শিক্ষা
রাজু ভাস্কর্যের নারীমূর্তিতে হিজাব: ঢাবির তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের নারীর মূর্তিতে হিজাব পরিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আইকনিক রাজু ভাস্কর্যের এক নারীর মূর্তির মাথায় হিজাব পরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনাটি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা এবং এই জাতীয় ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
আরও পড়ুন: একক কৃতিত্ব দাবি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ক্ষুণ্ণ করে: ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদ সোমবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে দুই সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও মো. রবিউল ইসলামকে পাঠান।
সহকারী প্রক্টর মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজু ভাস্কর্যটি পরিদর্শন করে দেখেছি হিজাবটি আগেই অপসারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানি না এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করবে। সিসিটিভি ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এছাড়াও ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ফুটেজগুলো আরও বিশ্লেষণ করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: পাঠ্যপুস্তক পর্যালোচনা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
১ দিন আগে
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ
অধিভুক্তি বাতিল করে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট মোড় অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজে জড়ো হয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবির সমর্থনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বেলা ১১টার দিকে তারা ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির কারণে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আউটসোর্সিং শ্রমিকদের শাহবাগ অবরোধ
বিশেষ করে পরীক্ষা মূল্যায়ন ব্যবস্থায় বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেন তারা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, কোনো পরীক্ষায় অংশ নেবেন না বা ক্লাস করবেন না বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তাহসিন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাবি অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে চাই না। আমরা এই বৈষম্য থেকে মুক্ত একটি স্বাধীন প্লাটফর্ম চাই এবং সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের শ্রেণিকক্ষে জায়গা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই। শিক্ষকরাও সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের নির্দেশনা দেয়, যা আমাদের চাহিদার সঙ্গে মেলে না। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করেন, যা একটি ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে যা আমাদের ফলাফলকে প্রভাবিত করে।’
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটের সৃষ্টি
এছাড়াও ঢাবির রেজিস্টার ভবনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথাও তুলে ধরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি চান এই শিক্ষার্থী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের স্বতন্ত্র পরিচয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি বা কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা অবরোধ তুলে নেব।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী কবি নজরুল ইসলাম সরকারি কলেজের ছাত্র রাহাতুল ইসলাম বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু আমাদের দাবির প্রতি কেউ নজর দেয়নি। এই প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সড়ক অবরোধের কারণে অনেক মানুষ ও পথচারী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, কিন্তু এর জন্য আমরা দায়ী নই। এই জনদুর্ভোগের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা ও ঢাবি উপাচার্য দায়ী।’
অবরোধের কারণে নিউমার্কেট ও নীলক্ষেত এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ
১ দিন আগে
চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ৩
চবিতে আধিপত্য বিস্তার ও দোকান দখল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চবি রেলস্টেশন-সংলগ্ন একটি দোকান দখল করতে আসে হাটহাজারী উপজেলার যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হানাফের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন চবি উপাচার্য
