রংপুর
খানসামায় অটোভ্যানের ধাক্কায় শিশু নিহত
দিনাজপুরের খানসামায় স্কুলে যাওয়ার পথে অটোভ্যানের ধাক্কায় ৫ বছর বয়সি এক শিশু নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মিলন (৫) গোয়ালডিহী গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকালে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিল মিলন। পথে অটোভ্যানের ধাক্কায় আঘাত পেয়ে সে নিহত হয়েছে।
খানসামা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুল জানান, খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে নিহত শিশুটির বাড়িতে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
সাড়ে চার বছর পর ফিরল রমনা লোকাল ট্রেন
সাড়ে চার বছর বন্ধ থাকার পর চিলমারীর রমনাবাজার রেল স্টেশনে ফিরল রমনা লোকাল ট্রেন। উপজেলার বালাবাড়ি ও রমনা স্টেশনে থামবে পার্বতীপুর-চিলমারী রুটে চলা এই ট্রেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাবেক সভাপতি ও শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান বলেন, আগে রমনা রেলপথে ৪টি লোকাল ট্রেন চলত। দীর্ঘ সময় পর একটি ট্রেন চলাচল শুরু হলো। পর্যায়ক্রমে বাকি ৩টি ট্রেনও চালু হবে বলে আশা করছি।
চিলমারীতে ১৯৬৭ সালের দিকে ট্রেন চালু হয়। ১৯৭৭ সালের দিকে রমনা স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়ে ৪টি ট্রেন চলাচল করে আসলেও হঠাৎ করে দুটি বন্ধ হয় এবং দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল থাকে।
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুতির সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
পরবর্তীতে করোনাকালে ২০২০ সালের ২৩ মার্চ চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি।
বিভিন্ন সংকট দেখিয়ে অজ্ঞাত কারণে ট্রেনটি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
পরে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটিসহ স্থানীয়দের দাবির মুখে ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে কর্তৃপক্ষ কমিউটার ট্রেন চালু করে। কিন্তু পূর্বের লোকাল ট্রেনটির চালুর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আবারও দাবি তোলেন রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি ও স্থানীয়রা।
অবশেষে প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর লোকাল ট্রেনটি চালু হলো। দীর্ঘ সময় পর লোকাল ট্রেনটি ফিরে আশায় স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে জনসাধারণের মাঝে।
রমনা স্টেশন এলাকার আব্দুর রহিম ও মুকুল বলেন, এই স্টেশনে আবার লোকাল ট্রেনের হুইসেল বাজল। রেলপথে যাতায়াতসহ পণ্য আনা নেওয়া থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। এখন আর বঞ্চিত থাকবে না উত্তরের মানুষ।
ব্যবসায়ীরা বলেন, চিলমারী বন্দরের কাজ শুরু হলে রেলপথের গুরুত্ব অনেক গুণ বেড়ে যাবে। এজন্য তারা রেলপথের মেরামতসহ দ্রুত বাকি লোকাল ট্রেনসহ আন্তঃনগর ট্রেন চিলমারী পর্যন্ত চালুর দাবি জানান।
লোকাল ট্রেন চালু ও রমনা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট মো. আব্দুস সালাম বলেন, দ্রুত রেল লাইন সংস্কার করে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক সময় এবং আয়ের দিক লক্ষ্য করে আরও ট্রেন চালু করা হবে।
আগের মতো সব ট্রেন চালু হলে চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণসহ শিক্ষার্থীরা উপকার পাবে।
আরও পড়ুন: টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম: গাজীপুরে ছয় ঘণ্টা ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ
১ দিন আগে
দিনাজপুরে রাস্তার পাশ থেকে ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে আল আমিন নামে এক ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাট রামপুরের আদিবাসীপাড়ায় যাওয়ার রাস্তার পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় কবিরাজের লাশ উদ্ধার
আল আমিন (৪৫) বোচাগঞ্জের হাটরামপুর গ্রামের পাবনাপাড়ার মৃত আবু তাহেরের ছেলে।
ফেরি করে তৈজসপত্র বিক্রি করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, রাস্তার পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ।
বোচাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
১ দিন আগে
শেরপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটিচাপা অবস্থায় কবিরাজের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বস্তায় মাটিচাপা অবস্থায় এরশাদ মিয়া নামে এক কবিরাজের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এরশাদ মিয়া (৪০) লছমনপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের হাক্কু শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর এরশাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১৯ অক্টোবর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
সোমবার সকালে চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের স্থানীয়রা ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এরশাদের পরিবারকে জানালে তারা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
শেরপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে ওসি বলেন, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেটি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ দিন আগে
২০ শর্তের সংসার, স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
গাইবান্ধায় বিয়ে করা স্ত্রীকে ২০ দফা লিখিত শর্ত দিয়েছেন স্বামী ফিরোজ মিয়া। এসব ২০ শর্ত মানলে স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করবেন বলে জানান তিনি।
আজব এই ঘটনা মানতে রাজি নয় স্ত্রী ও তার বাপের বাড়ির লোকজন।
তাই শর্ত না মেনে স্বামীর সংসার করার দাবি আদায় করতে গাইবান্ধার আদালতের আসেন সন্তানসহ স্ত্রী জেমি আকতার।
জানা যায়, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদিন। তার মেয়ে জেমি আকতারের সঙ্গে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল বিয়ে হয় পাশের গ্রামের ফিরোজ মিয়ার।
বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি ফুটফুটে সন্তানের জন্ম হয়। পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। জেমিকে তার ননদ ও শাশুড়িরা সন্দেহ করতে থাকে। সন্দেহের প্রভাব পড়ে ফিরোজের ওপর।
তারপর শুরু হয় মানসিক দ্বন্দ্ব। কথায় কথায় স্ত্রীকে মারধর করা, তারপর তাকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা ও ফোন কেড়ে নেওয়া হয় তার হাত থেকে। এভাবে তার ওপর চলে মানসিক নির্যাতন।
এসবের প্রতিবাদ করলে জেমি আকতারের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এসব ঘটনার কথা জেমি তার বাবা ও মায়ের কাছে জানালে তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে। সালিশও বসে কয়েকবার।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অর্থায়নকে ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত: পরিবেশ উপদেষ্টার
কিন্তু সমাধানের কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত স্বামী ফিরোজ স্ত্রীর ওপর ২০টি শর্ত জুড়ে দেন।
শর্তে বলা হয়- স্বামীর দুলাভাইকে অভিভাবক হিসেবে মানতে হবে, মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না, শ্বশুর-শাশুড়ির অনুমতি ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না, সংসারের যাবতীয় কাজ স্ত্রী জেমিকে করতে হবে, রান্না করে শাশুড়িকে টেবিলে খাবার সাজিয়ে দিতে হবে। এরকম ২০টি শর্ত দিতে হবে। এসব শর্ত না মানলে কোনো দুর্ঘটনার জন্য জেমি নিজেই দায়ী থাকবেন বলে জানান তারা।
স্ত্রী জেমি আখতার বলেন, সংসার করতে রাজি কিন্তু শর্ত বাদ দিয়ে। এছাড়া এ বিষয়ে নিজেদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ, না হলে এমন শর্ত একজন নারীর জন্য অসম্মানজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এদিকে স্বামী ফিরোজের শর্তের প্রতিবাদ জানাতে জেমি স্বজনদের নিয়ে গাইবান্ধায় আদালতে মামলা করতে আসেন স্বামীর বিরুদ্ধে।
জেমির বাবা জয়নাল আবেদিন বলেন, এতও শর্ত দিলে কী আর সংসার করা যায়? সংসার তো নিজেদের বিষয়। কিন্তু আমার মেয়েটাকে শর্ত জুড়ে দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা এই অমানবিক ঘটনার জন্য জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে এসেছি গাইবান্ধায়।
স্ত্রী জেমি আকতার বাদী হয়ে গাইবান্ধার নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামীর ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আদালতে।
আইনজীবী নিলুফার ইয়াসমীন শিল্পি বলেন, অমানবিক এই ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়ে একজন নারীর সংসার জীবন চলতে পারে না। তাছাড়া এ ধরনের শর্ত দিয়ে সংসারও হয় না। আমরা চাই নারীর মর্যাদা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জেমি আকতারের প্রতি সদয় হতে হবে। তার দাবির প্রতি সমর্থন ও আইনের প্রতি সমর্থন থাকতে হবে।
গাইবান্ধা জেলা আইনজীবী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, শর্ত দিয়ে সংসার করার ঘোষণা দেওয়া নারীর প্রতি অবমাননা করা। অসম্মানজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে শর্ত দেওয়া স্বামীকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
২ দিন আগে
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে যাওয়ায় তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এক মাস ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জ-খেয়ারচর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন এলাকাবাসী।
ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৯০০ বিঘা ফসলি জমিসহ প্রায় তিনশ' বসতবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে এসব পরিবার সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
এ ছাড়াও ভাঙনের হুমকির কবলে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাতলামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নামাজের চর কমিউনিটি ক্লিনিক, উত্তর নামাজের চর নূরাণী ও হাফিজিয়া মাদরাসা, উত্তর নামাজের চর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ পাকা সড়ক।
