বায়ুমান
বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা দিয়েছে কলকাতা, ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে মুম্বাই
মেছাচ্ছন্ন আকাশ নিয়ে রবিবারের সকাল শুরু করা ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজও ‘মাঝারি’, তবে আজ কয়েকটি বিষয় লক্ষ করা গেছে।
সাধারণত বাতাসের মান নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট আইকিউ এয়ারের শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর মধ্যে থাকতে দেখা যায় ঢাকা, লাহোর ও দিল্লিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ঢাকা ও দিল্লির অবস্থায় তার থেকে উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন ধরে শহরদুটির বায়ুমান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দিল্লি ৭০ এবং ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৬২। ফলে তালিকার শীর্ষস্থানগুলোর বেশ নিচে অবস্থান করছিল এই দুই শহর। একইসঙ্গে ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষ পাঁচে ছিল লাহোর।
তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, ভারতের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে সবার উপরে থাকে দিল্লি। রাজধানী শহরের চেয়ে সাধারণত অনেক ভালো অবস্থায় থাকে কলকাতা ও মুম্বাই। কিন্তু আজ একই সময়ে কলকাতার দূষণের স্কোর দিল্লির চেয়ে ৭ বেশি, অর্থাৎ ৭৭। ফলে তালিকার অষ্টাদশ স্থানে থাকা দিল্লিকে টপকে একাদশ স্থানে উঠে গেছে পশ্চিমবঙ্গের এই শহর।
এদিকে, ৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার বেশ নিচে, নির্দিষ্ট করে বললে ৩২তম স্থানে থাকলেও ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই ঢাকা। শহরটির দূষণের স্কোর ঢাকার চেয়ে এক কম। তালিকায় এর স্থান ঢাকার পরেই।
অন্যদিকে, ১৭০ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। এরপর ১৫৩ ও ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া ১৩৫ একিউআই স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এবং ১৩৪ নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল চিলির সান্তিয়াগো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আরও অবনতি, তবে চমক দেখিয়েছে মিসর
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৩৮ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আরও অবনতি, তবে চমক দেখিয়েছে মিসর
আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে ঢাকার সড়কে যান চলাচল ও জনসমাগম দুই-ই কম। তা সত্ত্বেও আজ ঢাকার বাতাসে উন্নতির দেখা নেই। টানা কয়েকদিন শহরটির বায়ুমান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও, আজ তা ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকার’ হয়ে উঠেছে।
আজ (১৮ জুলাই) সকাল ৯টা ৬ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ এ। এই স্কোর নিয়ে আবারও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ দশে চলে এসেছে শহরটি।
গত কয়েকদিন মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাবে শহরটির বায়ুমানে পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ‘ভালো’ হতে না পারলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ ছিল। গতকাল সকালে বৃষ্টির পরে একিউআই স্কোর ছিল ৬৮।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে রোদ উঠতে শুরু করে। এরপর থেকে আর বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সকালেও ঝকঝকে আকাশে সোনালি রোদ দেখা গেছে। রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বাড়তে শুরু করেছে বায়ু দূষণের মাত্রা। ফলে এক দিনের ব্যবধানে ৬৮ থেকে একিইআই স্কোর গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩ এ।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একই সময়ে আজ আবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা, শহরটির স্কোর ১৭৪। আশ্চর্যের বিষয় হলো গতকাল তালিকার শীর্ষে থাকা মিসরের কায়রো আজ নেমে গেছে ৩৫ তম স্থানে, শহরটির একিউআই স্কোর মাত্র ৬৪।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসেও ঢাকার মতো অবনতি দেখা গেছে, কয়েকদিন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিলেও আজ আবার ১৫৯ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা, স্কোর ১৬৭।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণে আজ বৃষ্টির প্রভাব