এ সময়ে সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়। মিছিল নিয়ে আগাতে থাকলে আবারও শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলিবর্ষণ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময়ে তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
চবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে তারা ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা হল থেকে বের হয়ে রেল ক্রসিংয়ের দিকে গেলে আবার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ৬টা ১৮ মিনিটে খবর পেয়ে ৬টা ২৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক করার জন্য সবরকম সহযোগিতা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’
আরও পড়ুন: হল ছাড়তে নারাজ চবি শিক্ষার্থীরা, সময় বাড়ালো প্রশাসন
চবি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, আজকের মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ
১ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের বাস আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটক করে রাখে।
হেনস্তার শিকার জবি শিক্ষার্থী ইশা বলেন, ১৪ অক্টোবর নতুনবাজার থেকে সদরঘাট যাওয়ার জন্য আমি ও আমার বোন ভিক্টর ক্লাসিক বাসে উঠি। আমি সম্পূর্ণ ভাড়া দিলেও গুলিস্তান এসে বলে বাস সদরঘাট যাবে না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট আসার ভাড়া চাইলে সহকারী আমাকে হেনস্তা করা শুরু করে এবং জবির শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও, সহকারী বলে ভাড়া ফেরত দেব না। বিভিন্ন হেনস্তামূলক কথা বলে আমাকে।
শুক্রবার বাসে যৌন হয়রানির একটি পোস্ট দেখে আমরা সঙ্গে ঘটে যাওয়ার ঘটনা শেয়ার করি এবং ১৯ অক্টোবর এসে অভিযোগ করেছি।
প্রক্টর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত হয়রানির বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন, যার ভিত্তিতে ভিক্টর ক্লাসিকের বাস মালিকদের সঙ্গে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশন।
এ ঘটনায় ভিক্টর ক্লাসিকের মালিক পক্ষ মোহাম্মদ দুলাল, শাহ আলমসহ অনেকেই আসেন। তাদের ঘটনার বিষয়ে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন এবং প্রক্টর বরাবর তিন দিনের সময় নিয়ে মুচলেকা দেন।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ্জামুল হক বলেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং তাদের তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এর ভেতরের তারা ওই অভিযুক্ত সহকারীকে হাজির না করলে ভেক্টর ক্লাসিকের সব বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। হেল্পারকে প্রশাসনিক ভাবে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
আরও পড়ুন: জবির নতুন উপাচার্য ড. রেজাউল করিম
৩ দিন আগে
২০ আসন ফাঁকা থাকলেও জাবিতে ভর্তি হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। কিন্তু এখনও প্রায় ২০টি আসন ফাঁকা রয়ে গেছে। এরমধ্যেই বিড়ম্বনা এড়াতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে হতাশায় পড়েছেন ভর্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা শাখার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চম মেধাতালিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে ভর্তি শেষেও বিভিন্ন অনুষদে প্রায় ২০টি আসন ফাঁকা রয়ে গেছে। এরমধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ছাত্রদের মেধা তালিকার ২১৫৮ ক্রম পর্যন্ত সাবজেক্ট রয়েছে। খানে ফাঁকা আছে ছয়টি আসন। আর ছাত্রীদের মধ্যে মেধাতালিকায় ৬৫৯ ক্রম পর্যন্ত সাবজেক্ট পেয়েছে। সেখানেও ছাত্রীদের ছয়টি আসন ফাঁকা আছে।
একইভাবে ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ছাত্রীরা ১৯৯ পর্যন্ত সাবজেক্ট পেয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ফাঁকা আছে দুটি আসন।
সি ইউনিটে ২০২তম মেধাতালিকায় থাকা উম্মে হানি বলেন, ‘ফাঁকা দুটি আসনের জন্য ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশ হলেই আমি ভর্তি হতে পারবো। ২০০তম ক্রমে থাকা ছাত্রী আবেদন করেনি। ফলে আমার সুযোগ আছে।’
