সবাই মিলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে একটি শোষণ ও অন্যায়মুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এমন একটি শোষণ ও অন্যায়মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, যেখানে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। যা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হবে।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিআইসিসিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কনভোকেশন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে আপনাদের সাহস ও ত্যাগের কারণে। আপনারা অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।’
তিনি শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন— ভালো ক্যারিয়ার শেষ লক্ষ্য নয়। সমাজের কল্যাণ করাই প্রকৃত সাফল্য।
বর্তমান উন্নয়ন মডেলের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়ন যেন প্রকৃতির ওপর চাপ সৃষ্টি না করে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃতির ক্ষতি না করেও উন্নতি সম্ভব। এজন্য আমাদের উন্নয়নের ধারণা বদলাতে হবে।’ তিনি আইইউবিএটিকে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন মডেল প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ করেন। প্রথমত, অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক দূষণ পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। এটি কমাতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ পৃথিবী নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুর রব, সমাবর্তন বক্তা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথয়ের অধ্যাপক ড. ট্যামসিন ব্র্যাডলি, আইইউবিএটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিনা নারগিস ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী রিয়ানা আজাদ।
পরে উপদেষ্টা সমাবর্তন ডিগ্রি প্রদান করেন ও ফাউন্ডার মিয়ান গোল্ড মেডেল, আলিমুল্লাহ মিয়ান অ্যাওয়ার্ড ও ক্রেস্ট বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।