেডারের পর বলটি ক্রসবারে স্পর্শ করে বাইরে চলে যায়, যা ছিল তাদের শেষ সুযোগ।
বাংলাদেশের স্প্যানিশ হেড কোচ জাভিয়ের কাব্রেরার অধীনে এই ম্যাচে পাঁচজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছেন—ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ডিফেনসিভ মিডফিল্ডার হামজা দেওয়ান চৌধুরী, কানাডার জাতীয় দলের মিডফিল্ডার শমিত সোম, ইতালিয়ান লিগের ফরোয়ার্ড ফাহামিদুল ইসলাম, ফিনল্যান্ডের ডিফেন্ডার খেলোয়ার তারিক রাইহান কাজি এবং কানাডার ডিফেন্ডার সৈয়দ কাজেম শাহ কিরমানি।
তবে, আজকের সেরা একাদশে জায়গা হয়নি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও দীর্ঘদিনের মিডফিল্ডার জামাল ভূঁইয়ার, যিনি ডেনমার্কের পক্ষে খেলে থাকেন।
স্টেডিয়ামটি দর্শকে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ফুটবলপ্রেমী মানুষ দীর্ঘ সারি করে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পরাজয়ে তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক ফিফা টিয়ার-১ বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করার পর বাংলাদেশ এই ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী ছিল। বাংলাদেশ তাদের পরবর্তী গ্রুপ ম্যাচটি ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিরুদ্ধে খেলবে।
বাংলাদেশের মূল একাদশ
মিতুল মার্মা, শাকিল আহাদ, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, তারিক রাইহান কাজি, মোহাম্মদ হৃদয়, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, কাজেম শাহ কিরমানি, ফাহমিদুল ইসলাম ও রাকিব হোসেন।
১৭৭ দিন আগে
স্পেনকে হারিয়ে ফের নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন রোনালদোর পর্তুগাল
একে একে তিনটি করে পেনাল্টি শটে দুপক্ষই সফল হলো। তবে চতুর্থ শটে গিয়ে স্পেনের আলভারো মোরাতার শট ঠেকিয়ে দিলেন দিয়োগো কস্তা। এরপর পঞ্চম ও শেষ শটে রুবেন নেভেসের সফল স্পট কিক, আর উল্লাসে ফেটে পড়ল পর্তুগিজ শিবির। দ্বিতীয়বারের মতো উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপাজয়ের উৎসবে মাতল পর্তুগাল।
মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনা স্টেডিয়ামে ১২০ মিনিটের খেলা ২-২ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে নেশন্স লিগের চতুর্থ আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রথম আসরের শিরোপাজয়ীরা।
গত আসরের ফাইনালও গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। সেখানে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৪ ব্যবধানে হারালেও এবার আর পারল না স্প্যানিশরা। পর্তুগিজ গোলরক্ষক কস্তার বীরত্বের পর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অ্যান্ড কোম্পানির কাছে হার মানতে হলো লা রোহাদের।
অথচ শুরুর গল্পটা কিন্তু এমন ছিল না। প্রথমার্ধে শুরুতেই গোল করেছিল স্পেনই। এরপর নুনো মেন্দেসের গোলে পর্তুগাল সমতায় ফিরলে ওইয়ারসাবালের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল দলটি। তবে বিরতির পর স্পেনের দুর্দান্ত সেই পারফরম্যান্সে ভাঁটা পড়ে, আর রোনালদোর গোলে আবারও সমতায় ফেরে পর্তুগাল। এরপর নব্বই মিনিট, এমনকি ১২০ মিনিটের খেলায়ও দুদলের কেউ ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে মোরাতার শট ঠেকিয়ে জয়ের পাল্লা নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেন কস্তা।
এর ফলে দুবার নেশন্স লিগের ফাইনালে উঠে দুবারই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব অর্জন করল পর্তুগাল। অন্যদিকে, টানা তিনবার ফাইনালে উঠেও দুবার হতাশ হতে হলো স্পেনের।
আরও পড়ুন: রোনালদোর আশা পূরণের রাতে নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগাল
পুরো ম্যাচে বলের দখল, গোলের প্রচেষ্টা, শট লক্ষ্যে রাখা—সব বিভাগেই সেরা দল ছিল স্পেন। ৬১ শতাংশ সময় পজেশন ধরে রেখে ১২০ মিনিটে মোট ৮১২ পাস দেয় দলটি, যেখানে ৫০৯ পাস দেওয়া পর্তুগালের পজেশন ছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ।
ম্যাচজুড়ে পর্তুগাল শট নেয় মাত্র সাতটি, যার গোল হওয়া ওই দুটি শটই কেবল লক্ষ্যে রাখতে পারে; অপরদিকে ১৬টি শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে লা রোহারা।
তবে মাঠের খেলায় ক্ষুরধার আক্রমণের অভাবে ভোগা স্পেনকে এদিন প্রথমার্ধের পর থেকেই চেনা যায়নি। অপরদিকে, উপযুক্ত সময়ে যথাযথ খেলোয়াড় বদলি করে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পর্তুগালের কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
এ ছাড়া ম্যাচজুড়ে স্পেনের একের পর এক আক্রমণ রুখে দেওয়া দিয়োগো কস্তা টাইব্রেকারেও কাজের কাজটি করে দিয়েছেন একেবারে সঠিক সময়ে। ফলে শেষ পর্যন্ত গত কয়েক বছর ধরে একপ্রকার অপ্রতিরোধ্য স্পেনকে মাটিতে নামিয়ে শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরেছে তারাই। আর ব্যর্থতার পসরা সাজানোর পর প্রতিপক্ষকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে দেখে হাততালি দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যদের।