আমি দ্বিতীয় বারের মতো জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাপ্য সিটগুলোতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছি না। এসব সিট ফাঁকা রেখে তো কোন লাভ নেই। কিন্তু যদি আমাদের ভর্তির সুযোগ দেয় তাহলে আমরা নতুন জীবন ফিরে পাব।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে আমরা ছয়-সাতজন ১৭, ১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে গিয়েছি। শিক্ষা শাখার প্রধান সৈয়দ আলী রেজার সঙ্গে কথা বললে, তারা ভর্তি নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এরপর ডিন অফিস থেকে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বলেছে। কিন্তু সেখানে গেলেও আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’
‘এখন আমার কোথাও পড়ার সুযোগ নেই। বেসরকারিতে পড়ার মতো পারিবারিক সামর্থ্য আমার নেই,’বলেন উম্মে হানি।
এ ইউনিটে ৬৬৩তম মেধাতালিকায় থাকা শেখ কাহরুবা মুনিরা মুগ্ধ বলেন, ‘মেধাতালিকায় ৬৫৯ ক্রম পর্যন্ত সাবজেক্ট পেয়েছে। এখনও আমার ভর্তির সুযোগ আছে। আমি সেকেন্ড টাইমার। ১৭ সেপ্টেম্বর আমি ডিন অফিসে কথা বলে সিট ফাঁকা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শিক্ষা শাখায় সৈয়দ আলী রেজা স্যারের সঙ্গে কথা বলি। তিনি ভর্তির সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দেন। তবে ডিন অফিস থেকে বলে ভিসি স্যার অনুমতি দিলে ভর্তি সম্ভব, যেহেতু সিট ফাঁকা আছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর আমি ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে তার অফিসে অপেক্ষা করতে থাকি। এরমধ্যে সেখানে আলী রেজা স্যার আসেন। তিনি আমাকে দেখে রাগান্বিত স্বরে বলেন, ‘তুমি এখানে কেন আসছো। ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে হলে তো আমি তোমাকে বলতাম। ভিসি স্যার চাইলেও তোমাকে ভর্তি করাতে পারবে না। এটা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত।’
এরপর ভিসির পিএস খুব বাজে ব্যবহার করায় তিনি চলে যান বলে জানান ইউএনবির প্রতিবেদককে।
ওই শিক্ষার্থী আরও জানান, ‘এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর আমার খালামনি (জাবির সাবেক ছাত্রী, বর্তমানে জবি শিক্ষক) সহ আবার যাই ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে। ওইদিন ভিসি স্যারের পিএস একটি দরখাস্ত লেখায়। এরপর আমরা তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও আর দেখা করতে দেয়নি।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ আলী রেজা বলেন, প্রথমে ক্লাস শুরুর তারিখ ছিল ২১ জুলাই। আন্দোলনের জন্য ওই তারিখ পিছিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়। এরমধ্যে আবার ৫০টির মতো আসন ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর পঞ্চম মেধাতালিকা প্রকাশ করে ভর্তি শেষে দেখা যায় আবার প্রায় ২০টির মতো আসন ফাঁকা হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্তির সকল কাজ সমাপ্ত করে ২০ অক্টোবর ক্লাস শুরুর তারিখ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
কেন আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হলো এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইউনিট থেকে ভর্তি বাতিল করে। ফলে অটো মাইগ্রেশন হয়ে সাবজেক্ট পরিবর্তন হয়। এতে শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পরে। তারা তখন বিভিন্ন মাধ্যমে অটো মাইগ্রেশন আটকানোর জন্য তদবির করে। এতে শিক্ষার্থীরাও বিড়ম্বনায় পড়ে, আমরা যারা কাজ করি তারাও বিড়ম্বনায় থাকি। তাই, ২০১৮ সাল থেকেই আমরা ক্লাস শুরুর আগেই আসন ফাঁকা থাকলেও ভর্তি কার্যক্রম শেষ করি।’
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, কর্মকতা-কর্মচারীরা কাজের অনিহা থেকেই আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করছে।
যদিও আসন ফাঁকা থাকার বিষয়টিকে ভর্তি প্রক্রিয়ার ত্রুটি হিসেবেই আখ্যায়িত করলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আগে বিভাগ ভিত্তিক পরীক্ষা হতো। তারা পছন্দমতো সাবজেক্টে পরীক্ষা দিত। যারা চান্স পেতো তারা খুব কমই চলে যেত। আর এখন ইউনিট ভিত্তিক পরীক্ষা দেয়। এটা অনেকটা জোর করে ইনজেকশন পুশ করানোর মতো। একজন ভর্তি হতে চায় ফার্মেসিতে, তাকে দেওয়া হয়েছে বোটানি। স্বাভাবিকভাবে সে পড়তে চাইবে না। সে বিকল্প খোঁজা শুরু করবে।’
প্রতি বছর প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ সিট ফাঁকা থাকছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্লাস শুরুর পর আরও প্রায় দেড়শ’র মতো সিট ফাঁকা হবে। কৃষিতে যারা চান্স পাবে তারা চলে যাবে। এখন যারা বোটানি, প্রাণিবিদ্যাতে ভর্তি হয়েছে তারা মেডিকেলে কোচিং করতেছে। তারা চলে যাবে। কিন্তু যদি সাবজেক্টভিত্তিক পরীক্ষা হতো তাহলে এটা অনেক কম হতো। আবার চলে গেলেও আমাদের পেছন থেকে ভর্তি করাতেও সহজ হতো। এখন যেটা করতে গেলে পুরো ফেকাল্টির মাইগ্রেশন হয়, অধিকাংশ পরিবর্তন হয়ে যায়। এতে সবার ভোগান্তি বাড়ে।’
