কৃষি
কৃষকদের কথা চিন্তা করে পেঁয়াজ আমদানি করতে দেয়নি সরকার: উপদেষ্টা
কৃষকদের যেন ক্ষতি না হয়, সে কথা চিন্তা করে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ওরকম কোনো সংকট নেই। আপনারা দেখছেন বাজারে পেঁয়াজের দাম ১২০/১৩০ টাকা হয়ে গিয়েছিল, এটা এখন কমে কিন্তু ৯৫-১০০ টাকার ভেতরে চলে এসেছে।
তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের ওপর অনেক চাপ দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেতে তারা বিভিন্ন কোর্টেও গেছেন। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের কথা চিন্তা করে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করতে দেইনি।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুড়ি কাটা পেঁয়াজও বাজারে আসা শুরু হয়ে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা এবার আলুতে মার খেয়েছেন। তারা এবার তেমন দাম পাননি। এখন কিছুটা দাম বেড়েছে, তাও আমি বলব যে কৃষকের জন্য আরও একটু বাড়া দরকার।
আলু নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কোল্ড স্টোরগুলো ১৫ নভেম্বরের ভেতরে সাধারণত খালি করে ফেলে। এবার আমরা বলেছি, ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের (কৃষক) আলু রাখতে দিতে হবে।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় নিয়োগ চলছে জানিয়ে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, এর ভেতরে কোনো ধরনের দুর্নীতির গন্ধ যদি পান, আমাদের জানাবেন। দুর্নীতির ক্ষেত্রে আপনার সত্যি কথাটি বলবেন।
৯ দিন আগে
নড়াইলের ‘রাসায়নিকমুক্ত’ চ্যাপা শুঁটকির চাহিদা বাড়ছে
নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের শলুয়া এবং সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের শোলপুর গ্রামে শীত মৌসুমের শুরুতেই প্রস্তুত হচ্ছে দেশীয় পুঁটি মাছের শুঁটকি। কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়া ও নিরাপদ পরিবেশে এই শুটকি তৈরি হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।
সরেজমিন শলুয়ার বিলে গিয়ে দেখা যায়, বিলের মাঝে খোলা জায়গায় বাঁশ-খুটির মাচা তৈরি করে মাচার উপর চলছে শুঁটকি তৈরির কাজ। জেলার বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল ও নদী থেকে প্রতিদিন দেশি মাছ সংগ্রহ করে শুকানোর কাজ চলছে। ভালো করে শুকানোর পর মাছগুলো সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর এলাকা থেকে মাছ শুকানোর কাজ করতে আসা মো. কবির শেখ ও কামরুল শেখ জানান, এখানে কই, চাঁদাসহ পুঁটিমাছের শুঁটকি তৈরি হয়। সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় পুঁটি মাছের শুঁটকি, যা চ্যাপা শুটকি নামে পরিচিত। মাছ শুকানোর কাজে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না, শুধুমাত্র লবণ দিয়ে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয় বলে জানান তারা।
মৎস্যজীবী মো. মুসা মিয়া বলেন, শীত মৌসুমে খাল ও বিল থেকে পানি কমে যাওয়ায় জেলেদের জালে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। সেই মাছ কম দামে কিনে আমরা শুঁটকি তৈরি করি। কিন্তু দালাল ছাড়া বর্তমানে এ শুটকি বিক্রি করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। দালাল ছাড়া যদি সরাসরি পার্টির কাছে বিক্রি করা যেত তাহলে এ ব্যবসায় আমাদের ভালো লাভ হতো।
অলোক বিশ্বাস নামে আরেক মৎস্যজীবী বলেন, দুই তিন মণ কাঁচা মাছ শুকালে এক মণ শুঁটকি পাওয়া যায়। প্রকারভেদে এক মণ শুঁটকি সাত থেকে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
নড়াইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, নড়াইলে এ বছর ৮০ টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখানকার শুঁটকি রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় জেলার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জেলায় ও এর চাহিদা রয়েছে। নড়াইল জেলা মৎস্য অফিস এসব ব্যবসায়ীদের মানসম্মত শুঁটকি প্রস্তত করতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
১১ দিন আগে
৩০০-এর অধিক হলে ‘বিপজ্জনক’, লাহোরের স্কোর আজ ৪৬২
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, কোনো শহরের একিউআই স্কোর ৩০০-এর উপরে হলে শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গন্য করা হয়। এই মানের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। সেখানে আজ পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের একিউআই স্কোর বেড়ে ৪৬২-এ দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৪৬২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছিল লাহোর।
আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, লাহোরের বাতাসের মান সাধারণত শীতকাল, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায়। এ সময় পাঞ্জাব প্রদেশের কৃষকেরা ফসল কাটার পর জমিতে বাকি থাকা খড়কুটো পুড়িয়ে ফেলেন, যার ধোঁয়া সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে দূষিত কণাগুলো বাতাসে আরও দীর্ঘ সময় আটকে থাকে।
এদিকে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৬২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়। তাই বর্ষার প্রভাব কমতেই বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ শহর হয়েছে ভারতের দিল্লি। ২৪৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তার ঠিক নিচে অর্থাৎ তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। শহরটির স্কোর ২০৬।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে গণ্য হয়। ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
