একের পর এক সূচকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে এবার বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকার পুঁজিবাজারে। গড়ে ৪৫০ কোটি টাকার ওপর হওয়া লেনদেন এসে ঠেকেছে ৩০০ কোটিতে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (২৩ এপ্রিল) ৩০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা এ বছরে সর্বনিম্ন। একদিনের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৪০ কোটি টাকা।
লেনদেন কমার পাশাপাশি প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪ পয়েন্ট। নেতিবাচকের ঘরে ছিল শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস। তবে লম্বা পতন শেষে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পতন দিয়ে লেনদেন শুরু ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানরই দাম ছিল নিম্নমুখী। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১১৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২১৪ কোম্পানি এবং ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি, জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানি দাম হারিয়েছে। বিশেষ করে এ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ২১৫ কোম্পানির মধ্যে ৭১ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর নেমেছে ১১৮ কোম্পানিতে।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে। বাকি ২৩ কোম্পানির ইউনিটের দাম ছিল নিম্নমুখী এবং অপরিবর্তিত আছে ৯ কোম্পানির দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৫ কোম্পানি প্রায় ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে রেনেটা সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ৯.৯৩ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
অব্যাহত পতন চট্টগ্রামে
ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) পতনের ধারা অব্যাহত আছে, সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৭ কোম্পানির মধ্যে ৭২ কোম্পানির দাম বাড়লেও কমেছে ১১৩ কোম্পানির দাম এবং ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
আরও পড়ুন: পতনের ধারা যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। মোট ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬ কোটি টাকার ওপরে।
৯.৮২ শতাংশ দর বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে বিচ হ্যাচারি।