আরও পড়ুন: জাবি উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের পদত্যাগ
৩ দিন আগে
নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় বেরোবিতে বিক্ষোভ; আটক ২ বহিরাগত
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঢাকা-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে দুই বহিরাগত এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে বলে জানা গেছে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তিন শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা কামাল ও বিধান রায় এর প্রতিবাদ করেন।
বহিরাগত ওই দুই ব্যক্তি আরও ১০-১৫ জনকে নিয়ে এসে শিক্ষার্থী মামুন ও মোস্তফা কামালকে মারধর করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতির অবনতি হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়।
আরও পড়ুন: ভারতের তামিলনাড়ুতে বিক্ষোভ, স্যামসাংয়ের ৬০০ কর্মী আটক
এ প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির বিচারের দাবিতে ঢাকা-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করে।
পরে রাত ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা ওই দুই বহিরাগতকে ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করে। দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার পর অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন বলেন, বহিরাগতরা প্রায়ই ক্যাম্পাসে চুরি-ছিনতাইসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। অতীতে এই ব্যক্তিরা রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে পার পেয়ে যেত কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা ছাড় দেবে না।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী জানান, আটক দুই বহিরাগত বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছেঅ পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
দায়ীদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ
৬ দিন আগে
এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে চাইলে এইচএসসি পরবর্তী সময়টি সর্বাপেক্ষা উত্তম। দেশে স্নাতক করে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় কোর্স আউটলাইনসহ নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু স্নাতক স্তর থেকে অধ্যয়ন শুরু করা হলে পরবর্তী পর্যায়গুলোতে আর এই অসামঞ্জস্যতার আশঙ্কা থাকে না। তাই এইচএসসির পরপরই যাওয়া সম্ভব হলে দূর ভবিষ্যতে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলোতে প্রবেশ প্রক্রিয়া সহজতর হয়ে ওঠে। দীর্ঘ মেয়াদে এই সুফলের জন্য দেশে থাকা অবস্থাতেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। চলুন, এইচএসসির পরপরই বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিতে করণীয় সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রবেশিকা পরীক্ষা
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন একাডেমিক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তির জন্য অতিরিক্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। এগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে ভর্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করা হয়। তন্মধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য পরীক্ষাগুলো হলো এসএটি (স্কলাস্টিক অ্যাসেস্মেন্ট টেস্ট) এবং এসিটি (আমেরিকান কলেজ টেস্টিং)। এই পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর রিডিং, রাইটিং এবং গাণিতিক বিশ্লেষণের মত প্রাথমিক দক্ষতাগুলো যাচাই করা হয়ে থাকে। এসএটিতে যেখানে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ স্কোর তুলতে হয়, সেখানে শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির জন্য এসিটিতে ২৫ থেকে ৩০ স্কোর প্রয়োজন হয়। যুক্তরাজ্যের জন্য ইসিএএস (ইউনিভার্সিটি এ্যান্ড কলেজেস অ্যাডমিশন সার্ভিস) ট্যারিফ বা এ-লেভেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় পৃথক কিছু পরীক্ষার ফলাফলকে গুরুত্ব দেয়। যেমন- যুক্তরাজ্যে মেডিকেল সায়েন্সের জন্য বিএমএটি (বায়োমেডিক্যাল অ্যাডমিশন টেস্ট) অথবা ইউসিএটি (ইউনিভার্সিটি ক্লিনিক্যাল অ্যাপটিটিউড টেস্ট) পরীক্ষা দিতে হয়।
আরো পড়ুন: ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। এই আবশ্যকীয় যোগ্যতাটি যাচাইয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত বেশ কিছু পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন-
- আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)- টোফেল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাস ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ)- পিটিই (পিয়ার্সন টেস্ট অব ইংলিশ)- ডুওলিঙ্গো
এগুলোর মধ্যে আইইএলটিএস ও টোফেল বহু বছর ধরে ইংরেজি ভাষাভাষীসহ অন্য ভাষার দেশগুলোতেও অগ্রাধিকার পেয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইইএলটিএস স্কোর সাধারণত ৬ থেকে ৭ দশমিক ৫ এর মধ্যে থাকতে হয়।
অপরদিকে, টোফেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৮০ থেকে ১০০-এর মধ্যে স্কোর দেখাতে হয়। কিছু ইউরোপীয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসির মিডিয়াম অব ইন্স্ট্রাকশন (এমওআই) বা পাঠদানের মাধ্যম ইংরেজি ভাষায় হলেই ভর্তি নিয়ে নেয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি মূলত শুধুমাত্র ইংলিশ মিডিয়াম ও ইংরেজি ভার্সন কলেজগুলোর জন্য প্রযোজ্য।
ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার দেশগুলোতে অধ্যয়নের জন্য সেখানকার স্থানীয় ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য আলাদা পরীক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন জার্মানির ক্ষেত্রে টেস্টডিএএফ (টেস্ট অব জার্মান অ্যাস এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ) বা ডিএসএইচ (জার্মান ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সামিনেশন ফর ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স) পাস করতে হয়। একইভাবে ফ্রান্সে গুরুত্ব দেওয়া হয় ডিএএলএফ (ডিপ্লোমা ইন অ্যাডভান্সড ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ) পরীক্ষার ফলাফলকে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসনের প্রয়োজনীয় নথি তৈরি
যে কোনো উদ্দেশ্যেই অভিবাসনের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা। শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনের জন্যও এমন কিছু দরকারি নথি রয়েছে, যেগুলো অভিবাসনকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করতে হয়। প্রথমটি হচ্ছে স্টেটমেন্ট অব পার্পাস (এসওপি)। এখানে আবেদনকারীর একাডেমিক লক্ষ্য, দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা তার প্রোগ্রাম নির্বাচনের কারণগুলো উল্লেখ করতে হয়।
এরপরেই আসে লেটার অব রিকমেন্ডেশন (এলওআর)। এটি হচ্ছে নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর যোগ্যতার ব্যাপারে সুপারিশনামা। সাধারণত মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এই সুপারিশ করে থাকেন। সঙ্গত কারণেই এই লেটারটি কয়েকটি তৈরি করে রাখতে হয়। অধিকাংশ আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ থেকে ৩টি এলওআর সরবরাহের প্রয়োজন হয়।
এসওপি ও এলওআরের সঙ্গে একটি সিভি বা রেজুমি ও কভার লেটার বা পার্সোনাল স্টেটমেন্ট যুক্ত করা হলে আবেদনটি আরও শক্তিশালী হয়। সিভি বা রেজুমিতে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা থেকে শুরু করে একাডেমিক ও একাডেমির বাইরের যাবতীয় অর্জনগুলো লিপিবদ্ধ থাকে। পার্সোনাল স্টেটমেন্টের আরও একটি নাম মোটিভেশনাল লেটার। এখানে অধ্যয়নের জন্য নির্বাচিত কোর্সটিকে ঘিরে শিক্ষার্থীর আবেগে বিষয়টি পেশাগত কায়দায় ফুটিয়ে তুলতে হয়।
সর্বোপরি, এই নথিগুলো তৈরির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হয়, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বিগত সকল একাডেমিক নথি একত্রিত করা
উচ্চশিক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতার প্রমাণ হলো বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো। তাই স্কুল ও কলেজ থেকে ইস্যুকৃত প্রতিটি কাগজ সংরক্ষণ করা জরুরি। বিশেষ করে সার্টিফিকেট, মার্কশিট প্রত্যেকটির প্রতিলিপিসহ মূল কপিগুলো একত্রে রাখতে হবে। অনুলিপিগুলো স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সত্যায়িত করে রাখা উত্তম।
তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো নথিগুলোর ভাষা যদি ইংরেজি না হয় তাহলে সেগুলো অনুবাদ করা। চীন, কোরিয়া, তুর্কি ও জার্মানির মতো ভিন্ন ভাষার দেশে অধ্যয়নের আবেদনের ক্ষেত্রেও শুধুমাত্র ইংরেজিতে অনুবাদই যথেষ্ট। তবে অনুদিত সংস্করণগুলো অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা নোটারি পাবলিকের মতো জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যয়িত করে নেওয়া উচিত।
