চট্টগ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ঘটনায় শিশুসহ নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক ঘটনায় একটি শিশু ও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নবীনগর উপজেলার ভৈরবনগরে লিচুর বিচি গলায় আটকে আবু বক্কর (৩) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সকালে তার নানার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির নানু শিল্পী জানান, সকালে লিচু খাওয়ার সময় বিচি গলায় আটকে যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুমার নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু
অন্যদিকে সদর উপজেলার রাধিকা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লিটন মিয়া (৩০) নামের একজন মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় লব মিয়ার ছেলে।
শনিবার সকালে পাশের বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় শকে আহত হয়ে লিটনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনিও মারা যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাকিল উভয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
খাগড়াছড়িতে কাভার্ডভ্যান-ট্যাক্টর সংঘর্ষে চার শ্রমিক আহত
খাগড়াছড়ির আলুটিলা এলাকায় কাভার্ডভ্যান ও ইটবোঝাই ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার শ্রমিক আহত হয়েছেন। শনিবার (২৪ মে) সকাল ৭টার দিকে ময়লার টিলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন— মো. রহিম, মো. শাহিন, মো. রমজাম আলী ও থৈঅংগ্য মারমা। তারা সবাই মাটিরাঙ্গার বাসিন্দা ও ট্রাক্টরের শ্রমিক।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যান খাগড়াছড়ি শহরের পথে আলুটিলায় ইটবোঝাই ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে কাভার্ডভ্যানে আগুন লাগে এবং ধাক্কায় ট্রাক্টর উল্টে যায়।
আরও পড়ুন: এনবিআরে সেনা–পুলিশ মোতায়েন, উত্তেজনা বাড়ছে
দুর্ঘটনায় ট্রাক্টরের চার শ্রমিক আহত হন। এর কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং তাদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
৫ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুরে পুকুরে ডুবে ভাইবোন নিহত
চাঁদপুরের হাইমচরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপজেলার ৬ নম্বর চরভৈরবী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বগুলা গ্রামে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলেন— হারুনুর রশিদ হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম (৪) ও মেয়ে ফয়জিয়া (২)।
পরিবারের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও ইব্রাহিম ও ফয়জিয়া বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলতে খেলতে তারা হঠাৎ বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
একপর্যায়ে পুকুরের পানি থেকে অচেতন অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে দ্রুত হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হাইমচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম ইউএনবিকে জানান, নিহত দুই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই।
১ দিন আগে
রামগড় সীমান্ত দিয়ে এক পরিবারকে পুশ-ইন করল বিএসএফ
খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত দিয়ে এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে ফেনীরকুল চর এলাকার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন মো. উম্মেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) এবং তাদের তিন মেয়ে রুমি খাতুন (১৫), রুম্পা খাতুন (১২) ও সুমাইয়া খাতুন (৮)।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত পেরিয়ে ওই পরিবারটি রামগড়ের সোনাইপুল বাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের দেখে স্থানীয়রা মহামুনি বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেন। পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের হেফাজতে নেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় পুশ-ইন: শিশুসহ আটক ৭
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে ভারতের পুশ-ইনের ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ন্যাক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। গত ১২ মে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে এসব বলেন তিনি।
পুশ-ইন করা ব্যক্তিদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে— জানতে চাইলে ডিজি বলেন, ‘আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশনে যাদের বাংলাদেশি পেয়েছি, তারা গত ২ থেকে ৩ বছর মধ্যে এমনকি অনেকে ২০ থেকে ২৫ বছর আগে নানা কাজে ভারতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেরই সন্তানাদি আছে। তাদের মধ্যে অনেকেরই ভারতের আধারকার্ডসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস ছিল।’ ভারতের পুলিশ বা বিএসএফ সেগুলো রেখে দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
পুশ-ইনের পর বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ নিজ এলাকায় ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
১ দিন আগে
কুমিল্লায় ডোবায় পড়ে দুই শিশু নিহত
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে জিহাদ ও রায়হান নামের দুই শিশু নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জিহাদ (৫) ওই এলাকার জলিল মিয়ার ছেলে এবং রায়হান (৩) কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা এলাকার রুবেল মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কের মামা-ভাগনে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে তারা বাড়ির উঠানে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর তাদের আর দেখা না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে সম্প্রতি মাটি কেটে তৈরি করা একটি ডোবায়, যেখানে বৃষ্টির পানি জমে ছিল, সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে দ্রুত তাদের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুই শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা ইসলাম বলেন, ‘শিশুদুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
৪ দিন আগে
চাঁদপুরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
চাঁদপুর শহরে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের এক আরোহীসহ দুই পথচারী।
সোমবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর শহরের চেয়ারম্যানঘাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিপরীতে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন— বাবুরহাট এলাকার মাল বাড়ির মো. মনির মালের ছেলে মো. সমুদ্র মাল (২৪) ও নাটোর জেলার মোহাম্মদ ইছা (৩৫)। তিনি অটোরিকশাচালক ছিলেন।