৩৭ দিন আগে
দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দুই মাসের মধ্যে তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতে দেশে তুলা উৎপাদন বেড়ে যাবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বাংলাদেশে তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় দেশি তুলার ওপর আরোপিত ট্যাক্স জরুরিভিত্তিতে প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যেসব জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে, তার কিছু অংশে তুলা চাষের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। তামাক চাষে জমির কিছু অংশে তুলা চাষ করলে কৃষকও লাভবান হবেন, আবার দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে।’
আরও পড়ুন: মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
দেশের জন্য ভালো হবে এমন কোনো পদক্ষেপ যদি কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষেও যায়, তাও সিদ্ধান্ত নিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার পিছপা হবে না বলে দাবি করেন তৌহিদ হোসেন। এক্ষেত্রে নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, তুলা রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কারোপ করলেও বাংলাদেশ এর বাইরে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
আমদানি ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ায় যেখানে দেশি তুলাকে প্রণোদনা দেওয়া উচিত, সেখানে ট্যাক্স-ভ্যাট বসানো হয়েছে বলে অভিমত দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময়ে দেশি তুলার ওপর আরোপিত এই ট্যাক্স কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে জানান এনবিআরের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন (কাস্টম বন্ড)। দ্রুতই দেশি তুলার ওপরে আরোপিত ট্যাক্স-ভ্যাট প্রত্যাহারের সুখবর আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ কটন জিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাবের বলেন, ‘বাংলাদেশে তামাক কৃষি পণ্য, কিন্তু তুলাকে এখনো কৃষি পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে তুলা চাষী ও জিনার্সরা কৃষি ঋণ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।’
তিনি জানান, ‘ঋণ নিতে তুলাচাষীদের দিতে হয় বাড়তি সুদ। সরকারের নীতি সহায়তা পাওয়া গেলে অন্তত দুই লাখ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা যাবে। এতে যে পরিমাণ তুলা আমদনি করা হয়, তার চার ভাগের এক ভাগ দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।’
তুলা আমদানিতে চীনকে হটিয়ে বাংলাদেশ এখন শীর্ষ দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চামড়ার মৌসুমে ট্যানার্সদের যেভাবে স্বল্প সুদের ঋণ দেওয়া হয়, তুলাতেও সেই ব্যবস্থা চালু করা হলে কৃষকরা তুলা উৎপাদন করে দাম পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।’
২৬৩ দিন আগে
মাংস-ডিম আমদানিতে নিরুৎসাহিত করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মাংস ও ডিম আমদানি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিরুৎসাহিত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
কোনো অবস্থাতেই মাংস ও ডিম আমদানি না করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এভাবে আমদানি করলে দেশিয় খামার ধ্বংস হয়ে যাবে।’
সোমবার( ১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এমনকি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গরুর মাংসের দাম সস্তা করার কথা বলে আমদানির জন্য অনুরোধ করে থাকেন।’
এ ধরণের আমদানির ফলে সংক্রামক রোগ জুনোটিক ডিজিজ দেশে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে বলে সতর্ক করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মাংস ও ডিম আমদানি করতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে দ্রুতই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হবে।
খামারিদের সুবিধার জন্য কৃষি ব্যাংকের আদলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক প্রতিষ্ঠারও আগ্রহের কথা জানান তিনি।
তার ভাষ্যে, এ ব্যাংক গঠিত হলে খামারিরা ঋণের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে, একদিকে তাদের আমদানি নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ খাতেও বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন।
আরও পড়ুন: হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
এসময় তিনি গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) প্রতিরোধ এবং পিপিআর রোগ নির্মূলে টিকা দেওয়ার পরিধি বৃদ্ধির জন্যও কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। এছাড়াও ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করবে।’
২৯৮ দিন আগে
হাওর রক্ষায় কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে হাওর অঞ্চলে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই বলে মত দেন তিনি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সাথে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ ধরণের শিকার নির্মম, অমানবিক, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতি।’
আরও পড়ুন: দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
