ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেওয়া ৫০ দিনের সময়সীমা কমিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন নির্ধারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা না-হলে রাশিয়ার ওপর কড়া শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘অপেক্ষা করার কোনো মানে নেই। আমরা কোনো অগ্রগতি দেখছি না।’
এর আগে ১৪ জুলাই ট্রাম্প বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরের শুরু পর্যন্ত শান্তিচুক্তি না হলে তিনি রাশিয়ার ওপর কড়া শুল্কারোপ করবেন। তবে এখন সেই সময়সীমা কমিয়ে ১০–১২ দিন নির্ধারণ করেছেন তিনি।
এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের লক্ষ্য করে মাধ্যমিক শুল্কারোপের বিষয়টি। এ সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সোমবার অথবা মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দেওয়া হবে বলেও জানান ট্রাম্প। এ বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও ইউক্রেনে অব্যাহত হামলা চালানোর জন্য পুতিনের সমালোচনা করেন ট্রাম্প। পুতিনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, বিষয়টি এভাবে করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে চায় রাশিয়া
পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প জানান, তিনি এখন আর সেই বিষয়ে আগ্রহী নন। তবে ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া নিয়ে কিছুটা দ্বিধাও প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি রাশিয়ার জনগণকে ভালোবাসি। আমি তাদের সঙ্গে এটা করতে চাই না।’
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি পুতিনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়াকে দেওয়া সময়সীমার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমার্ক।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘পুতিন কেবল শক্তির ভাষা বোঝেন। সেটিই এখন স্পষ্ট ও জোরালোভাবে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ৩০০টির বেশি ড্রোন, চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ট্রাম্পের যুদ্ধ বন্ধের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে।