আওয়ামী-লীগ
শেখ হাসিনা ঢাকার বড় কসাই, তার কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রেখেছে সরকার: প্রেস সচিব
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোথাও ঝটিকা মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা ঢাকার কসাই; আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ। যারা ঝটিকা মিছিল বা সভা-সমাবেশ করতে চাইবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। যারা মিছিল করবেন বা মিটিং করবেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যকে সে নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে।’
ভারত থেকে হাসিনার দেওয়া বক্তব্য এবং আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ‘ঢাকা অবরোধ’ কর্মসূচি সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনা পাশের দেশে বসে কী করছেন, তা পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। শত শত মানুষকে হত্যা করায় শেখ হাসিনাকে “বুচার অব বেঙ্গল” বলে অভিহিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ—আইসিটিসহ সব জায়গায় নিষিদ্ধ। হাসিনার উসকানিতে যারা মিছিল-মিটিংয়ের মতো কার্যক্রমে অংশ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
প্রেস সেক্রেটারি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিনাকে নানা বিষয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, এমনকি তিনি জুলাই বিদ্রোহে যোগ দেওয়া মানুষদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আগামী ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও তার দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবে।
এ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, রায়টি (হাসিনার বিরুদ্ধে) ঘোষিত হোক। তারপর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি ভারতের সঙ্গে উত্থাপন করবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি দাবি করেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে হাসিনার অপরাধের সুস্পষ্ট নথি রয়েছে এবং সাংবাদিকদের তা পড়ার অনুরোধ জানান।
গত ৬ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশরি বলেন, এটি একটি ‘বিচারিক আইনি প্রক্রিয়া’ এবং এ বিষয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে ‘আলোচনা ও পরামর্শ’ প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।’
এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা এই মুহূর্তে ‘সংগত নয়’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এক সাংবাদিক জানতে চান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও জাতিসংঘের উদ্দেশে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করে যে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে, সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জবাবে প্রেস সেক্রেটারি আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনি ইউএনডিপিকে প্রশ্ন করবেন। আপনি ইউএনডিপিকে জিজ্ঞেস করবেন।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ এবং সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
২৯ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আ.লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োসহ আরও ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজবাড়ী উপজেলা শহরের বড়পুল এলাকা থেকে বুড়োকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল ইসলাম বুড়ো পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সাইফুল ইসলাম বুড়ো আত্মগোপনে ছিলেন।
শরীফ আল রাজীব জানান, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাংশা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সাইফুল ইসলাম ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ শহরের বড়পুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ: মেজর সাদেকের স্ত্রী গ্রেপ্তার
জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একাধিকবার নির্বাচিত প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুল হাকিমের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।
শরীফ আল রাজীব বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে সাইফুল ইসলামকে রাজবাড়ী সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পাশাপাশি সব থানার পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন— গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন (৩৮), গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসমাউল রেজা সজিব (৩৫), বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান (৫০), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা (৫৭), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাজেদ মণ্ডল (৫০), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম (৩৫)।
তাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১১৩ দিন আগে
ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে টিউলিপের চিঠি
যুক্তরাজ্যের সাবেক নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। টিউলিপ অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগের ফলে যুক্তরাজ্য সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এখন তিনি একটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চান।
টিউলিপ সিদ্দিকের খালা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত সপ্তাহে তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার শাসনামলে টিউলিপ সুবিধা ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ।
চার দিনের সরকারি সফরের অংশ হিসেবে সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূসের ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দাবিসহ গণমাধ্যমে একাধিক অভিযোগ প্রচারিত হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক বা তার মা ‘ক্ষমতা ও প্রভাবের অপব্যবহার’ করে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমির প্লট পেয়েছেন।
সিদ্দিক তার আইনজীবীদের মাধ্যমে অভিযোগকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছেন। কোনো অভিযোগের জন্য কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্ত্রী পর্যায়ের মান বিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস তাকে যেকোনো অন্যায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কিয়ার স্টারমারের নতুন সরকারের ‘ক্ষোভ’ সৃষ্টির কারণে ট্রেজারি ও নগর মন্ত্রীর অর্থনৈতিক সচিব পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী নেতা মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে সিদ্দিক আগামী সপ্তাহে লন্ডন সফরের সময় চলমান বিতর্ক নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ চেয়েছেন। সফরকারে রাজা চার্লস ও ডাউনিং স্ট্রিটে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে দেখা করবেন ইউনূস।