মৎস্য উপদেষ্টা জানান, বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে। বিদেশি সহায়তা নির্ভর না হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগও গ্রহণ করা হবেও আশ্বাস দেন।
‘সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে। কালচারাল (নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ উৎপাদন) মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করে যাবে।’
এর আগে শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপন করেন তিনি।
২৯৯ দিন আগে
দেশ থেকে সার সংকট জাদুঘরে পাঠানো হবে: কৃষি সচিব
কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশ থেকে সারের সংকট চিরতরে জাদুঘরে পাঠানো হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারের মজুদাগার নির্মাণ করা ছাড়াও সম্ভাব্য বিকল্প স্থানে মজুদাগার তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য বন্ধ ঘোষণা করা বা পরিত্যাক্ত পাট কারখানাগুলোতে সারের মজুদাগার করা হবে। এর মাধ্যমে বৈশ্বিক বাজার থেকে স্বল্প দামে অফ সিজনে সার কিনে আনা সম্ভব হবে। এতে বছরে দেড় থেকে ২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দু’দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জিন বিজ্ঞানি ড. আবেদ চৌধুরি ও বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন বিএজেএফ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু খালিদ। সঞ্চালনায় ছিলেন পিআইবির প্রশিক্ষক শাহ আলম সৈকত।
কৃষি সচিব জানান, বিজেএমসির অধীন বন্ধ থাকা পাটকলগুলোকে ন্যায্য দামে লিজ নিয়ে সারের গুদাম তৈরির প্রাথমিক আলোচনা কার্যক্রম চলমান। খুব দ্রুতই এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।
কৃষি সচিব বলেন, সারের মজুদ সক্ষমতা বাড়াতে মজুদাগার নির্মাণের প্রকল্প চলমান রয়েছে। তবে সামনের দিনে কৃষি খাতে প্রকল্প খাতে এক টাকাও বাড়াতে চাই না। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করা এবং প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে ভারসাম্য আনা হবে। এখন দেশে সার নাই এই কথা কেউ বলতে পারবে না। দামের কিছুটা তারতম্য হচ্ছে, সেটিও ঠিক করা হবে। কৃষককের স্বার্থ সর্বোচ্চ সুরক্ষা করা হবে।
অপ্রয়োজনীয় ধানের জাত উদ্ভাবন থামানো হচ্ছে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, বীজ উদ্ভাবনের চেয়ে মাঠে যেসব জনপ্রিয় বীজ রয়েছে সেগুলোর উৎপাদন বাড়াতে হবে। যেসব বীজ কৃষককে লাভ দিচ্ছে সেগুলো কৃষকের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব জাত মাঠে কাজ করে না সেগুলো তুলে নেওয়া হবে। শুধু শুধু জাতের সংখ্যা বাড়িয়ে কোন লাভ নেই।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুইদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক ঘণ্টার আলোচনা ও প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন তিনি। এদিন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএজেএফ সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ।
রাজধানীর পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে খাদ্য ও কৃষি সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও সরকারের নীতি কৌশল, কৃষি সাংবাদিকতায় তথ্যের চ্যালেঞ্জ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষি, কৃষি সাংবাদিকতায় ডিজিটাল মিডিয়া, কৃষি ও পরিবেশ সাংবাদিকতায় বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত, কৃষি সাংবাদিকতায় ফ্যাক্ট চেকিং, কৃষি, খাদ্য ও জলবায়ু বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ের ওপর দুইদিনের এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
৩১৯ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ, রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের ব্যবস্থাও
ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা এখন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মালঞ্চা অরেঞ্জ ভ্যালিতে পাওয়া যাচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে দার্জিলিং জাতের কমলা উৎপাদন করে দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন এলাকার আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল নামে এক বাগান মালিক। পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন দর্শণার্থীদের জন্য ঘুরাফেরার মনোরম পরিবেশ।
গত ২০ নভেম্বর দর্শণার্থীদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এলাকায়।
মালঞ্চা গ্রামের আড়াই বিঘা জমির ওপর ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা আবু জাহিদ ইবনুল ইকরাম জুয়েল। বাগানটিতে আড়াইশোর মতো কমলাগাছ রয়েছে। তার এ বাগানের গাছে এবার কিছুটা কম কমলা ধরেছে। তবে কমলার আকার অন্যবারের চেয়ে বড়।
অরেঞ্জ ভ্যালিতে গিয়ে দেখা যায়, গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে ছোট-বড় কমলা। কমলার ভারে হেলে পড়েছে গাছের ডালপালা। কমলার পাশাপাশি এবার সেখানে চাষ করা হয়েছে মাল্টাও। দেশের বিভিন্ন স্থানে মাল্টার আবাদ করা হলেও সবখানেই দেখা গেছে সবুজ রংয়ের কিন্তু এখানকার মালটাও কমলা ও সবুজ রঙের। সবুজ রঙের মাল্টাগুলো কিছুটা টক হলেও হলুদ জাতের এই মাল্টাগুলো দারুণ মিষ্টি। নয়নাভিরাম এ কমলা বাগান দেখতে প্রথম দিন থেকেই দেখা মিলছে দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থীর।