একাডেমিক রেকর্ডের পাশাপাশি খেলাধুলা, সমাজকল্যাণমূলক বা শিল্পকলার কার্যক্রমগুলো থেকে প্রাপ্ত শংসাপত্রগুলোও সংকলন করা উচিত। এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভর্তি প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
স্বনির্ভরতার জন্য সহায়ক কিছু দক্ষতা অর্জন
ভিন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠীর দেশে আত্মনির্ভর হয়ে টিকে থাকার জন্য কিছু ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। যেমন- বিদেশে নিজেদের খাবার তৈরি করে খাওয়া ও তা সংরক্ষণের জন্য রান্না করার ন্যূনতম মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি। তবে নির্দিষ্ট কিছু প্রধান খাবারের রান্নার কোর্স করে নিলে তা আরও বেশি সহায়ক হতে পারে।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ছাত্রজীবন থেকেই গাড়ি চালানো শেখা ও তার যথাযথ প্রয়োগের সংস্কৃতি রয়েছে। এই অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে দেশ থেকেই ড্রাইভিং শিখে যাওয়া উত্তম। তবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান খোঁজার সময় তারা প্রশিক্ষণটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
এছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য বজায়ের স্বার্থে সাঁতার এবং প্রাথমিক চিকিৎসার দক্ষতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
স্নাতক স্কলারশিপগুলোতে আবেদন
বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ থাকে ফান্ডিং বা অর্থায়ন নিয়ে। এই সমস্যা নিরসনের একমাত্র উপায় হচ্ছে স্কলারশিপগুলো। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তৃতীয় বিশ্বের মেধাবীদের জন্য বৃত্তি ও ভাতার ব্যবস্থা করে। এই অর্থ সহায়তায় পড়াশোনার খরচসহ জীবনযাত্রার ব্যয়ভারও অন্তর্ভুক্ত থাকে। স্কলারশিপগুলোর পূর্বশর্ত হিসেবে শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভাষা দক্ষতা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক প্রভাব রাখে। তাই দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হবে। কয়েকটি দরকারি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের তালিকা নিম্নরূপ:
ইউকে ও ইউরোপীয়ান স্কলারশিপের জন্য-https://study-uk.britishcouncil.org/scholarships-funding/https://www.idp.com/জার্মান স্কলারশিপের জন্য-https://www.daad.de/en/studying-in-germany/scholarships/daad-scholarships/যুক্তরাষ্ট্রের স্কলারশিপের জন্য-https://bigfuture.collegeboard.org/pay-for-college/scholarship-searchপৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের জন্য-https://www.fastweb.com/https://www.scholars4dev.com/
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সারসংক্ষেপ
এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হলো ভাষাগত দক্ষতা বাড়ানো। তারপর নির্দিষ্ট দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে সঠিক প্রবেশিকা বা যোগ্যতার পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। এই দক্ষতাগুলো পরবর্তীতে স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উপরন্তু, বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও মার্কশিট যোগাড় এবং স্টেটমেন্ট অব পার্পাস, সিভি ও পার্সোনাল স্টেটমেন্ট তৈরি করে ফেলতে হবে। সর্বোপরি, রান্না করা ও গাড়ি চালানোর মতো ব্যবহারিক কাজগুলোতে পারদর্শিতা অর্জন করা হলে তা ভিন্ন দেশে স্বনির্ভর জীবনধারার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
১ সপ্তাহ আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের যেসব কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় ২৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে শতভাগ পাস করেছে মাত্র ১৩টি কলেজ। গতবারের চেয়ে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি।
আর পাঁচটি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি।
গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৩টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা আরও ৩টি বেড়েছে।
শতভাগ পাসের তালিকায় নগরের নামদামি কোনো কলেজ নেই। এমনকি সরকারি কোনো কলেজেরও স্থান হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
পাসের হার শূন্য ৫ কলেজের মধ্যে ৩টি উপজেলার আর ২টি মহানগরের। উপজেলার মধ্যে একটি হলো হাটহাজারীর রহিমপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন।
এরপর রয়েছে রাউজানের মোহাম্মদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন।
