চট্টগ্রাম
কুমিল্লায় ট্রাক উল্টে নদীতে, গোসলরত ৩ নারী নিহত
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মালবাহী ট্রাক (ট্রলি) উল্টে নদীতে পড়ে তিন নারী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কড়িকান্দি-রাজাপুর সড়কের ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— শুক্কুর আলীর স্ত্রী রিনা আক্তার (৩৫), ইমন মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার (৩০) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী সামছুন নাহার (৪০)। তাদের মধ্যে রুজিনা ও সামছুন নাহার আপন জা এবং রিনা আক্তার তাদের ভাগ্নে-বৌ।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমেছিলেন ওই তিন নারী। এমন সময় রাজাপুর থেকে কড়িকান্দি বাজারগামী একটি খালি ট্রলি ইমন মিয়ার বাড়ির সামনে এসে উল্টে নদীতে নারীদের ওপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রিনা ও রুজিনা নিহত হন। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে সামছুন নাহারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, একই পরিবারের তিন নারীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কয়েক গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ছুটে এসে তাদের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্না এবং স্বজনদের আহাজারিতে সে সময় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
ঘটনার খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, মরদেহ পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
হবিগঞ্জের ৫ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু
হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শেষে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান।
হবিগঞ্জের রঘুনন্দন এলাকায় ১৯৮৮ সালে ৫ নম্বর কূপটি খনন করা হয়। কূপটি থেকে বর্তমানে প্রতি দিন ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। তবে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদন বেড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যাবে জাতীয় গ্রিডে।
মূলত গ্যাসের সঙ্গে পানি ওঠাসহ নানা জটিলতার কারণে ৫ নম্বর কূপটি ওয়ার্কওভারের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ অক্টোবর কূপটির ওয়ার্কওভার শুরু হয়ে শেষ হয় ২৭ নভেম্বর। এতে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক ইসমাইল মোল্লাসহ প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ দিন আগে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন করার দাবিতে অবরোধ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে সাতকানিয়ার কেরানীর হাট, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি চলার পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এসব এলাকায় স্থানীয়রা বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কে জড়ো হন। এরপর তারা মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হঠাৎ সড়ক অবরোধে বিপাকে পড়ে হাজারো যাত্রী।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই মহাসড়কটি এখন ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটছে। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে সড়ক প্রশস্তকরণ ও আধুনিকায়নের আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
স্থানীয়দের দাবি, শুধু সাতকানিয়ার মানুষের যাতায়াতই নয়, দেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা পৌঁছানো—সবকিছুর জন্যই এই সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন লাখো মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। অথচ বহু অংশ এখনো অত্যন্ত সরু, কোথাও কোথাও পাড়ার গলির চেয়েও কম প্রশস্ত। জাঙ্গালিয়ার অংশটি ঢালু ও আঁকাবাঁকা হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাতে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরপরও দফায় দফায় আশ্বাস মিললেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে স্মারকলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। ১১ এপ্রিল সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়রা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
সকালের অবরোধে মহাসড়কের দুই দিকে শতাধিক যানবাহন আটকে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়। পরে বেলার ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, অবরোধের খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
৫ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মীর মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভে কালি লেপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভ কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কে বা কারা এটি ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি। এ নিয়ে এলাকায় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে ভোরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। এরপর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মুগ্ধর স্মরণে প্রতিকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়। চিনাইর ডিগ্রি কলেজের সামনেও তার স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। মূলত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ওই কলেজের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই স্তম্ভে মুগ্ধর ছবি বসানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত রবিবার চিনাইর ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে চিনাইরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়ে কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হতে পারে।
চিনাইর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী আজম সাংবাদিকদের জানান, নবীনবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে এলাকায় বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ দেখা দেয়। গত সোমবার থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই বিরোধকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র এই কাজটি করে থাকতে পারে। ওই চক্র শান্ত চিনাইরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল আহমেদ বলেন, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মৃতিস্তম্ভের উদ্যোক্তা আমি। কে বা কারা তার স্মৃতিস্তম্ভে কালি দিয়েছে, আমি জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি মর্মাহত। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ দিন আগে
সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
চট্টগ্রামে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে নিয়ন্ত্রণ হারানো একটি যাত্রীবাসের ধাক্কায় শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার বটতলা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