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪০ দিন আগে
ঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঢাকায় টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও আজ সকালে উঁকি দিয়েছে রোদ। রোদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় বাড়তে শুরু করেছে বায়ুদূষণ। গত কয়েকদিন ধরেই দূষণের এই মাত্রা একটু একটু করেই বেড়েই চলেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোরের কারণে ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করলেও সেটি ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠতে বেশি দূরে নেই।
কারণ একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, এই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
দেখা যাচ্ছে, বৃষ্টি হোক কিংবা ছুটির দিন, কোনোকিছুতেই ঢাকার বাতাসের মানে তেমন উন্নতি ঘটাতে পারছে না। মাঝেমধ্যে হয়তো একিউআই স্কোর কিছুটা কমে আসে, পরক্ষণেই আবার পুরনো চেহারায় ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: সকালের মনোরম আবহাওয়ার মধ্যেও দূষণে পিছিয়ে নেই ঢাকার বাতাস
যেমন: সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৪। যেটি বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি। তবে ভালো আর হয়ে ওঠেনি, বরং পরদিনই শহরটির স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৮৯ তে।
গতকালের মতো আজ সকালেও ঢাকার বাতাসের অবনতির ধারা অব্যাহত আছে। ৯০ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২৪তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
এদিকে, আজও তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮৬। টানা কয়েকদিন ধরেই শীর্ষে অবস্থান করছে শহরটি। তবে গতকাল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা চিলির সান্তিয়াগো ও ভিয়েতনামের হ্যানয়ের বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা গেছে।
এদিন ১৮১ ও ১৭৮ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা ও ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা। আর সান্তিয়াগো ও হ্যানয়ের স্কোর আজ ১৫৯ ও ৯৪।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪২ দিন আগে
সকালের মনোরম আবহাওয়ার মধ্যেও দূষণে পিছিয়ে নেই ঢাকার বাতাস
মাকাল ফল—বাংলায় অতি প্রচলিত একটি কথা, যার অর্থ উপরে সুন্দর হলেও ভিতরে অন্তঃসারশূন্য ছাঁই। ঢাকার আবহাওয়ারকে আজ এই শব্দের সঙ্গে তুলনা করলে মন্দ হয় না! কারণ আজ সকালে ঢাকার পরিবেশ ছিল বেশ মনোরম, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সঙ্গে ঠান্ডা মৃদু বাতাস।
ধারণা করা হচ্ছিল, এই সুন্দর আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি দেখা যাবে। তবে দেখা গিয়েছে তার পুরোপুরি উল্টোচিত্র। ঢাকার বাতাসের মানে বরং গতকালের তুলনায় অনেকটা অবনতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর হলো ৮৯। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার চতুর্দশ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
গতকাল (সোমবার) একই সময়ে একিউআই স্কোর মাত্র ৫৪ নিয়ে তালিকার ৬৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল ঢাকা।
যদিও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী গতকালের মতো আজও ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তবে স্কোর অনুযায়ী গতকাল বায়ুমান ‘ভালো’র কাছাকাছি থাকলেও আজ কিন্তু তা নেই। বরং আজ ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি চলে গেছে ঢাকার বাতাস। তাই এই মনোরম আবহাওয়াতেও প্রাণখুলে নিশ্বাস নিতে ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসে আজ লক্ষণীয় উন্নতি
কারণ একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। অন্যদিকে, এই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এদিকে, আজও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৯৪। তাছাড়া ১৭১ ও ১৭০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে চিলির সান্তিয়াগো ও ভিয়েতনামের হ্যানয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪৩ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আজ আরও অবনতি
