গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করবে দলটি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের নতুন এ কর্মসূচির কথা জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি জানান, শনিবার দুপুর ১২টায় দেশের ৬৪ জেলায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবে। পাশাপাশি বিকেল ৩টায় ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এই হামলার প্রতিবাদে এবং বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।
গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সংঘর্ষের পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। সে সময় নুরের কর্মী ও জাপা নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তখন জাপা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন নুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা। এর মাঝখানে পড়ে নুর আহত হন।
এই হামলার বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের আমলেও আমরা এভাবে হামলার শিকার হইনি। আজকে নুরুল হক নুর আইসিউতে কেন, তার জবাব সরকারকে দিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, আজকের হামলা থেকে আপনারা কিছুটা প্রমাণ পেয়েছেন। সেনাবাহিনী বুট জুতা দিয়ে আমাদের পাড়িয়েছে। আজকে যদি এর বিচার না হয়, তাহলে সেনাবাহিনী নিজেকে নিজে কলঙ্কিত করল।
এদিকে, এ ঘটনাকে ‘মব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়ে তা ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে সেনাবাহিনী বাধ্য হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর।
আরও পড়ুন: কাকরাইলের ঘটনায় যা বলল আইএসপিআর
সেনাপ্রধানের উদ্দেশে রাশেদ বলেন, ‘আমরা সেনাপ্রধানকে দোষারোপ করতে চাই না। কিন্তু আপনাকে এর জবাব দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাপ্রধানকে কৈফিয়ত দিতে হবে, এ হামলা আপনার নির্দেশে হয়েছে নাকি আপনার অগোচরে হয়েছে।’
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার কাছেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। অধ্যাপক ইউনূসের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই হামলা কি খোদা বকসের নির্দেশে হয়েছে নাকি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে হয়েছে; নাকি আপনার নির্দেশনায় হয়েছে— ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার জবাব দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি জবাব না দেন, তাহলে পরবর্তীতে যদি কোনো অঘটন ঘটে, আমরা যদি আইন হাতে তুলে নেই, তার জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।’