রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) ভোরের দিকে কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উত্তরখানা থানার ডিউটি অফিসার হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে উত্তরখানা থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তিনি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। গতকাল ভোর রাতে আনুমানিক পাঁচটায় কয়েকজন লোক এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে উত্তরা স্থানীয় লিংক ইউ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
সাইফুর রহমান ভুঁইয়ার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার আহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে ছুরিকাঘাত করে বাসার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। পরে তিনি কোনোরকমে বাথরুমের দরজা ভেঙে বের হয়ে এসে চীৎকার করতে থাকেন।’
‘ভোরে তেমন লোক ছিল না রাস্তায়। এরপরও একজন শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,’ বলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আহাম্মদ আলী বলেন, ওই বাসায় সাইফুর রহমান একাই থাকতেন। দুদিন আগে তার বাসায় একজন নারী ও একজন পুরুষ এসে উঠেছিলেন। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
জানা গেছে, সাইফুর রহমান ভূঁইয়া পরিবার নিয়ে শান্তিনগর এলাকায় থাকতেন। তবে উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মাঝে মাঝে থাকতেন। সেই বাসায় একাই ছিলেন বলেও জানা গেছে।
ওই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রেজাউল রায়হান বলেন, সাইফুর রহমান স্যারকে কে বা কারা গতকাল ভোর রাতে (সেহেরির সময়) দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করেছে। তার গলায় ও মাথায় রামদার কোপের দাগ রয়েছে। হাসপাতালে শিক্ষকরা থাকলেও কেউ থানার সহযোগীতা নেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তেনের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সবাইকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন করে শিক্ষকদের পদন্নতি দেওয়া হয়। সেখানে সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে উপাধ্যক্ষ করা হয়েছিলো। তিনি (সাইফুর) একসময় বিএনপির মতদর্শী থাকলেও আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন সেমিনারে যাওয়ার কিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। এ নিয়ে ওই কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল ছিলো বলে জানা গেছে।