কক্সবাজারের টেকনাফ সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করার সময় রোহিঙ্গাসহ ৬৬ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় ৫ মানবপাচারকারীকেও আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি রাইফেলের গুলি, একটি রামদা ও একটি কিরিচ জব্দ করে পুলিশ।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
উদ্ধারদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা ও ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ১১ জন নারী ও ৩৭ জন শিশু রয়েছে।
আটক মানবপাচারকারীরা হলেন- টেকনাফ পৌরসভার শিলবনিয়া পাড়ার মো. রাশেদ, বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া এলাকার সালেহ আহাম্মদ ও তার ভাই নুরুল কবির, একই এলাকার সৈয়দ আলম এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া এলাকার কামরুল ইসলাম ওরফে মো. শিপন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ বলেন, টেকনাফে সমুদ্র উপকূলে বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় জনৈক আব্দুল আমিনের বসত ঘরে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশে কিছু সংখ্যক লোকজনকে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশের একটি অভিযান চালায়।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য পাচারকালে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি যুবক
এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ৬৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।