মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও গতকাল সকালের তুলনায় ঢাকার বাতাসের মানে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ যায়নি। গতকাল বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা উজবেকিস্তানের তাসখন্দ আজ নেমে এসেছে ৫৮তম স্থানে, অথচ ঢাকা সেই চতুর্দশ স্থানেই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ৭৯ নিয়ে তালিকার চতুর্দশ স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকাল ঠিক এই সময়ে ঢাকা একই স্থানে ছিল। অবশ্য আজ অবস্থানে অনড় থাকলেও মানে সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯৭।
এদিকে, গতকাল ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা তাসখন্দের স্কোর আজ মাত্র ৫৫।
বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। একিউআই স্কোরের কিছুটা পরিবর্তন হলেও শহরটির বায়ুমান এখনও ‘ভালো’ হয়ে উঠতে পারেনি, বলা চলে ‘ভালো’ মানের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
কারণ বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সকালের বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।