শোক
টাঙ্গাইল জেলা আ. লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক মারা গেছেন
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক (৮০) আর নেই।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ বাস ভবনে শহরের থানা পাড়ায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
ফজলুর রহমান ফারুক ১২ অক্টোবর ১৯৪৪ সালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্মগ্রহণ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। তার স্ত্রী মৃত সুরাইয়া বেগম। তিনি এক ছেলে এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হামলার মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর রহমান খান ফারুক দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পরে শনিবার সকালে তার কোনো সাড়া শব্দ না পেলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানতে জড়ো হন। তবে আওয়ামী লীগের দুযেকজন নেতা-কর্মী ছাড়া তেমন কাউকেই দেখা যায়নি।
ফজলুর রহমান খান ফারুক পাকিস্তান গণপরিষদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে ২০২১ সালে একুশে পদক দেন।
৩ দিন আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
তার মেয়ে রূপা মঞ্জুরী শ্যাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর রাজধানীর সবুজবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সুজেয় শ্যাম ক্যান্সার, উচ্চ ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।
তার মেয়ে জানান, গত সেপ্টেম্বরে তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর পর তার সংক্রমণ শুরু হয়।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এ সময় আইসিইউতে শয্যা খালি না থাকায় তাকে সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সুজেয় শ্যাম। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গানের সুরকার হিসেবে সম্মানিত তিনি।
গানটি ছিল “বিজয় নিশান উড়ছে ঐ”। এটি লিখেছিলেন গীতিকার শহিদুল আমিন এবং কণ্ঠ দিয়েছিলেন অজিত রায়; ১৯৭১ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জন্য তার মোট নয়টি গান গাওয়া হয়েছিল।
তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে "রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি", "রক্ত চাই রক্ত চাই", "আহা ধন্য আমার জন্মভূমি" এবং "আয়রে চাষি মজুর কুলি"।
১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সুজেয় শ্যাম। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি থেকে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
তিনি হাছন রাজা (২০০২), জয়যাত্রা (২০০৪), অবুঝ বউ (২০১০) ও যৈবতী কন্যার মন (২০২১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
৪ দিন আগে
প্রবীণ সাংবাদিক হারুন মারা গেছেন
প্রবীণ সাংবাদিক এন এম হারুন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক নাতনি, দুই ভাই ও এক বোন এবং অনেক আপনজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
এন এম হারুন ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তৎকালীন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি তৎকালীন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সি (এনা) সাপ্তাহিক হলিডে, ঢাকা কুরিয়ার, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, অধুনালুপ্ত দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে তিনি ছিলেন ইস্টার্ন নিউজ এজেন্সিতে। ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের প্রাক্কালে তিনি আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ (মুজিবনর সরকারের প্রধানমন্ত্রী) স্বাক্ষরিত বুলেটিনের সংবাদ প্রচার করে অফিস থেকে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবার সাংবাদিকতা শুরু করেন। সর্বশেষে তিনি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকা থেকে অবসর নেন।
তার স্ত্রী বদরুন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। তার কন্যা নন্দিনী সাবরিনা একজন প্রোকৌশলী। এছাড়া ইংল্যান্ড প্রবাসী সাংবাদিক আবু মুসা হাসান তার ছোট ভাই।
৫ দিন আগে
মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক মন্ত্রী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় বলে জানান হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ২০০৯-২৪ মেয়াদে সংসদ উপনেতা এবং শেরপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
আওয়ামী লীগ শাসনে থাকাকালীন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
৬ দিন আগে
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই
একুশে পদকপ্রাপ্ত টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার কানাডার ক্যালগেরির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শনিবার যোহরের নামাজের পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন: বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য জামাল উদ্দিন।
পরবর্তীতে তিনি টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেন।
সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এই অভিনেতা গত ১৫ বছর ধরে অনিয়মিতভাবে অভিনয় করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
১ সপ্তাহ আগে
বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: জি এম কাদের
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি আরও বলেন, বি চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ এক অকৃত্রিম অভিভাবক হারালো। তার মৃত্যুতে দেশের রাজনীতিতে এক বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো।
শনিবার এক বিবৃতিতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি।
মরহুমের রাজনৈতিক ভক্ত ও অনুরাগীদের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, প্রয়াত বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি আজীবন গণমানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। প্রচণ্ড মেধাবী এই মানুষটি এক অনন্য জীবন পেয়েছেন। চিকিৎসা সেবা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা, রাজনীতি এবং সমাজ কর্মে অসামান্য সাফল্যে পেয়েছেন ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
২ সপ্তাহ আগে
নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী: অধ্যাপক ইউনূস
সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।
এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান- জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
বার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানান প্রধান উপদেষ্টা।
চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সুদীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা দেশের একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিটিভিতে তার 'আমার ডাক্তার' অনুষ্ঠানটি কোটি দর্শকের কাছে জনপ্রিয় ছিল।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাজনীতিতেও একই নিষ্ঠা নিয়ে এসেছিলেন ডা. বদরুদ্দোজা। পাঁচবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নব্বইয়ের দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। সংসদে তার বক্তব্য সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসনীয় ছিল।’
আরও পড়ুন: বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
তিনি আরও বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সেবা করেছেন। তিনি তার উদারতার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ডা. বদরুদ্দোজার জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সবাইকে জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী শুক্রবার উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন বি চৌধুরী।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বি চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, রবিবার মুন্সীগঞ্জের মজিদপুর দায়হাটায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার সকাল ৮টায় উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর বারিধারার ৮ নম্বর রোডের বায়তুল আতিক জামে মসজিদে, রবিবার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং বাদ জোহর তার গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দায়হাটায় চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
২ সপ্তাহ আগে
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টা ১৫ মিনিটে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা ওমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নলিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।)
তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ২ মেয়ে এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বি. চৌধুরীকে উত্তরা ওমেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেদিন বি. চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তার বাবা আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেস ভুগছিলেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বি. চৌধুরী ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত ‘মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়হাটা গ্রামে।
বি. চৌধুরী একজন কৃতি ছাত্র। ১৯৪৭ সালে ঢাকার বিখ্যাত স্কুল সেন্ট গ্রেগরি থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকা কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৫৪-৫৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। সব পরীক্ষাতেই তিনি মেধা তালিকায় ছিলেন।
বি. চৌধুরী যুক্তরাজ্যের তিনটি রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস লন্ডন, এডিনবার্গ ও গ্লাসগো থেকে নির্বাচিত ফেলো-এফ.আর.সি.পি এবং বাংলাদেশের (সম্মানিত) এফ.সি.পি.এস।
তিনি রোগ বিজ্ঞানে দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং রোগ বিজ্ঞান বিষয়ে টিভি অনুষ্ঠানের রেকর্ড অর্জনকারী উপস্থাপক। সফল পার্লামেন্টেরিয়ান বি. চৌধুরী জাতিসংঘে তিন বার বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং বহু গ্রন্থের প্রণেতা।
বি. চৌধুরী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে ১৯৭৮ সালে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
অধ্যাপক এ. কিউ. এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
বি. চৌধুরী ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি দলটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তার সহধর্মিনী হাসিনা ওয়ার্দা চৌধুরী। অধ্যাপক চৌধুরী দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক। তার বড় মেয়ে মুনা চৌধুরী পেশায় একজন ব্যারিস্টার। ছোট মেয়ে শায়লা চৌধুরী পেশায় চিকিৎসক এবং ঢাকার উত্তরা ওমেন মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপনা করেন। একমাত্র ছেলে মাহী. বি. চৌধুরী রাজনীতিবিদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।
২ সপ্তাহ আগে
প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ বদিউল আলম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগে রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিউজ টুডের সাবেক সিটি এডিটর বদিউল আলম।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল
তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাত সাড়ে ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বদিউল আলমকে দাফন করা হবে।
বদিউল আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।
এক বিবৃতিতে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান নেতারা।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
৩ সপ্তাহ আগে
চলে গেলেন বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল
কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মণ্ডল মারা গেছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
বিদ্যমান শারীরিক অসুস্থতার মধ্যে সম্প্রতি তার ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ে। এতে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অঘোর তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করেন। ১৯৯০-এর দশকে তিনি বাংলা দৈনিক পত্রিকা ভোরের কাগজে কাজ করেন, যা সেই সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী সংবাদপত্র।
দীর্ঘ কর্মজীবনে অঘোরকে দেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতা শিল্পের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে কাজ করার পাশাপাশি অঘোর টেলিভিশনেও কাজ করেছেন। তিনি চ্যানেল আই, দীপ্ত টিভিতে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি এটিএন নিউজের বার্তা সম্পাদক ছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের দুটি সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। অন্যান্য ক্রীড়া সাংবাদিকরাও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আঘোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে আরেক প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক ও আঘোরের বন্ধু আরিফুর রহমান বাবু তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটি লিখেছিলেন, 'আমার মনে আছে, অতীত জীবনে কোনো এক বিদায়ী সন্ধ্যায়- আমি এই পাশে দাঁড়িয়েছিলাম, আর তুমি তোমার নৌকা ওপারে ভাসিয়েছিলে।’
আরিফুর হোসেন লেখেন, 'আমার মন দুঃখে ভরে গেছে। অঘোর মণ্ডল চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’
আরও পড়ুন: ডিআরইউর সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন আর নেই, বনানী কবরস্থানে দাফন
৩ সপ্তাহ আগে