নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দরবনের বনভূমি। এতে যেমন কমছে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনটির ভূমি, তেমনি বিলীন হচ্ছে বনভিবাগের জেটি ও অন্যান্য স্থাপনাও। এতে করে অফিস ব্যারাক ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বনরক্ষীরা। প্রতিনিয়ত বাড়ছে হুমকি।
সম্প্রতি বনের ৯টি স্থানের ভাঙন ঠেকাতে গত সেপ্টেম্বরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা চেয়েছিল পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ। বগি ফরেস্ট অফিসের সামনে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেললেও তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বেশ বড় এলাকা ও গাছপালা বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীতে। বিশেষ করে দুবলা ফরেস্ট অফিসের জেটি, খাবার পানির একাধিক পুকুর, অফিস ভবন, মেহেরআলী চরের সাইক্লোন শেল্টার ও মিষ্টি পানির পুকুর সাগরে বিলীন হয়েছে। সাগরে বিলীন হয়েছে কটকার পুরাতন রেস্ট হাউস ভবন ও জেটি। বগি ফরেস্ট অফিসের দোতলা ভবন নদীতে বিলীন হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এছাড়াও অনেক স্থানে অফিস ও পুকুর নদীতে বিলীন হওয়ার পথে।
জানা যায়, বনের ৯টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এগুলো হলো—কচিখালী অভয়ারণ্যকেন্দ্র, কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্র, চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি, জেলেপল্লী দুবলা টহল ফাঁড়ি, বগি ফরেস্ট স্টেশন, ঝাপসি টহল ফাঁড়ি, জোংড়া টহল ফাঁড়ি, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও শুয়ারমারা টহল ফাঁড়ি। এসব ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
সুন্দরবনের প্রধান পর্যটন স্পট কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার সোয়েবুর রহমান সুমন ইউএনবিকে বলেন, সাগরের ভাঙনে কটকার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল সাগরে বিলীন হচ্ছে। ক্রমাগত বনভূমি ভেঙে কমছে বনভূমি। অনেক গাছপালা সাগরে বিলীন হয়েছে। কটকার পুরাতন রেস্টহাউস ভবন সাগরে চলে গেছে। তাছাড়া সুন্দরবনের গহিনে অনেক জায়গা নদী ও খালে বিলীন হয়েছে। কটকার ফরেস্ট অফিস এখন ভাঙনের মুখে বলেও জানান এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।