আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। পাকিস্তানের শাসন-শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির ৫৪তম বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
ইতোমধ্যে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রঙ-তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরই মধ্যে ১১ ডিসেম্বর থেকে সব দর্শনার্থীর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চলছে।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে ইতোমধ্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার বড় বড় কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার মহাসড়কে ১৩টি সেক্টরের মাধ্যমে ৪ হাজার পুলিশের ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে সাদা পোশাকে এবং ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, যা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
এ বিষয়ে ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জনগণ যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক কোরের ডিন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে নাম না জানা লাখো শহীদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ খুলে দেওয়া হবে। পরে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ঢাকা জেলা পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদা পোশাকে চার হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
এদিকে, তথ্য অধিদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো যাবে না। ওইদিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধের আকর্ষণীয় ফুলের বাগানের কোনোরকম ক্ষতি না করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।