চিঠিতে সিদ্দিক লিখেছেন, তিনি আশা করেন যে একটি বৈঠক ‘ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির মাধ্যমে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। যেখানে আমার খালা ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়গুলোর উত্তর দেওয়ার আছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক, লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছি এবং গত এক দশক ধরে পার্লামেন্টে হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। যুক্তরাজ্য আমার প্রাণপ্রিয়, কিন্তু এটি সেই দেশ নয়-যেখানে আমি জন্মগ্রহণ করেছি, বাস করেছি বা আমার ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছি।’
‘আমি দুদকের কাছে এটি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং স্পষ্টতই ঢাকার একটি বিভিন্ন ঠিকানায় চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।’
সিদ্দিক আরও বলেন, ‘এই ফ্যান্টাসি তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ মিডিয়াকে জানানো হয়েছে, তবুও আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।’
‘আমি জানি আপনি বুঝতে পারবেন যে, এই প্রতিবেদনগুলো আমার নির্বাচনী এলাকা এবং আমার দেশের জন্য আমার সেরাটা দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিচ্যুত না করে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের একাধিক দাবির ভিত্তিতে শেখ হাসিনা এবং তার বৃহত্তর পরিবারের অবকাঠামোগত ব্যয় থেকে কোটি কোটি পাউন্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।
সিদ্দিক দাবি করেছেন, তার খালার বিরোধীরা ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ তাকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
গত মাসে জানা গেছে, সিদ্দিকের গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশে একটি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেছেন, এমন কোনো পরোয়ানা বা আদালতের শুনানির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। যেখানে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুটি প্রত্যর্পণ দেশ হওয়ায় যুক্তরাজ্য গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মন্ত্রী এবং বিচারকদের বাংলাদেশের কাছ থেকে স্পষ্ট প্রমাণ দেখতে বাধ্য।
যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগের মধ্যে সিদ্দিক গত বছর নিজেকে মন্ত্রী পর্যায়ের মানদণ্ড বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে রেফার করার পর, জানুয়ারিতে তাকে যকোনো অন্যায় কাজের জন্য খালাস দেওয়া হয়।
ম্যাগনাস এমন কোনো প্রমাণ পাননি যা ইঙ্গিত করে যে, সিদ্দিকের কোনো সম্পদ বৈধ উপায় ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে অর্জিত হয়েছে, তবে তিনি আরও যোগ করেছেন যে, তিনি তার বাংলাদেশের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত সুনাম ঝুঁকির বিষয়ে আরও বেশি বেঁচে থাকতে পারতেন।
তদন্তে ২০১৩ সালে মস্কোতে তার খালা এবং ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি সইয়ের সময় তার উপস্থিতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। যে কারণে সিদ্দিকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। স্ট্যান্ডার্ড অ্যাডভাইজার তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছিলেন যে, তিনি মস্কোতে সামাজিকভাবে এবং পর্যটক হিসেবে ছিলেন।
গত মাসে জাতীয় অপরাধ সংস্থা সিদ্দিকের খালার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির লন্ডনের প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দ করেছে।
১৭৯ দিন আগে
নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের যুব সমাবেশ বুধবার
বিএনপির তিনটি অঙ্গসংগঠন—যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বড় ধরনের যুব সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের সমাবেশে তরুণদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। খুলনা ও বগুড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। ঢাকায় আমরা আশা করছি অন্তত ১৫ লাখ তরুণ অংশ নেবেন, যা পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’
তিনি জানান, ‘ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে তরুণরা সমাবেশে যোগ দেবেন।’
জিলানী বলেন, ‘তরুণরা ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এই সমাবেশে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি তুলবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনে তরুণদের অংশগ্রহণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’আরও পড়ুন: নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে আশ্বাস পায়নি বিএনপি
১০টি বিভাগ থেকে তরুণদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৮ এপ্রিল চারটি সেমিনার ও চারটি যুব সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন। এই কর্মসূচির শুরু হয় ৯ মে চট্টগ্রামে। এরপর খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ হয়। শেষ সমাবেশটি হবে ২৮ মে (বুধবার) ঢাকায়।
ঢাকার সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে দলের রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুনা লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, ‘এই দুই দিনের কর্মসূচি তরুণ প্রজন্মকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘তরুণদের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহের তরুণ প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বুধবার হবে ‘তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ সমাবেশ।
১৯২ দিন আগে
আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত
আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পর রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসেন জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ। ব্রিফিংয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইলেকশন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করা হলো। সে অনুযায়ী আজকে আমরা গেজেট নোটিফিকেশনে জারি করেছি, আপনারা গেজেটের কপিটা বিজি প্রেস থেকে পেয়ে যাবেন।’
কোন গ্রাউন্ডে এই নিবন্ধন স্থগিত করা হলো—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে প্রজ্ঞাপন, তার ধারাবাহিকতায় আমরা এটি করেছি।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি
পরে রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯–এর ধারা-১৮(১)–এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, সেহেতু বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করল।
এর ফলে ছয় মেয়াদে দুই যুগের বেশি সময় সরকারে থাকা দেশের অন্যতম প্রাচীন এ দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল।
এর আগে, রবিবার (১১ মে) জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এ অঙ্গসংগঠনগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এরপর সোমবার বিকালে আসে নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন। সেখানে বলা হয়, ‘ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন কর্তৃক যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।’
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের নিয়ম চালু করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নম্বর ছিল ৬, প্রতীক নৌকা।
গত ১৭ বছরে সব মিলিয়ে ৫৫টি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হলেও বিভিন্ন কারণে জামায়াতে ইসলামীসহ পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল থাকল ৪৯টি।
২০৬ দিন আগে
সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ধানমণ্ডির স্টার কাবাব রেস্তোরাঁ এলাকা থেকে সোমবার (১২ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়োন্দা পুলিশ সদস্যরা (ডিবি) তাকে গ্রেপ্তার করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি তালেবুর রহমান। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মমতাজ বেগম বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা লোকসংগীতশিল্পী। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে সরব হন তিনি। ওই বছর দলটির মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসন-২১ থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা দুই মেয়াদে তিনি মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন মমতাজ। তবে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে নির্বাচনে হেরে যান তিনি।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
২০৬ দিন আগে
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
২০৮ দিন আগে
খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
খুলনার জিরোপয়েন্টে ঝটিকা মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, খুলনা জেলা শাখা’র ব্যানারে তারা এই মিছিল করেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খুলনায় এটাই আওয়ামী লীগের প্রথম কোনো কর্মসূচি। আজ সকালের ওই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওই ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায়, একদল লোক ব্যানার নিয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। ব্যানারে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি আছে। এ সময় ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘শেখ হাসিনা ফিরবে আবার বীরের বেশে’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তবে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘আমাদের নির্দেশনা ছিল মিছিলে পরিচিত কোনো মুখ থাকবে না। এ কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অপরিচিত নেতা–কর্মীদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে।’
জিরো পয়েন্ট এলাকাটি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) হরিণটানা থানার মধ্যে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমেই ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। সকালের দিকে হওয়ায় সে সময় রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা ছিল। পুলিশ মিছিলকারীদের আটক করতে তৎপর আছে।
২২৮ দিন আগে
৬ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি নদভী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার পৃথক তিনটি মামলায় চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে নদভীকে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের আরেক মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার দেখান আদালত।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নদভীকে আদালতে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রসিকিউশন শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) এ. এ. এম হুমায়ুন কবীর বলেন, চান্দগাঁও থানার দুটি হত্যা মামলায় নদভীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটিতে ৭ দিন এবং আরেকটিতে ৫ দিন রিমান্ড আবেদন করা হয়। এ ছাড়া ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক মামলায় দুদিন করে মোট ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আবু রেজা নদভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রিমান্ড মঞ্জুরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম জেলা ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীকে।
৩১২ দিন আগে
জিরো পয়েন্টে আ. লীগের সমাবেশ: নেতাকর্মীদের ৮ দফা নির্দেশনা
রবিবার ঢাকার গুলিস্তানে অনুষ্ঠেয় শহীদ নূর হোসেন দিবসের কর্মসূচিকে সামনে রেখে দলীয় কর্মীদের জন্য আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
গণআন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দলটি রবিবার সকালে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব নির্দেশনা শেয়ার করে।
কর্মীদের কর্মসূচিটি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে এবং কোনো ধরনের নাশকতার ফাঁদে পা না দিতে আহ্বান জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি, আমরা কোনো রকম নাশকতার ফাঁদে পা দেব না। কাউকে পুলিশ বা র্যাব বা সেনাবাহিনী আটক করতে গেলেই সমস্বরে জয় বাংলা স্লোগান দেবেন, আশেপাশের সবাই তাকে উদ্ধারের জন্য চলে যাবেন।’
আরও পড়ুন: জিরো পেয়েন্টে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ: ফ্যাসিবাদ বিরোধী স্লোগানে মুখর
মোবাইল ব্যবহার প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোনো অবস্থাতেই নিজের মোবাইলে কোনো তথ্য রাখবেন না। পরিচিত সহযোদ্ধাদের নাম ভিন্ন নামে মোবাইলে সেইভ করে রাখবেন। সবাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন এবং কোড ওয়ার্ডে কথা বলবেন।’
জিরো পয়েন্টে আসার বিষয়ে বলা হয়, ‘যেখানে জমায়েত হওয়ার কথা ছোট ছোট গ্রুপে মুভ করবেন। বাধা এলে পুলিশকে স্মরণ করিয়ে দেবেন তারা কাদের পক্ষ নিচ্ছে! যারা তাদের রাস্তায় ঝুলিয়ে মেরেছে?’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘সেনাবাহিনীর সাথে কোনো তর্ক-বিতর্কে যাবেন না, তারা মিছিল মিটিং এ বাধা দেবে না।’
৩৮৯ দিন আগে