সাধারণত বৃষ্টি হলে কিংবা ছুটির দিনগুলোতে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও জনসমাগম কম থাকায় বাতাসের মানে উন্নতি দেখা যায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি, এরপর গতকালের ছুটি শেষেও আজ সকালে ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি লক্ষ করা গেছে। এমনকি গতকালের তুলনায়ও শহরটির বাতাসের মান কমেছে।
শনিবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে একিউআই স্কোর ৯৭ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ত্রয়োদশ স্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। তবে মাঝারি হলেও ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৮৫। আজ তার থেকে বেড়ে ৯৭ হয়েছে। বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
এদিকে, ঢাকার মতো প্রায়ই তালিকার প্রথম দিকে থাকা পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লির বাতাসের মানেও তেমন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়নি। ১১৫ ও ১০৫ স্কোর নিয়ে লাহোর ও দিল্লির বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
একই সময়ে ২৩১ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা। এরপর ১৭৭ ও ১৬০ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা ও চিলির সান্তিয়াগো।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪৬ দিন আগে
টানা বৃষ্টিতেও ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি নেই
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টি হচ্ছে, তবুও গতকাল সকালের তুলনায় ঢাকার বাতাসের মানে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ যায়নি। গতকাল বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা উজবেকিস্তানের তাসখন্দ আজ নেমে এসেছে ৫৮তম স্থানে, অথচ ঢাকা সেই চতুর্দশ স্থানেই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ৭৯ নিয়ে তালিকার চতুর্দশ স্থানে রয়েছে ঢাকা। গতকাল ঠিক এই সময়ে ঢাকা একই স্থানে ছিল। অবশ্য আজ অবস্থানে অনড় থাকলেও মানে সামান্য হলেও উন্নতি হয়েছে। গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯৭।
এদিকে, গতকাল ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা তাসখন্দের স্কোর আজ মাত্র ৫৫।
বৃষ্টিতে ঢাকার মানে পরিবর্তন আসার কথা থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। একিউআই স্কোরের কিছুটা পরিবর্তন হলেও শহরটির বায়ুমান এখনও ‘ভালো’ হয়ে উঠতে পারেনি, বলা চলে ‘ভালো’ মানের কাছাকাছিও যেতে পারেনি।
কারণ বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সকালের বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪৮ দিন আগে
সকালের বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি
বর্ষাকালে সাধারণত ঢাকার বাতাসে মানে উন্নতি দেখা যায়। তবে সকালে বৃষ্টির পরও আজ বিপরীত চিত্র উঠে এসেছে। রাতভর বৃষ্টি, এরপর সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে গতকালের তুলনায় অবনতি লক্ষ করা গেছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৭, যেখানে ১০০ স্কোর থাকলে সেটি ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
গতকাল প্রায় একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৭৮। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ২৩তম স্থানে ছিল ঢাকা। অথচ অবনতির কারণে আজ ঢাকা উঠে এসেছে তালিকার চতুর্দশ স্থানে।
অন্যদিকে, গতকাল এই তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ভারতের দিল্লি আজ অবস্থান করছে ৩৮তম স্থানে। একিউআই স্কোর ৬২ নিয়ে ‘মাঝারি’ বায়ুমান অর্জন করেছে শহরটি।
যদিও আজ ঢাকার বাতাসও বায়ুমান সূচক অনুযায়ী ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে, তবে সেটি সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠতে মাত্র ৩ পিছিয়ে।
আরও পড়ুন: লাহোরের বাতাসের মান আজ ভালো, ঢাকার কী অবস্থা?
