রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন।
গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গেন্ডারিয়া থেকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজবাহ মারা যায়। তার শ্বাসনালী ও পুড়ে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, মেজবার বাবা মোসলেম উদ্দিনের শরীরের ৯০ শতাংশ ও মা সালমা বেগম ৫৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: সিলেটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
নিহত মেসবাহর বোন তাসনুভা বলেন, ‘আমার বাবা-মা ভাইসহ গেন্ডারিয়ার হরিচরণ রোডের দ্বিতীয় তলায় থাকেন। বাসার পাশেই বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। মাঝরাতে হঠাৎ ট্রান্সফরমারে একটি বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে বাসায় আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাবা-মা ও ভাই তিনজনই দগ্ধ হয়। আজ (গতকাল) ভোরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে আমার ভাই মেজবাহ মারা যায়।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গেন্ডারিয়া হরিচরণ রোডের বাসায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়েছিলেন— মোসলেম উদ্দিন (৬৫), তার স্ত্রী সালমা বেগম (৫০) ও তাদের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন (২৮)।