অভিযোগ রয়েছে, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা নদী ভাঙন রোধের আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ করেননি।
ফলে নিরুপায় হয়ে রবিবার দুপুরে সাহেবের আলগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সাহেবের আলগা, হবিগঞ্জ, উত্তর নামাজের চরসহ আশপাশের এলাকার সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাহেবের আলগা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ফজলুল হক, শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন, বিউটি খাতুন প্রমুখ।
গেন্দার আলগা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইরিকা খাতুন বলেন, আমদের এই জায়গায় অনেক মানুষ বসবাস করত। নদী ভাঙনে সবাই ভিটেমাটি হারা হয়েছে। এখনও নদী ভাঙছে আমরা কোথায় যাব তা এখনও ঠিক হয়নি। নদী ভাঙনের ফলে আমাদের স্কুল হুমকির মুখে, স্কুল ভেঙে গেলে আমরা কোথায় পড়ব। এজন্য নদী ভাঙন রোধে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এখানে অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিউটি খাতুন বলেন, নদীতে পানি কমে যাচ্ছে, কিন্তু নদের ভাঙন কমছে না। এখানে আবাদি জমি-বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এখানকার মানুষ কষ্ট করে বসবাস করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা ভাঙন রোধে কাজ করার আশ্বাস দিলেও কোনো কাজ শুরু করে না। এলাকাবাসীর পক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ভাঙনরোধে সাময়িক সময়ের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। তবে ভাঙনকবলিত এলাকার নোট দেওয়া আছে বরাদ্দ এলে কাজ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
২ দিন আগে
লালমনিরহাটে চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে গরু ব্যবসায়ী নিহত
লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে শহিদুল ইসলাম নামে এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ গরু ব্যবসায়ী।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের টিকটিকির বাজারসংলগ্ন ফুলবাড়ী-বড়বাড়ী যাওয়ার সড়কে জোড়া কালভার্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গরু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম (৫০) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নেন বালাতাড়ী গ্রামের মৃত কপুর উদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন- ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে মোগল মিয়া (৪৫), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সেলিম মিয়া (২৭), কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আব্দুল মিয়ার রহিজ উদ্দিন (৫৫), শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের জকুরটল এলাকার মোক্তার আলীর ছেলে হাসানুর রহমান (৩০) ও একই ইউনিয়নের আছিয়ার বাজার এলাকার ভটভটির চালক মজনু মিয়া (৩৫)। চালক মজনু মিয়া গুরুতর হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকি আহতরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ও ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান স্বজনরা।
গরু ব্যবসায়ী আজাহার আলী ও বালাতাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন জানান, নিহত শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে গরু কেনা-বেচা করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরু কিনেন। পরে তিনি গরুগুলো ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট, খরিবাড়ী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী হাটে নিয়ে বিক্রি করেন।
রবিবার সকালে কয়েকটি গরু নিয়ে বড়বাড়ী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাঝপথে চলন্ত ভটভটির চাকা খুলে গেলে শহিদুল ইসলাম ভটভটির ছাদ থেকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
চালকসহ আহত পাঁচজন রমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
অনুমতি থাকার পরও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে পারছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগই সফল হচ্ছে না। এজন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বৈষম্য ও অসহযোগিতাকে দায়ী করছেন আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা জানান, শুধুমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ডিম আমদানি করা হচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। ফলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও বন্দরের স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে আমদানি করা যাচ্ছে না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করে। কিন্তু হিলি বন্দরের আমদানিকারকরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এখানকার আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে চান। এই সহযোগিতা কাস্টমসের কাছে চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। আমদানিকারকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: এমপক্স প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই হিলি স্থলবন্দরে