আহতরা হলেন— মোটরসাইকেল আরোহী মো. রাকিব (২৭), পথচারী মো. আফজাল (২৬) ও মো. ফাহাদ (১৮)। আহতরা সবাই চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, সমুদ্র ও রাকিব ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ঘুরানোর সময় মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সমুদ্র ও ইসমাইল নিহত হন। আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শাহবাগে ডিবির অভিযানে ৯০ লাখ টাকার মোবাইল ফোন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলায়েত হোসাইন ইউএনবিকে বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসা পাঁচজনের মধ্যে দুজনকেই মৃত অবস্থায় পেয়েছি। শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আহত তিনজনের মধ্যে গুরুতর আহত রাকিব ও ফাহাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।’
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া ইউএনবিকে বলেন, ‘লাশ দুটি সুরতহাল করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’
৪ দিন আগে
কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষকের মৃত্যু
কুমিল্লার লাকসামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাফেজ জাকির হোসেন (৩৫) নামের একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জাকির হোসেন রামপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। তিনি রামপুর দারুসুন্নাত দ্বীনিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও হেফজ্ বিভাগের শিক্ষক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অজ্ঞাত কিশোরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, জাকির হোসেন বাড়ির পাশে একটি গাছের ডাল কাটছিলেন। ওই গাছের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে একটি বৈদ্যুতিক লাইন। ওই গাছের ডাল কাটার সময় অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগে
জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ২ জন নিহত
চট্টগ্রাম জিইসি এলকায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় চকবাজার থানার এম এম আলী সড়কের বশর ভিলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—মিরসরাই উপজেলার পূর্ব পোলমোগরা এলাকার নুর জাহানের ছেলে তৈয়ব (৪৫) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাবিরপাড়া এলাকার হুমায়ুনের ছেলে রবিউল (১৪)।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ‘রবিবার সন্ধ্যায় বশর ভিলা এলাকায় বৃষ্টিতে একটি ভবনের নিচে পানি জমে যায়। সেই পানিতে দুজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।’
পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি জাহিদুল কবির।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অজ্ঞাত কিশোরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
মরদেহ স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
৫ দিন আগে
ফেনীতে সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে
ফেনীর সোনাগাজীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে জাফর উল্লাহ নয়ন (৪৮) নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম কুমার দাসের জমি দীর্ঘদিন পর্যন্ত জবরদখল করে রেখেছিলেন নয়ন।
গেল ১৪ মে নিজের জমিতে কাজ করতে গেলে নয়ন তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। উত্তম প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের বড় বাড়ির প্রয়াত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে নয়ন।
উত্তম দাস বলেন, ‘আমার বাবা মৃত উষা রঞ্জন দাসের নামে এই জায়গা সিএস খতিয়ানে রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু নয়ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিএস রেকর্ডে তার নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। যদিও তিনি কোনো দলিলপত্র দেখাতে পারেননি। জমির কাছে এলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। গত ১৩ মে নয়ন ও তার ভাই আবদুল হালিম আমার ওপর দেশীয় অস্ত্র (দা-ছুরি) দিয়ে হামলা করে।’
উত্তমের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক নয়ন দখল করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোমিনুল হক।
তিনি বলেন, সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনের অনুসারী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পেতেন না। তিনি দলীর প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়ে জমি জবরদখল করতেন।’
আরেক প্রতিবেশী আবদুল মান্নান বলেন, ‘উষা দাস জীবিত অবস্থায় নয়ন ও তার পিতা মোস্তাফিজুর রহমানের কাছ থেকে জমি উদ্ধারের চেষ্টা করেন, ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় মসজিদের মুসল্লিদের সামনে টাকা দিয়ে খরিদ করার প্রস্তাব দেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘গত সরকারের সময়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বায়েজিদ আকন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মুল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জুলাই আন্দোলনে ফেনীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় কারাগারে থাকায় নয়নের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি
৬ দিন আগে
সীমান্তে ফের পুশ-ইনের চেষ্টা, স্থানীয়দের নিয়ে বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সেই প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে আটক ৬০০ জনের বেশি ও রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশ-ইনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আটকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি এবং কয়েকজন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।
তাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশে পাঠিয়ে দিতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ২টার দিকে বিজয়নগর সীমান্তে আসে বিএসএফ।
এ খবর জানতে পেরে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয়রা। সে সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সবাইকে সীমান্তে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। সীমোন্তে জনতার ভিড় দেখে পিছিয়ে যায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে
এ বিষয়ে সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইনের চেষ্টা করলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বিজিবির সহযোগিতায় এলাকার মানুষ সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।’
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশ-ইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।’
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইন করবে বলে খবর আসলে বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি উৎসুক জনতাও সীমান্তে জড়ো হন। সবার যৌথ প্রচেষ্টায় এ ঘটনায় সফল হয়েছি আমরা।’
৮ দিন আগে