���������������
সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
সিলেট মহানগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আজ (মঙ্গলবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিন্দাবাজার এলাকার পাঁচ পীরের মাজারের ভেতরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, জিন্দাবাজার এলাকায় পাঁচ পীরের মাজারের ভেতরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
১৭ ঘণ্টা আগে
সন্তানের অভাব পূরণে শিশু চুরি, ৪৮ দিন পর যুবক আটক
সিলেটের হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারের নারী ইবাদতখানার সামনে থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধরা পড়ার পর নিজেদের সন্তান নেই, তাই শিশুটিকে প্রতিপালনের জন্য চুরি করেছিলেন বলে সরল স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।
গত ২৮ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বাল্লা গ্রামের শাকিল আহমদের দেড় বছরের মেয়ে সিনহা আক্তার তাবাসসুমকে চুরি করে নিয়ে যান মো. আলী (২৭)। এরপর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) মাজার এলাকা থেকেই তাকে আটক করা হয়।
আটক মো. আলী (২৭) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার নোয়াপাড়ার বাসিন্দা। তবে কাজের সুবাদে তিনি হবিগঞ্জে থাকেন।
এদিকে, মেয়েকে হারিয়ে ঘর ভাঙার উপক্রম শিশুটির মা রেহানা বেগমের (২৮)।
তিনি জানান, আরও কয়েকটা বাচ্চার সঙ্গে খেলার জন্য নিজের মেয়েটিকে তিনি কোল থেকে নামিয়ে দেন। একপর্যায়ে খেয়াল করেন, তার মেয়েটিকে কোলে নিয়ে এক যুবক দ্রুত হাঁটছেন। তিনিও দ্রুত হেঁটে তাকে ধরতে গেলে মুহুর্তের মধ্যে ভিড়ের মধ্যে লোকটিকে হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এরপর রেহানার জীবনে নেমে আসে নরক যন্ত্রণা। মেয়েকে হারিয়ে বাড়ি ফেরায় তার স্বামী তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। মানসিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ঘুরতে থাকেন রাস্তায় রাস্তায়। তার পর থেকে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার প্রাঙ্গণ ও গ্রামের বাড়ি জকিগঞ্জে দৌড়াদৌড়ি করেই তার দিন পার হচ্ছিল। তবে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আশায় অধিকাংশ সময় তিনি মাজার প্রাঙ্গণেই পড়ে থাকতেন। শিশুটিকে হারানোর পর সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি।
রেহানা বলেন, মেয়েকে হারিয়েছি ৪৮ দিন হয়ে গেছে। গতকালও (সোমবার) দরগাহ প্রাঙ্গণে হাঁটছিলাম। সেখানে হঠাৎ সেই যুবককে দেখতে পাই, যে আমার মেয়েকে নিয়ে হাওয়া হয়ে গিয়েছিল। পরে স্থানীয়দের জানালে সবাই মিলে তাকে আটক করে। এরপর জিডির তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন করলে তিনি এসে লোকটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, মো. আলী স্বীকার করেছে যে, মেয়েটি তার স্ত্রীর কাছে আছে। তাদের কোনো সন্তান নেই। তাই লালন-পালন করতেই ওকে নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে রেহানা বলেন, ‘তার বাচ্চা নেই, তাই বলে আমার মেয়েকে নেবে কেন?’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈনুল জাকির বলেন, আলী আমাদের হেফাজতে আছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
২০ ঘণ্টা আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতার উদ্ভাবিত ‘আপন অ্যাপ’-এ হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা
জরুরি মুহুর্তে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ‘আপন অ্যাপ’ নামে একটি ওয়েব অ্যাপ পরিষেবা উদ্ভাবন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রাহাত জামান।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে রাহাত জামান নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এই ওয়েব অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই রক্তদাতার খোঁজ, ডাক্তারের চেম্বার ও নিকটস্থ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে অ্যাপে আছে বিশেষ গ্যামিফিকেশন ব্যাজ। একইসঙ্গে রোগীরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফি ও রেটিং দেখে সহজেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নির্বাচন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অ্যাপটির ব্যবহার সম্পর্কে রাহাত জামান বলেন, ‘আপন অ্যাপ’ ব্যবহার করার জন্য আগে অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর ব্যবহারকারী যদি রক্তদাতা হন, তাহলে তিনি নিজের নাম ও ঠিকানা অ্যাপে যোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি ব্যবহারকারী চাইলে তার এলাকার ভালো চিকিৎসকদের চেম্বারের তথ্যও ম্যাপে যুক্ত করতে পারবেন, যাতে অন্য ব্যবহারকারীরা সহজে সেসব চিকিৎসকদের খুঁজে পান।
গুগল সার্চ বারে গিয়ে Apon.help লিখলেই এই ওয়েব অ্যাপটি খুঁজে পাবে বলে জানান উদ্ভাবক।
