ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নেমেই সেই যে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করল চিটাগাংয়ের ব্যাটাররা, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল তার ধারা। আর এতেই টপ-অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালকে বড় লক্ষ্য দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
প্রথম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে বিপিএলের ফাইনালে শুরুতে ব্যাটিং করে তিন উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করেছে চিটাগাং কিংস। বিপিএলের ফাইনালে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ রান। ফলে শিরোপা ধরে রাখতে ফরচুন বরিশালকে রেকর্ড গড়তে হবে।
দলের হয়ে ৪৯ বলে চারটি ছক্কা ও ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এছাড়া অপর ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান (৪৪ বলে) এবং তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
অপরদিকে, বরিশালের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আলি ছাড়া আর সবাই ছিলেন খরুচে। আলি ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার একটু দেখেশুনে খেললেও তৃতীয় ওভার থেকে বোলারদের ওপর চড়াও হন চিটাগাংয়ের দুই ওপেনার। এর ধারাবাহিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান সংগ্রহ করে কিংস।
একপর্যায়ে ৩০ বলে ইমন ও ৩১ বলে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন নাফে। এরপর ১২.৪তম ওভারে ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ঠিকমতো ব্যাটের সংযোগ ঘটাতে না পেরে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় নাফেকে। এতে করে ভাঙে ১২১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তারপর ক্রিজে এসে ইমনের সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ক্লার্কও। ইনিংসের ৪ বল বাকি থাকতে ৪০ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়ে রান আউট হয়ে এই ইংলিশ ব্যাটার যখন ফিরে যাচ্ছেন, চিটাগাংয়ের স্কোর তখন ১৯১। এর পরের চার ওভারে শামীম হোসেন আউট এবং তিনটি রান হয়। ফলে বরিশালের জন্য ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে মাঠ ছাড়েন ইমন ও তালাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগাং কিংস: ১৯৪/৩ (ইমন ৭৮*, নাফে ৬৬, ক্লার্ক ৪৪; মোহাম্মদ আলি ১/২১, ইবাদত ১/৩৫)।