মিষ্টি ও রসালো এ কমলা ও মাল্টা বাগানেই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। তবে বাগান মালিক আশা করছেন ফলন কম হলেও দামে এবার তা পুষিয়ে যাবে। বাগান থেকে এবার প্রায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কেজি কমলা বিক্রি হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিক।
বাগান মালিক জুয়েল জানান, আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার কমলা ও মাল্টা বিক্রি করতে পারবেন।
তিনি জানান, গত ১১ বছর আগে ঠাকুরগাঁও জেলা হর্টিকালচার থেকে প্রতিটি চারা ৫ টাকা দরে কিনে রোপণ করেন। যদিও তার এ বাগান করার ইচ্ছা ছিল না। শুধু হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি কমলার চারাগুলো কিনেছিলেন। এখন সেই আড়াইশো গাছ থেকে বার্ষিক প্রায় ৩০ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করছেন তিনি।
উদ্যোক্তা জুয়েল বলেন, ‘আমার বাগানে দার্জিলিং জাতের কমলা ও বারী-৪ জাতের হলুদ রঙের মাল্টা চাষ হয়। এ বাগানের কমলা ও মাল্টা স্বাদে দার্জিলিংয়ের কমলা ও মাল্টার মতো। অর্গানিক পদ্ধতিতে তিনি এ বাগান করেছেন। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। বাগানের কমলা ৪০০ ও মাল্টা ৩০০ গাছ রয়েছে। এবার ১০ হাজার কেজি কমলা ও ৭ হাজার কেজি মাল্টা উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।’
তিনি জানান, ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলাগাছ ৫০ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। এটি অর্থকরী ফসল, যা খুব সহজে ও স্বল্প খরচে উৎপাদন করা যায়।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি এমন বাগান করতে চায়, তাহলে তার পক্ষ থেকে কমলা চাষ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।
বাগানে ঘুরতে আসা দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ এলাকার মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সপরিবারের ঘুরতে এসেছি, সত্যিই ভারতীয় দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে জুয়েল সাহেব একটি অনন্য উদহারণ সৃষ্টি করছেন। যেমন কমলাগুলো দেখতে সুন্দর, তেমনি রসালো, সুস্বাদু ও মিষ্টি।’
কড়া নিরাপত্তাসহ বাগানে প্রবেশের জন্য ৪০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। বাগানের সৌন্দর্য দেখার পাশাপাশি দর্শণার্থীরা যাতে ক্লান্তি দূর করতে পারেন, সেজন্য এবার বাগানে ক্যাফে যুক্ত করা হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্লেজোন। রয়েছে গাছ দিয়ে সাজানো অসংখ্য সেলফি বুথ।
৩৭১ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ-রসুন বীজের সংকট, মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা কৃষকরা
সিরাজগঞ্জে মৌসুমি পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। নানা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন কৃষকরা। তবে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের সংকট ও দাম বাড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। এতে পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরমধ্যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও রসুনের ৯০০ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই কৃষকেরা লাভজনক পেঁয়াজ রসুন চাষাবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এর বীজ সংকট ও মূল্য বাড়তে থাকায় কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি হলেও বাজারে এসব বীজের সংকটও রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি এ চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বীজের দাম বেশি থাকায় এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ১ বিঘা জমিতে রসুন চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এ চাষাবাদে বীজের দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তাদের।
তারা বলছেন, ভরা মৌসুমে এ দুই ফসলের বীজের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আ. জা. মুহাম্মদ আহসান শহিদ সরকার বলেন, ‘এ চাষাবাদে উৎসাহিত করতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বীজ সংকটের বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলে কৃষকরা লাভবান হবে। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
৩৮০ দিন আগে
এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণে গৃহীত স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্টে (এসএটিইপি) যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
প্রকল্পটির আওতায় বাকৃবি ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, শনিবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির আওতায় অনুষ্ঠিত কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালায় ওই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এসময় বাকৃবির সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ৬৩ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকরা নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
উপাচার্য বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষিপ্রধান ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি, সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল হাসেম, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জনাব নাসের আহমেদ।
প্রকল্পটির অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
৩৯৭ দিন আগে