তিনি আরও বলেন, জরুরি অবস্থায় এক মিনিটের অপেক্ষা মানে জীবনের ঝুঁকি। সেই কঠিন সময়ে রোগীর পাশে থাকার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি একটি ম্যাপভিত্তিক স্বাস্থ্য পরিষেবা অ্যাপ। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। আশা করি, মানুষ এই প্লাটফর্ম থেকে সুবিধা পাবে।
১ দিন আগে
মধ্যরাতে সিলেট অঞ্চলে দুইবার ভূমিকম্প
সিলেট ও মৌলভীবাজারে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে এবং এর পাঁচ মিনিট পর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরির তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫ এবং উৎপত্তিস্থল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায়। পরের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩.৩ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বিয়ানীবাজারের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন সিসমিক সেন্টারের বরাতে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ভূমিকম্পের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
৫ দিন আগে
সিলেটে সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরি মেরে পালাল আসামি
সিলেট নগরীর সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সাইবার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা খুরশেদ আলম আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত খুরশেদ আলম সিলেট সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতরাতেই তার অস্ত্রোপাচার করা হয়।
জানা গেছে, সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সোমবার রাতে একটি সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে সাদাপোশাকে অভিযান চালায় সিআইডির একটি দল। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এসআই খুরশেদ আলম আসামিকে ধরতে যান। তখন আসামি তার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে খুরশেদ আলমকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডি সিলেটের পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, সাইবার মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে আসামি। আহত পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
৭ দিন আগে
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটে প্রতারণা, যশোরে ‘দম্পতি’ গ্রেপ্তার
লন্ডন পাঠানোর নামে সিলেটের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কথিত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের কোতোয়ালী থানার সেক্টর ৭-এর ৬ নম্বর বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতারণার শিকার তরুণ-তরুণীরা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মুকিত মিয়া।
গ্রেপ্তাররা হলেন ঢাকার কদমতলী থানার রায়েরবাগ মিরজানগর সি ব্লকের বাসিন্দা মো. নাজিম উদ্দিন আদিল (৩৫) ও তার কথিত স্ত্রী ফারজানা শারমীন সোমা (৩৭)।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) তাদের সিলেট নিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা জানান, সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের এলিগেন্ট মার্কেটের এস আই ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ট্রাভেলসের মালিক ওই দম্পতি। সম্প্রতি তাদের প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে লন্ডন যাওয়ার জন্য আইইএলটিএস সম্পন্ন করা অনেক তরুণ-তরুণী নিজেদের গহনা, জায়গা-জমি বিক্রি করে তাদের টাকা দেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করে দেওয়ার নামে তারা জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন।
এক তরুণী বলেন, অনেক কষ্ট করে, গহনা বিক্রি করে আমরা উনাদের টাকা দিয়েছি, কিন্তু পরে দেখি সবকিছু ভুয়া। আমরা এর ন্যায়বিচার এবং টাকা ফেরত চাই।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতারকরা বেশ কৌশলী ছিলেন। ভিসা হয়ে গেছে, এমন ছবি দেখিয়ে টাকা আদায় করেছেন তারা। পরে দেখা গেছে, ভিসা সঠিক নয়। এরপর অফিসে গেলে তা খোলা পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা তাদের মোবাইলও বন্ধ করে দেন। হতাশায় জর্জরিত ভুক্তভোগীরা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যশোর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
৮ দিন আগে
হবিগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জে ফারজানা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত ফারজানার স্বামী নুর আলী এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে চুনারুঘাট উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ফারজানা চুনারুঘাট উপজেলার উত্তর গোড়ামী গ্রামের আছকির মিয়ার মেয়ে। প্রায় ৪ বছর আগে একই উপজেলার লাদিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র নুর আলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
