ঈদের ছুটি শেষে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কর্মচারীরা। সচিবালয়ে গণজমায়েত করার ও তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা সচিবালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলায় জড়ো হবেন কর্মচারীরা। গণজমায়েতের পর স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।’
এ ছাড়া, আজ (সোমবার) গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
সেখানে ১৯৭৯ সালের অর্ডিনেন্সের মতো অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও হাস্যকর আখ্যা দিয়ে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের জন্য গণজমায়েতে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
কর্মচারী নেতারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনা জন্য আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। একারণে তারা আজ থেকে আবার আন্দোলনে যাচ্ছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত
এর আগে, গত ২৫ মে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। তার আগে, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়।
এরপর, ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।