বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনো ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি। তিনি আবেদন করলেই সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত ইস্যু করবে।
সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার ছেলের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হলেও সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি বলে জানান তিনি।
তার কথায়, তারেক রহমানের পরিবার বা বিএনপির পক্ষ থেকেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে এখনো সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার।
এর আগে, গেল রবিবারও (৩০ নভেম্বর) তিনি জানিয়েছিলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার এক দিনের মধ্যেই ‘ওয়ান-টাইম ট্রাভেল পাস’ প্রদান করতে সক্ষম। তার ভাষ্যে, ‘আজ জানালে কালই আমরা পাস দিতে পারব, আর পরশুদিনই তিনি দেশে ফেরার ফ্লাইটে উঠতে পারবেন।’
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন তারেক রহমান। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান এবং তার কয়েক দিন পরই (১১ সেপ্টেম্বর) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সরকারের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা পুরোপুরি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, আর এ বিষয়ে যে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেলেই সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।