একই সময়ে আজ ১৭৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর কঙ্গোর কিনশাসা। এই সময় ১৫৯, ১৫৬ ও ১২৯ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দূষিত শহর ছিল যথাক্রমে উগান্ডার কাম্পালা, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৪৯ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।
তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।
আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৫৫ দিন আগে
বায়ুদূষণে পর্যদুস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দুই শহর, ঢাকারও অবনতি
বেশ কিছুদিন ধরে আইকিউএয়ারের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষস্থানে পরিচিত শহর ঢাকা, দিল্লিকে দেখা যাচ্ছে না। পরিবর্তে প্রতিদিনই আফ্রিকা বা এশিয়ার অন্য কোনো শহর স্থানগুলো দখল করছে। তবে আজ ফের কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে এই তালিকায়, দুটি শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই শহর।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল ইরাকের বাগদাদ। তারপরই জায়গা করে নেয় কুয়েত সিটি। কিন্তু শহরদুটির দূষণের মাত্রা দেখলে চোখ কপালে ওঠার মতো।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-র বেশি যেকোনো সূচক।
অথচ বাগদাদের একিউআই সূচক ছিল দ্বিগুণেরও বেশি। ওই সময়ে ৭৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল শহরটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুয়েত সিটির অবস্থাও নাজুক, এই শহরের দূষণের সূচক ছিল ৫৭৭।
এর আগে, এ বছরের ১৫ মে একই ধরনের বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল বাগদাদে। সেদিন সকালে শহরটির দূষণের মাত্রা ছিল আজকের চেয়েও বেশি, ১০৯২।
অন্যান্য শহরগুলোর অবস্থা
এই সময় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুটি শহর ছাড়া বিশ্বের অন্য শহরগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। এর মধ্যে তালিকার তৃতীয় দূষিত শহর কঙ্গোর কিনশাসার একিউআই সূচক ছিল ১৭৮ এবং চারে থাকা চিলির সান্তিয়াগোর সূচক ছিল ১৫৫।
আরও পড়ুন: দূষণের পরিমাণ বাড়লেও ঢাকার বায়ুমান আজও ‘মাঝারি’
তবে একটি বিষয় গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে। তা হলো, কমবেশি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছুদিন বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকাকে তো দেখা যাচ্ছেই না, এমনকি ভারতের দিল্লিকেও মাঝেমধ্যে তালিকার বেশ নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়। কিন্তু প্রতিদিনই শীর্ষ পাঁচ দূষিত শহরের মধ্যে জায়গা করে নেয় পাকিস্তানের লাহোর। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
১৫৫ একিউআই স্কোর নিয়ে এই সময় লাহোরের অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থানে।
ঢাকা, দিল্লির অবস্থা কী
গত তিন দিন থেকে একটু একটু করে অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে ঢাকার বায়ুমানে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ সকালে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯০, যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৭, তার আগের দিন (রবিবার) তা ছিল ৭৯। এ ছাড়া শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসে দূষণের সূচক ছিল ৫৯।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন তালিকার শীর্ষস্থানে না থাকলেও দশ থেকে ২০তম স্থানের মধ্যে দেখা যায় দিল্লিকে। আজ সামান্য অবনতি হয়েছে শহরটির বাতাসের, তবে ঢাকার চেয়ে আজ দিল্লির বায়ুমান কিছুটা ভালো। ৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই, অর্থাৎ দ্বাদশ স্থানে ছিল শহরটি।
কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৫৭ দিন আগে
ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি
কয়েকদিন টানা মাঝারি শ্রেণিতে এবং একটু একটু করে উন্নতি হওয়ার পর পর গতকাল (শুক্রবার) হঠাৎ করেই ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়। তবে একদিন পরই আবারও সেই উন্নতির ধারায় ফিরেছে রাজধানীর বাতাস।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৯। অথচ, গতকাল প্রায় একই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর নামে ১০২-এ।
কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’ হলেও তা ‘ভালো’র কাছাকাছি রয়েছে।
গতকাল ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়লেও তার আগের পাঁচ দিন রাজধানীর বায়ুমানে ক্রমেই উন্নতি দেখা যাচ্ছিল। এর মধ্যে ২২ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৭তম, ২৩ জুন সকাল ৯টায় ২১তম, ২৪ জুন ২৯তম, ২৫ জুন ৩১তম এবং ২৬ জুন ঢাকার অবস্থান ছিল ৩৮তম।
আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪১তম। একই একিউআই স্কোর নিয়ে তারপরই রয়েছে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ।
এই সময়ে সূচক ১৬৭ নিয়ে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। এ ছাড়া ১৫৬ স্কোর নিয়ে দুইয়ে ছিল ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ১৫৫ নিয়ে তিনে পাকিস্তানের লাহোর এবং ১৫১ স্কোর নিয়ে চারে ছিল ইন্দোনেশিয়ার আরও এক শহর মেদান।
১৪২ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি এই সময়ে অবস্থান করছিল সপ্তম স্থানে। তবে ৭৯ স্কোর নিয়ে গতকাল সকালে শহরটি বেশ ভালো অবস্থানে ছিল।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় অবনতি
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬০ দিন আগে