পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চতুর্থবারের মতো ফুটেছে টিউলিপ। টিউলিপ ফুলের বাগানের টানে এই উপজেলায় আসছে দলে দলে পর্যটক। পর্যটনের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে টিউলিপ বাগান। টিউলিপ চাষে লাভবান হওয়ায় স্বচ্ছলতা ফিরেছে নারী উদ্যোক্তাদের পরিবারে।
ইএসডিও ও নারী উদ্যোক্তারা জানান, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে নারী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকো স্যোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-ইএসডিও টিউলিপ চাষে এগিয়ে এসেছে। পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামে এবার ১৩ জন নারী উদ্যোক্তা এক একর জমিতে চতুর্থবারের মতো টিউলিপ ফুল চাষ করেছে।
টিউলিপ ফুল নেদারল্যান্ড বা ভারতের কাশ্মিরে চাষ হলেও শীতপ্রধান এলাকা হিসেবে তেঁতুলিয়ায় এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ বছর সানি রাজকুমার, পিঙ্ক আর্ডোর, প্যারেড, অক্সফোর্ড, কমলা ভ্যাব বরলশ, ফেরডেক্স, অ্যাপেলডুম, ব্লাশিং এলিট ও মেস্টিক ভ্যান ইউজক নামের ৯ প্রজাতির ফুল চাষ করা হয়েছে। সম্প্রতি ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান ও ইএসডিওর পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার দম্পতি ফিতা কেটে টিউলিপ বাগানে পর্যটকদের প্রবেশ উন্মুক্ত করেন
নানান রংয়ের ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে টিউলিপ বাগান। টিউলিপ ফুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ইকো টুরিজম ব্যবস্থা। চোখ ধাঁধানো, মন মাতানো বাহারি রঙ্গের টিউলিপ ফুল। বাগানে ঢুকতেই পর্যটকদের মন জুড়িয়ে যায় নিমিষেই। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সীমান্তঘেঁষা এ গ্রামে রোপণ করা হয় টিউলিপ ফুল। মাত্র ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে চারা গজিয়ে কয়েক সারিতে ফুল ছড়িয়ে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে টিউলিপ। আগামী দুই মাস টিউলিপ ফুল তার রাজসিক সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াবে। টিউলিপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন দেশি বিদেশি হাজারো পর্যটক। টিউলিপ ফুল দেখে মুগ্ধ দর্শনর্থীরাও। প্রতিদিন ভ্রমণে আসা ও বনভোজনে আসা পর্যটকরা ভিড় করছেন বাগানে।
আরও পড়ুন: ৩ দিবস ঘিরে জমজমাট গদখালি ফুলের বাজার, শত কোটির ফুল বিক্রির প্রত্যাশা