মধ্যপ্রাচ্য
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বালবেকের কেন্দ্রস্থলের নবী ইনাম এলাকার ওই বাড়িতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে লেবাননের রেড ক্রস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাবর্ষণের সময় তারা একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরের পর দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে এটি গোষ্ঠীটির নবম ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা।
পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সোমবার ইসরায়েলের বেইত হিলেলের মোশাভে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানসহ একাধিক স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
১৩ ঘণ্টা আগে
লেবাননে বাড়ছে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতি
লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষ নিহতের সংখ্যা এবং বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার আগে ওই ব্যাংকের শাখাগুলোর এলাকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার ফলে হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
রবিবার রাতে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে বিমান হামলায় ইউএনএফপিএর (ইউএন পপুলেশন ফান্ড) নারী ও মেয়েদের জন্য তৈরি করা একটি নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রসহ একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে বৈরুত, বেকা ও মাউন্ট লেবাননে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ প্রসূতি সেবাকেন্দ্রসহ ইউএনএফপিএর ১০টি পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল সংঘাতে ২৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি। বাস্তুচ্যুত এবং সংঘাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষ।
লেবাননজুড়ে জাতিসংঘ ও তার মানবিক সহযোগীরা সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ।
সোমবার জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও ওসিএইচএর সহায়তায় বালবেক প্রদেশের জাবুলে শহরে ছয় ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী আসে। গত সেপ্টেম্বরের পর লেবাননে এই প্রথম ত্রাণ সামগ্রী এলো। রেডি-টু-ইট খাবারের পাশাপাশি দুই মাসের জন্য ১০০০ লোকের জন্য পর্যাপ্ত খাবার নিয়ে এসেছে এই ট্রাকগুলো।
এছাড়া জাবুলে শহরের তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে পানির বোতল, তোশক, কম্বল, প্রাথমিক চিকিৎসা ও হাইজিন কিটসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়েছে ইউনিসেফ।
লেবাননে প্রায় ১১০০ আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে ৯০০টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ওসিএইচএ।
বৈরুত ও মাউন্ট লেবাননে সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুতির ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, গত এক বছরে লেবাননের অভ্যন্তরে আট লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে লেবানন থেকে ৪ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে এবং ১৭ হাজার মানুষ ইরাকে গিয়েছে।
১ দিন আগে
লেবাননে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলের হামলা
লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আল কার্দ আল হাসানের শাখাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
স্থানীয় আল-জাদিদ টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় বৈরুতের দক্ষিণে চিয়াহতে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
দিনের শুরুতেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি হুমকি দিয়ে জানিয়েছিলেন, হিজবুল্লাহর আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাগারি বলেন, 'আমরা শিগগিরই অনেকগুলো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাব।’
তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে চালানো অভিযানের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে জানায়, তারা হিজবুল্লাহর অর্থের উৎসগুলো ধ্বংস করে দিতে চায়। এজন্য আল কার্দ আল হাসান অ্যাসোসিয়েশনে ওপর হামলা চালানো হবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ স্থাপনা ত্যাগ করতে এবং এর থেকে ‘কমপক্ষে ৫০০ মিটার’ দূরে চলে যেতে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণে আল কার্দ আল হাসান নামে এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ বৈরুতে যেখানে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈরুতে বিমান হামলায় নিহত ২২, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ওপরও ইসরায়েলের গুলি
১ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার বেইত লাহিয়ার কয়েকটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে আরও কয়েক ডজন আহত বা নিখোঁজ রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
এই হামলার জন্য ইসরায়েল, মার্কিন প্রশাসন এবং কিছু ইউরোপীয় দেশ সম্পূর্ণভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছে হামাস।
এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, উপত্যকা জুড়ে যুদ্ধ চলতে থাকায় শুক্রবার আরও ২০ হাজার মানুষ উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
গাজা শহর ও উত্তরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে লাজারিনি বলেন, সর্বশেষ অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতি দেখা গেছে।
শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রেই জাবালিয়া থেকে শত শত বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়ায় অভিযান চালিয়ে ১৬২তম ডিভিশন বেশকিছু জঙ্গিকে নির্মূল করেছে এবং বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলায় ১২০০ জনের মৃত্যু ও ২৫০ জনকে জিম্মি করার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের অভিযান শুরু করে। চলমান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৪২ হাজার ৫১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৪৮
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪৮ জন। আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৭১।
লেবাননের মন্ত্রী পরিষদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জন নিহত ও ১৩৫ জন আহত হয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকায় ৮২টি জায়গায় বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ চালিয়েছে ইসরায়েল।
বিশেষ করে দক্ষিণ লেবাননে হামলার মাত্রা বেড়েছে। লেবাননে ইসরায়েলের ‘আগ্রাসন’ শুরুর পর থেকে এই এলাকায় ১০ হাজার ৪১৫ বার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত জন্য ১ হাজার ৯৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৯০১টি এরই মধ্যে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অতিক্রম করেছে।
ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৭২ জন সিরীয় নাগরিক এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন লেবাননের নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের জাতীয় নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
৩ দিন আগে
নেতানিয়াহুর বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর সিজারিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ড্রোন ছোড়া হয়েছে।
শনিবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই সময় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সেখানে ছিলেন না। পাশাপাশি ড্রোন হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির দপ্তর।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা রাশিয়ার
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড্রোনটি সিজারিয়ার একটি বাড়িতে আঘাত হানে।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, একইসঙ্গে ইসরায়েলে ঢোকার সময় আরও দুটি ড্রোন সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।
ড্রোন উৎক্ষেপণের পর মধ্য ইসরায়েলের গ্লিলোট ঘাঁটিতে বিমান প্রতিরক্ষা সাইরেন শোনা যায়। সেখানে অভিজাত সাইবার গোয়েন্দা দল ‘ইউনিট ৮২০০’ এর কার্যালয় অবস্থিত।
৩ দিন আগে
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে ইসরাইলকে সতর্কবার্তা রাশিয়ার
ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলা না চালানোর পরামর্শ দিয়ে এ ধরনের পদক্ষেপকে বিপর্যয়কর বলে অভিহিত করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার কথা চিন্তা করলেও তা হবে পরমাণু নিরাপত্তার নিয়মের গুরুতর লঙ্ঘন। খবর বার্তা সংস্থা তাসের।
বিয়ারকভ বলেন, 'আমরা (ইরানের) পরমাণু স্থাপনায় হামলার সম্ভাবনা অনুমানমূলকভাবে বিবেচনা করার বিরুদ্ধেও ইসরাইলকে বারবার সতর্ক করে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি হবে একটি বিপর্যয়কর পদক্ষেপ এবং প্রতিষ্ঠিত পারমাণবিক নিরাপত্তা নীতির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।’
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪১২
হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসি'র প্রধান নেতাদের হত্যার জবাবে গত ১ অক্টোবর ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েলে উল্লেখযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।
তেহরান দাবি করেছে যে ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র তাদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে যে নিক্ষেপ করা ১৮০ টি ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের চিফ অব জেনারেল স্টাফ উপযুক্ত সময়ে ইরানের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরাইলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে একটি চরম উস্কানিমূলক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
৪ দিন আগে
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ জন নারীসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপ ও ভবনের নিচে আটকা পড়ার কারণে প্রাণহানির সংখ্যা ৫০ জনে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হামাস পরিচালিত গাজা সরকারের মিডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যম কার্যালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বোমা হামলায় ৮৫ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হামাস
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জাবালিয়া ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েল সীমান্তে হামাসের হামলা চালিয়েছিল। এতে নিহত হয়েছে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। আর এসব হত্যার প্রতিশোধ ও জিম্মিদের উদ্ধারে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে বড় আকারের আক্রমণ চালাচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ হাজার ৫০০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪১২
৪ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪১২
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪১২ জনে পৌঁছেছে। সেইসঙ্গে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৮৫ জনে।
এদিকে, বুধবার লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আরও ১৭৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার লেবাননের মন্ত্রী পরিষদ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ৯৬টি বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে এ পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ২৪৬টি হামলা চালানো হলো।
আরও পড়ুন: গত এক সপ্তাহে নিহত হিজবুল্লাহর সাত শীর্ষ কর্মকর্তা
ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে এ লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে।
৪ দিন আগে
সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করল হামাস
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার একদিন পর অবশেষে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে সিনওয়ারকে ‘বীর’ হিসেবে অভিহিত করে শুক্রবার হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি বীর হিসেবে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছেন; অগ্রসর হয়েছেন এবং পিছু হটেননি, বরং অস্ত্র দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীকে সামনে থেকে মোকাবিলা করেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলায় ধ্বংস হওয়া একটি ভবনের মধ্যে চেয়ারে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ধুলায় সারা শরীর ঢাকা মারাত্মক আহত ওই ব্যক্তি নিজের দিকে এগিয়ে আসা একটি ইসরায়েলি ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করছেন।
বিবৃতিতে হামাস সেটিকেই সিনওয়ারের জীবনাবসানের আগমুহূর্তের ঘটনা হিসেবে ইঙ্গিত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হামাস প্রধান সিনওয়ার নিহত: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অন্যদিকে, সিনওয়ার হত্যাকাণ্ডকে ‘গাজা যুদ্ধের শেষের শুরু’ হিসেবে বর্ণনা করলেও ‘যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলে উল্লেখ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তবে ইসরায়েলের মিত্র দেশগুলো থেকে শুরু করে গাজার অসহায় বাসিন্দাদের অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন যে সিনওয়ারের মৃত্যু এই যুদ্ধ অবসানের পথ প্রশস্ত করবে।
হামাস-প্রধানের মৃত্যুর খবরে জিম্মিদের মুক্ত করতে নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করার জন্য দেশের সরকারের কাছে ফের দাবি তুলেছে ইসরায়েলিরা।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনার সময় হামাসের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া সিনওয়ারের কাতারভিত্তিক সহযোগী খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘গাজায় আগ্রাসনের অবসান এবং সেনা প্রত্যাহারের আগে জিম্মিরা মুক্তি পাবে না।’
অবশ্য দেশের জনগণকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানিয়েছেন, জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য শুক্রবার একটি বিশেষ বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা করছেন নেতানিয়াহু।
হামাসের কাছে এখনও প্রায় ১০০ জন জিম্মি রয়েছে। অবশ্য তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের।
৪ দিন আগে