ফারজানার মা আছমা বেগম জানান, তার মেয়ে স্বামীসহ শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজসংলগ্ন শিমুলতলা গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ফারজানা ও নুর আলীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। নুর আলী ফারজানাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার পর নুরও একই অস্ত্র দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
৯ দিন আগে
৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় তেলবাহী মালগাড়ি ৯৫২-এর একটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার চার ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াগনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে কুলাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত তেলবাহী ওয়াগন ট্রেনটি উদ্ধার করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুটি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদ্দুস।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে শনিবার ভোরে সিলেটে পৌঁছে তেল আনলোড করা বিশেষ ট্যাংক ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে ফিরছিল। রাত সাড়ে ৯টায় মল্লিকপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি ওয়াগনের চাকা লাইনের বাইরে চলে যায়।
১৬ দিন আগে
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ইটাখোলা স্টেশনের কাছে সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে করে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে নোয়াপাড়া স্টেশনের মাস্টার মো. মনির হোসেন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি নোয়াপড়া স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। পরবর্তীতে ইটাখোলা স্টেশনের অদূরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে অন্য কোনো ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়নি।
আখাউড়া থেকে রিলিফ ইঞ্জিন এনে বেলা দেড়টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয় বলে জানান তিনি।
১৯ দিন আগে
সিলেট নগরীর অতি ঝুঁকিপূর্ণ ২৩ ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত
সিলেট নগরীর চিহ্নিত ২৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো আগামী সপ্তাহ থেকেই ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত `ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন-নবী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবনে এখনো অনেক মানুষ বসবাস ও ব্যবসা করছেন, যা বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে। নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থেই দ্রুত ভবনগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নগরের সংকীর্ণ রাস্তাগুলো দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজ ব্যাহত করতে পারে। এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে।
অন্যদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণ কাজে নেতৃত্ব দেওয়া শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, আমাদের দল নগরের ৬ হাজার ভবন জরিপ করে ২৩টি ভবনকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পেয়েছি।
তবে প্রকৃত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
এই অধ্যাপকের মতে, ‘নগরে এখন প্রায় ৪৪ হাজার ভবন আছে। প্রতিটি ভবন সার্ভে না করলে সঠিক ঝুঁকি নিরূপণ করা সম্ভব নয়।’
জানা যায়, ২০১৯ সালের ভূমিকম্পের পর এসব ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশনা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেটসহ সাতটি শপিং সেন্টার ১০ দিন বন্ধ রেখে কেবল রঙের কাজ শেষে পুনরায় চালু করা হয়। ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও তালিকাভূক্ত বহু ভবন এখনও অতি ঝুঁকির তালিকায় রয়ে গেছে।
সিসিকের তালিকাভুক্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো হচ্ছে:
১. কালেক্টরেট ভবন-৩, ২. সমবায় ব্যাংক ভবন মার্কেট, ৩. মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয়, ৪. সুরমা মার্কেট, ৫. সিটি সুপার মার্কেট, ৬. মিতালী ম্যানশন, ৭. আজমীর হোটেল, ৮. মধুবন মার্কেট, ৯. মান্নান ভিউ, ১০. শুভেচ্ছা-২২৬, ১১. চৌকিদেখী ৫১/৩ সরকারি ভবন, ১২. নবপুষ্প-২৬/এ, ১৩. রাজা ম্যানশন, ১৪. কিবরিয়া লজ, ১৫. মিতালী-৭৪,১৬. মেঘনা-এ-৩৯/২, ১৭. পাঠানটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৮. ওয়ারিছ মঞ্জিল, ১৯. হোসেইন মঞ্জিল, ২০. শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, ২১. নূরানি-১৪, ২২. পৌর বিপণি ও শপিং সেন্টার, ২৩. লেচুবাগান এলাকার প্রভাতী ও শ্রীধরা হাউস।
সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে গঠিত কমিটি কাজ করছে। যেসব ভবনে পূর্বে সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ দিন আগে