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুরল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ডিম আমদানি করার জন্য অনুমতি পেয়েছি। সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই যে নিদিষ্ট কোনো বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে হবে। আমদানিকারকরা যেই বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করলে খরচ কম হবে সেই বন্দর দিয়ে আমদানি করবে এটাই ব্যবসায়িক নিয়ম। আমাদের জন্য হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করতে পরিবহনসহ বিভিন্ন খরচ কম হওয়ার জন্য আমরা আমদানি করার জন্য হিলি কাস্টমসে যোগাযোগ করি। কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলে এই বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারব না। এই বলে সময় ক্ষেপণ করছে। আমরা বাধ্য হয়ে বেনাপোল দিয়ে আমদানি করছি। তাতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
বন্দরের আরেক আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘যত সব বৈষম্য হিলি কাস্টমসে। আমাদের মনে হয় তারা কাজ সম্পর্কে কম জানেন। সরকার যেখানে আমদানিকারকদের অনুমতি দিয়ে দ্রুত ডিম আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্ট করছে, সেখানে কাস্টমসের অনভিজ্ঞ জনবলের কারণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে। আমদানিতে কোনো পণ্যের ওজন নিদিষ্ট করার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ থাকারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ডিম আমদানি করা গেলে অনেকটাই খরচ কম হবে। ফলে উত্তরাঞ্চলে ডিমের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি কমে আসবে দামও। হিলি কাস্টমসের প্রতিবন্ধকতার কারণে আমদানিকারকরা ডিম আমদানি করতে পারছেন না। কাস্টমসের এই বাধা অতিদ্রুত নিরসন হওয়া দরকার। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার নার্গিস আক্তার জানান, আমাকে এ বিষয়ে বুঝতে হবে। এটা নতুন পণ্য। নতুন কোনো কিছু হলেই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো দরকার হয়। আবার পণ্যটি আসার পর শুল্কায়ণ ও পরীক্ষায়নের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় থাকবে সব মিলে আমাদের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার রয়েছে। ব্যবসায়ীদের এটাই বলা হয়েছে। আমরা বলিনি যে আমদানি করতে পারবেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ডজন ডিম ভারত থেকে দশমিক ৫৮ মার্কিন ডলারে আমদানি করা যাবে। সরকারের সদ্য ঘোষণা অনুযায়ী ডিম আমদানিতে ২৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় প্রতিটি ডিমে শুল্ক হবে ৫৩ পয়সার মতো। তাতে একেকটি ডিম আমদানি করতে সবমিলে খরচ হবে ১০ টাকার মতো।
শনিবার বন্দরের হিলি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম সাইজ ভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার প্রতিটি ডিম ১ টাকা বেশিতে বিক্রি হয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হলে দাম ১১ টাকা হবে বলে জানান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৩ দিন আগে
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা ভাটারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৩৮) ওই এলাকার জামাল উদ্দিন ব্যাপারীর ছেলে। তিনি স্থানীয় মুদি দোকানি ছিলেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম ও প্রতিবেশি জয়নাল আবেদিন জানান, আব্দুর রাজ্জাক সকালে নিজ পুকুরে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মটরের সংযোগ দিতে যান। এ সময় অসাবধনতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
৩ দিন আগে
ব্রহ্মপুত্রে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ, দর্শনার্থীদের ঢল
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নদীর পাড়ে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ধরলায় নৌকা বাইচে ব্যতীক্রমী পুরস্কার
বালাসীঘাটে বালাসী যুব সমাজ এবং ফুলছড়ি নৌকা বাইচের আয়োজন করেন। নৌকা বাইচ দেখতে গাইবান্ধাসহ উত্তরজনপদের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পুরুষ উপভোগ করেন। খেলা দেখে আনন্দে মেতে ওঠেন দর্শকরা।
এই নৌকা বাইচে দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, সাঘাটা, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার দল অংশ নেয়। এছাড়া রংপুরের সোনারতরী, সাঘাটার মায়ের দোয়া, জামালপুরের শেরেবাংলা, ফুলছড়ির বালাসী তুফান, বকসীগঞ্জের গাজী সৈনিক, সরিয়াকান্দির যমুনা এক্সপ্রেসসহ ৭টি বাইচ দল অংশ নেয়। বাইচে রংপুরের সোনারতরী বাইচ দল বিজয়ী হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের বাইচ দল শেরেবাংলা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নৌকা বাইচ, হাজারো মানুষের ভিড়
৪ দিন আগে