১৭৯ দিন আগে
৯ গোলের থ্রিলারে লড়াই করেও হারল ফ্রান্স, স্পেন-পর্তুগাল ফাইনাল
সেয়ানে সেয়ানে টক্করের পরও ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল ফ্রান্স, কিন্তু তারপরও কী অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়াল দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুইস দে লা ফুয়েন্তের দুর্দান্ত স্পেনের বিপক্ষে পেরে উঠল না দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। ফলে হেরে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ফরাসিদের, অন্যদিকে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে টানা তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেছে স্পেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফিরেছিল ২০২০-২১ মৌসুমের ফাইনাল। তবে সেবার স্প্যানিশদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করলেও এবার আর পারল না ফ্রান্স। অপরদিকে ফরাসিদের ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়ে সেই ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে আরও একবার ফাইনালে উঠে গেল স্প্যানিশরা।
এদিন ম্যাচের ২৩ ও ২৫তম মিনিটে নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনোর গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন। তবে প্রথমার্ধের পুরোটা আলো কেড়ে নেন স্পেন অধিনায়ক তথা দলটির গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফরাসিদের নিশ্চিত গোল হওয়ার মতো পাঁচটি শট রুখে দেন তিনি।
বিরতির পর নেমে ফের জোড়া ধাক্কা খায় ফ্রান্স। এবারের দুই গোলদাতা লামিন ইয়ামাল ও পেদ্রি।
৫৪তম মিনিটে লামিনকে ফাউল করে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডার আদ্রিয়েন রাবিও, আর তা থেকে ব্যবধান ৩-০-তে উন্নীত করেন এই কাতালান প্রতিভা। পরের মিনিটে স্পেনের চকিত আক্রমণে চোখে সর্ষে ফুল দেখে ফ্রান্সের ডিফেন্ডাররা। এ সময় নিকো উইলিয়ামসের ড্রিবলের পর বাড়ানো পাস থেকে আরও নিপুণ দক্ষতায় গোল করেন পেদ্রি।
তার পাঁচ মিনিট পর অবশ্য পেনাল্টি পায় ফ্রান্সও এবং তা থেকে প্রথমবার ব্যবধান কমান এমবাপ্পে। তবে ৭৯তম মিনিটে লামিন পঞ্চম গোলটি করলে মনে হচ্ছিল ফ্রান্সের খেলা সেখানেই শেষ। কিন্তু ফুটবল বলে কথা! যেখানে শেষ বলে কিছু নেই।
৭৯তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা রায়ান শেরকির গোলে ব্যবধান কমে দেশমের দলের। এর তিন মিনিট পর এমবাপ্পের কাছে বল যাওয়া রুখতে গিয়ে তা জালে পাঠিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসেন স্পেনের বদলি হিসেবে নামা ডিফেন্ডার দানি ভিভিয়ান। ৫-৩ গোলে ব্যবধান কমে এলে পায়ের নিচে মাটি পায় ফ্রান্স; আরও জমে ওঠে খেলা।
এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও একটি গোল করেন রাঁদাল কোলো মুয়ানি, কিন্তু তা সমতায় ফেরার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ফলে খেলা অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে গড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৯০+৬ মিনিটেই শেষ হয়, আর শেষ হাসি হাসে স্পেন।
১৮২ দিন আগে
রোনালদোর আশা পূরণের রাতে নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগাল
বয়স চল্লিশ পেরিয়ে একচল্লিশে পা দিলেও যেন থামার নাম নেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর, না আছে তার পারফরম্যান্সে ভাটার টান। এমনই আরও একটি উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের রাতে অনন্য মাইলফলক ছুঁয়ে দেশকে আরও একবার নেশন্স লিগের ফাইনালে তুলেছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
মিউনিখের আলিয়ান্স আরেনায় বুধবার (৪ জুন) রাতে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে জার্মানিকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
এই জয়ে পর্তুগালের জার্সি গায়ে প্রথমবার জার্মানিকে হারাতে পারলেন রোনালদো। আর আরাধ্য এই জয় পেতে তার লাগল ৪০ বছর ১১৯ দিন। জাতীয় দলের জার্সিতে ২২০তম ম্যাচ খেলতে নেমে এই কীর্তি গড়েন তিনি।
ক্রিকেটপাড়ায় ১৮ বছর ধরে শিরোপার প্রতীক্ষায় থাকা বিরাট কোহলির হাতে আইপিএল ট্রফি ওঠা নিয়ে যখন চারদিক থেকে প্রশংসার ধারা বইছে, তার মধ্যেই ক্রিকেট কিংবদন্তির ফুটবল জগতের আদর্শ ২৫ বছর পর দলকে এনে দিলেন বিরল এই জয়।
হ্যাঁ, সবশেষ ২০০০ সালের ২০ জুন ইউরোর গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে জার্মানিকে হারিয়েছিল পর্তুগাল। এর মাঝে ২৫টি বছর কেটে গেছে। দুই দলের দেখা যে এর মধ্যে হয়নি তা নয়। তবে ওই সময়ের পর থেকে পাঁচবারের দেখায় সবকটি ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ নিতে হয়েছে পর্তুগিজদের, আর জার্মানি জয়ের আকাঙ্ক্ষা কেবল দীর্ঘই হয়েছে রোনালদোর।
এবার সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন শ্রমকে সাফল্যের মূলমন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এই অনন্য ফুটবলার।
১৮৩ দিন আগে