যশোরে আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৬২টি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা খাদ্য বিভাগ। এছাড়া, চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহে ব্যর্থ মিল মালিকদের জামানতও কর্তন করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরে সরকারি খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহের জন্য ১৬৩টি মিলের সঙ্গে চুক্তি সই হয়। এর মধ্যে ১০১টি মিল চাল সরবরাহে সম্মত হলেও, বাকি ৬২টি মিল বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও চুক্তি করেনি। গত বছরের ডিসেম্বরে এসব মিল মালিকদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হলেও তারা সন্তোষজনক জবাব দেননি। বাতিলকৃত লাইসেন্সের মধ্যে ১০টি অটো রাইস মিল এবং ৫২টি হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে।
গত আমন মৌসুমে যশোরে ১৪ হাজার ২৪৭ টন সিদ্ধ চাল এবং ৮০১ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু মিল মালিকদের অসহযোগিতার কারণে মাত্র ৭ হাজার ৩৭০ টন চাল সংগ্রহ সম্ভব হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অবৈধ মজুদবিরোধী অভিযানে ২৯ টন চাল জব্দ
কিছু মিল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকার প্রতি কেজি চাল ৪৭ টাকা দরে কিনলেও বাজারে চালের দাম অনেক বেশি। এ কারণে তারা সরকারি সংগ্রহমূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তাদের দাবি আমলে না নেওয়ায় নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহে তাদের পুঁজির ক্ষতি হচ্ছিল।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেফাউর রহমান জানান, চলতি মাসে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ, ২০২২-এর ৭ ও ৮ নম্বর বিধান অনুযায়ী এই ৬২টি মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যবস্থা সরকারি খাদ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।