এরপরে রয়েছে চকরিয়া কর্মাস কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের ৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
মহানগরের মধ্যে পাসের হার শূন্য এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হলো হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ। এই কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন এবং অন্যটি পাঁচলাইশের চট্টগ্রাম জেলা কলেজ।
এ কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
অন্যদিকে, গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কম। তবে সেই তুলনায় এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৩৯ জন।
শতভাগ পাস করে ১৩টি কলেজের মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৮৭ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ। ৩৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬৮ জন শিক্ষার্থী।
এবারও পার্বত্য অঞ্চলের ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের রেকর্ড করেছে।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ। তাদের ৬৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এরপরে রয়েছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুন্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৬০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
শতভাগ পাসের তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫১ জন শিক্ষার্থী।
শতভাগ পাসের নবম তালিকায় রয়েছে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার শলক কলেজ। তাদের ৫০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
এরপরে দশম অবস্থানে রয়েছে আনোয়ারার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এদিকে তালিকায় ১১তম ও ১২তম অবস্থানে রয়েছে মহানগরের দুটি প্রতিষ্ঠান। একটি হলো কোতোয়ালি থানার সেন্ট্রাল পাবলিক কলেজ। তাদের ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপরে রয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
সর্বশেষে রয়েছে কক্সবাজারের বিআইএম ল্যাবরেটরি (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ৯ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
১ সপ্তাহ আগে
যশোর বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন। পাস করেছে ৭৮ হাজার ৭৬৪। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার ফলাফল প্রকাশ করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের কনফারেন্স রুমে উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. বিশ্বাস মোহাম্মদ শাহিন আহমেদ ।
২০২৩ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৭০৩ জন শিক্ষার্থী।
২০২২ সালে এ বোর্ডের পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ । জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
১ সপ্তাহ আগে
রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৩০৫ জন। আর ছাত্রী ১৪ হাজার ৫৯৭ জন।
বোর্ডটিতে এবার মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৩ পরীক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৪ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পাস করে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৪৮ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল: ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
২০২৩ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। গত বছর ১১ হাজার ২৫৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ১১টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে চেয়ারম্যান অধ্যাপক অলিউল আলম এ তথ্য জানান।
এসময় ড. অলীউল আলম বলেন, রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলায় মোট কলেজের সংখ্যা ৭৪১টি। এরমধ্যে ১২টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেননি। আর ৩৫টি কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন।
যেসব কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেননি সেসব কলেজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক অলিউল আলম।
রাজশাহী বোর্ডে গতবছর এইচএসসির পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে।
এছাড়া বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ২৫৮ জন। এবার দ্বিগুণের বেশি। গতবছর পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যা এবারের চেয়ে বেশি, ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ, ১ লাখ ৪৫ হাজার জিপিএ-৫
১ সপ্তাহ আগে