কুমিরা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী সিডিএম পরিবহনের একটি বাস সীতাকুণ্ড বটতলা এলকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কার্ভাড ভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় আরো একজন।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসে উদ্ধারকার চালায়। হতাহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
১৯ দিন আগে
কুমিল্লায় ট্রাক, সিএনজি ও অটোর সংঘর্ষে তিনজন নিহত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রাক, সিএনজি ও অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ি ইউটার্নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় লাকসাম থেকে চৌদ্দগ্রামমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক সড়কের ফেলনা কাজী বাড়ির সামনের ইউটার্নে চৌদ্দগ্রাম থেকে নাঙ্গলকোটগামী একটি সিএনজি ও একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিটি ধুমড়ে মুছড়ে ট্রাকের নিচে চলে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন পুরুষ ও একজন নারী নিহত হন। নিহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৫ জন।
আহতরা হলেন— নাঙ্গলকোট উপজেলার মহিশ্বর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আবু তৈয়ব (২৬), একই উপজেলার বাঙ্গড্ডার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আব্দুর রহিম (২৭), আলী হোসেনের ছেলে অটোচালক মাহবুবুল হক ও আবুল কালামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪২)।
স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আব্দুর রহিম, আনোয়ারা বেগম, আবু তৈয়বসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যায়। ট্রাক, সিএনজি ও অটোর ত্রিমুখী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৫ জন।
২৫ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা, নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিপন মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের পর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণিশাহ মাজার সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত শিপন উপজেলার নূরজাহানপুরের কুখ্যাত মনেক ডাকাতের ছেলে।
আজ (রবিবার) সকালে নিহত শিপনের ছোট বোনের জামাই ও মামাতো ভাই শাকিল মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গতকাল রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিপনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছিল তার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে শিপন বড়িকান্দি গণিশাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খেতে গেলে হঠাৎ একদল সশস্ত্র দুবৃত্ত হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়।
এ সময় শিপন ও হোটেলের এক কর্মচারীসহ আরও তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মারা যান। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুর ইসলাম জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
৩৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে মধ্যরাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিতে ছাত্রদল কর্মী নিহত
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় দলীয় ব্যানার খুলে ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এই গুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সাজ্জাদ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন হিরাকান্দা এলাকার মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরীর বাকলিয়া থানার তক্তারপুল এলাকায় বসবাস করতেন। সাজ্জাদ বাকলিয়া থানা ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন।
সংঘর্ষে আহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত ও তার অনুসারী এমদাদুল হক বাদশার সমর্থকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারী হুমায়ুন রশিদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
হুমায়ুন রশিদের ভাষ্য অনুযায়ী, যুবদলের ব্যানারে খুলে ফেলার সময় বাধা দিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গুলি করে তাদের একজনকে হত্যা করেছে।
চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, মো. সাজ্জাদ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে।
তিনি জানান, সাজ্জাদ ছাড়াও গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এক্সেস রোডের ঘটনায় ১৮ থেকে ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজনকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, আবার কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
৩৮ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের তিন মামলা
খাগড়াছড়ির সদর ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাঙচুর, দাঙ্গা সৃষ্টি এবং পুলিশের উপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাসহ তিনটি মামলা করেছে। এসব মামলায় অজ্ঞাতনামা প্রায় নয় শত জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভাঙচুর, দাঙ্গা সৃষ্টি এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহরিয়ার।
অন্যদিকে, গুইমারা থানায় হত্যাকাণ্ড ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানান, বর্তমানে উপজেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: চলছে অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ, এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা
এদিকে, শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে আটক শয়ন শীলকে ৬ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ির পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে এবং ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাটের দিনে সকাল থেকে বাজারে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজন স্বাভাবিকভাবে আসতে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ির সব সড়কে যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে, দোকানপাটও খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
৬৪ দিন আগে
ফেনীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে পড়ল দোকানে, নিহত ৩
ফেনীর দাগনভূঞায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে গিয়ে সড়কের পাশের দোকানে পড়েছে। এতে দুই নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সিলোনিয়া বাজারসংলগ্ন লাকি রোডের মুখে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার খুশিপুর এলাকার শহিদুল্লাহর স্ত্রী শামীম আরা বেগম (৫০) ও একই উপজেলার দক্ষিণ জয়লস্কর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে মো. শ্রাবণ (২০)। নিহত অন্য নারীর এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ফেনীর মহিপাল থেকে নোয়াখালীগামী সুগন্ধা পরিবহনের বাসটি সিলোনিয়া বাজারসংলগ্ন লাকি রোডের মুখে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি উল্টে একটি দোকানের ভেতরে পড়ে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্র নিহত
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত বেপরোয়া গতি ও বৃষ্টির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬৪ দিন আগে