আন্দোলন
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এ সেবায় বাধা দেওয়া বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের দাবিসমূহ সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণছুটিতে
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এবং গণছুটির নামে অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন এসে দাবি আদায়ে রোববার থেকে গণছুটিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
৮৮ দিন আগে
বাকৃবি: ২ দাবি মেনে নিল প্রশাসন, আন্দোলন সাময়িক স্থগিত
ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দুটি দাবি মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) প্রশাসন। বাকি চারটি দাবির বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আপাতত আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আলোচনা শেষ হয়। এ সময় বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানোর পর চলমান ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
আলোচনায় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ছয় দফা দাবির প্রথম দুটি মেনে নেওয়া হয়েছে, বাকি চার দাবি নিয়ে আলোচনা চলবে।
আলোচনা শেষে বাকৃবির ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন থেকেই হলে থাকতে পারবেন। আগামীকাল (আজ বুধবার) সিন্ডিকেট মিটিংয়ের ব্যবস্থা করে বিজ্ঞপ্তি আকারে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হবে। তাছাড়া আগামী সাত দিনের মধ্যে ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তবে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তই বলবৎ থাকবে বলে জানান এই শিক্ষক।
আরও পড়ুন: বাকৃবির একাডেমিক কাউন্সিল সভার পরবর্তী ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি আরও জানান, বহিরাগতদের হামলায় শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ এন এম এহসানুল হক হিমেল জানান, কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। পরবর্তীতে এই বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির পক্ষেই আমরা অবস্থান করছি। তবে আগামীকাল আমরা কোনো আন্দোলন কর্মসূচি রাখিনি।’
আন্দোলনরত আরেক শিক্ষার্থী শিবলী জানান, আন্দোলনে যেসব শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, তাদের প্রশাসনিক বা অ্যাকাডেমিক কোনো ধরনের হ্যারাসমেন্ট করা হবে না বলে উপাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা লিখিত চাইলে উপাচার্য আজকের (বুধবার) মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান বলে উল্লেখ করেন এই শিক্ষার্থী।
৯৩ দিন আগে
বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার সংরক্ষণের আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান
অভিন্ন নদীগুলো থেকে ভারত এক তরফা পানি সরিয়ে নেওয়ায় বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ায় যৌথ নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন নদী গবেষক পরিবেশকর্মীরা।
শনিবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মৌলানা আকরম খান হলে পানি অধিকার যোদ্ধা আতিকুর রহমান সালু স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহ্বন জানান।
বক্তরা বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার সংরক্ষণের আন্দোলন আরো বেগবান করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভারতের সঙ্গে ৫৪টি যৌথ নদীর মধ্যে গঙ্গা ছাড়া অন্য কোনটির পানি ব্যবস্থাপনার চুক্তি নেই। গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ ডিসেম্বরে শেষ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা মুখবন্ধসহ আতিকুর রহমান সালু স্মারকগ্রন্থে মোট ৩০টি লেখায় তার সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার আন্দোলনে তার আপোষহীন সংগ্রাম একটা অতূলনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে যুগযুগ ধরে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বলেন, কোনো চুক্তি বা বোঝাপড়া ছাড়া উজানের দেশ ভারত সকল যৌথ নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মওসুমে পানির প্রবাহ সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে এক মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করে চলেছে। অন্যদিকে বর্ষা মওসুমে বানের পানি বিনা নোটিশে ছেড়ে দিয়ে সৃষ্টি করছে প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও নদী ভাঙ্গন। অথচ বর্তমান বিশ্বে যৌথ নদীর পানি সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে বেসিনভিত্তিক যৌথ ব্যবস্থাপনায়, যেন উজান ও ভাটির সকল দেশ তার সুফল পায়। পাশাপাশি নদীগুলো হিমালয়ের উৎপত্তিস্থল থেকে সাগর পর্যন্ত জীবন্ত থাকে।
পড়ুন: যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
তারা বলেন, আতিকুর রহমান সালুর লক্ষ্য ছিল ২০০৫ সালের ৪ মার্চ চিলমারিতে অনুষ্ঠিত দশ লাখ লোকের সমাবেশের মতো আরেকটি বড় সমাবেশ আয়োজন করে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের দাবি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা এবং এ জীবন-মরণ সমস্যার সমাধানে ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ করা। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের পরেই ১৯৭৭ সালের ভারসম্যপূর্ণ গঙ্গা পানি চুক্তি সই সম্ভব হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি), বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,আইএফসি, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহরিয়া আখতার বুলু, আতিকুর রহমান সালুর সহধর্মিণী ও স্মারক গ্রন্থের প্রকাশক ফরিদা ইউসুফজাই, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তফাফিজুর রহমান ইরান ও স্মারক গ্রন্থের সম্পাদক কামরুল হুদা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক আইএফসির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান এবং সঞ্চালনা করেন আইএফসি, বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিউইর্য়কস্থ ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা গিয়াস আহমেদ, অধ্যক্ষ শেখ ফিরোজ আহমদ, অধ্যাপক ইসরারুল হক, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, জামালউদ্দিন জামাল, রফিকুল ইসলাম আজাদ ও আতাউর রহমান আতা
১২৪ দিন আগে
দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
পড়ুন: ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার মামলা খারিজ
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এদেশ থেকে তাড়াতে, ভাগাতে বাধ্য করেছিলাম। আমরা ইনশাআল্লাহ ঐক্যবদ্ধভাবে যদি আবারও রাস্তায় নামি—তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ, কোনো সন্দেহ নাই।
দলটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী মাওলানা আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, জামায়াতের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম ২ আসনের ইসলামি আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নুর বকত প্রমুখ।
১৬৬ দিন আগে
সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ফের আন্দোলন
ঈদের ছুটি শেষে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেছেন কর্মচারীরা। সচিবালয়ে গণজমায়েত করার ও তিনজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
সোমবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা সচিবালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বাংলাদেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাদামতলায় জড়ো হবেন কর্মচারীরা। গণজমায়েতের পর স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পরে ঐক্য ফোরামের নেতারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।’
এ ছাড়া, আজ (সোমবার) গণজমায়েতে অংশ নিতে ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
সেখানে ১৯৭৯ সালের অর্ডিনেন্সের মতো অমানবিক, অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও হাস্যকর আখ্যা দিয়ে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অবিলম্বে বাতিলের জন্য গণজমায়েতে অংশ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
কর্মচারী নেতারা জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনা জন্য আইন উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হলেও কমিটি তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। একারণে তারা আজ থেকে আবার আন্দোলনে যাচ্ছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন স্থগিত
এর আগে, গত ২৫ মে চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে এমন বিধান রেখে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। তার আগে, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়।
এরপর, ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
১৭২ দিন আগে
টানা বৃষ্টি ও আন্দোলন-অবরোধে রাজধানীর নাগরিক ভোগান্তি চরমে
টানা বৃষ্টি এবং আন্দোলন-অবরোধে রাজধানী ঢাকাবাসীর নগর জীবন বিষিয়ে উঠেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে যানবানবাহনের গতি কমে গিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ঢাকায় চলমান বিভিন্ন আন্দোলন ও সড়ক অবরোধের কারণে যানজটের মাত্রা বেড়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।
বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র দাবদাহের পর গত কয়েক দিন থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালেও ঢাকায় বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিন সকালে ঢাকায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টানা মৌসুমি বর্ষণে ঢাকার অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কগুলোরও অনেকাংশ তলিয়ে যায়। কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এলেও ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এদিন সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে ধীর হয়ে গেছে যানবাহনের গতি।
এদিকে, বিভিন্ন দাবিতে ঢাকার কয়েকটি স্থানে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজধানীর শাহবাগ থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন।
একই সময়ে, সকাল ১০টা থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবন থেকে হাইকোর্ট এলাকা ও মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে তীব্র যানজট; সবকিছু মিলিয়ে নাকাল নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও অফিসফেরত, পথচারী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। অফিসকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। ছাতা থাকলেও ভারি বর্ষণের কারণে আধভেজা হয়ে অফিসের পথে রওনা দিতে হয় অনেককে।
আরও পড়ুন: একটু বৃষ্টিতেই হাঁটুজল ঢাকায়, নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে
এদিন ভারি বৃষ্টিপাতে নিউমার্কেট এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা ও তীব্র যানযট সৃষ্টি হয়। এতে জনবহুল নিউমার্কেটের স্বাভাবিক ব্যবসা কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে আলী খান নামে নিউমার্কেট এলাকার এক হকার বলেন, ‘সকালে মাত্র দোকান খুলেছি, তার কিছু পরেই বৃষ্টি নামল। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় পানি উঠে যায়, দোকানপাট খোলা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘গত ৪-৫ বছর ধরেই নিউমার্কেট এলাকার এই অবস্থা দেখে আসছি। সিটি করপোরেশন এই বিষয়ে অবশ্যই জানে, তারপরও তারা এ নিয়ে কোনো কাজ করে না। এ কারণে আমাদের কষ্টও আর ফুরায় না।’
১৯৬ দিন আগে
টানা আন্দোলন-বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি চরমে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও বৃষ্টিতে রাজধানীর কাকরাইল মোড়সহ আশেপাশের কিছু রাস্তা বন্ধ থাকায় তীব্র যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী।
গুলিস্তান থেকে মৌচাক যাচ্ছিলেন নাজিয়া। এসময় তিনি বলেন, ‘আজকে শাহবাগে কোনো আন্দোলন না থাকলেও কাকরাইলে আন্দোলনের কারণে রাস্তা বন্ধ। পাশাপাশি বৃষ্টির জন্য রাস্তায় পানিও জমে আছে।’
তিনি বলেন, ‘রাস্তা বন্ধ থাকলে উল্টো রুটেও কিছু গাড়ি ঢুকে যায়। আর অটোরিকশা তো আছেই! যখন যেখানে পারছে, ঢুকে যাচ্ছে।’
এসব ভোগান্তি ঠেলে কোনোরকমে আড়াই ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছেছেন বলে জানান এই যাত্রী।
আরও পড়ুন: জবির চলমান আন্দোলনে যোগ দিলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর মগবাজার থেকে নিয়মিত কাপ্তানবাজারে যান বেসরকারি চাকরিজীবী আবির। তবে বাসা থেকে বেরিয়েই যেন বিপাকে পড়েছেন তিনি। গুলিস্তানগামী কোনো বাস চোখেই পড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো বাস পেলাম না। যেগুলা আছে, সেগুলোও ফুল লোড। এদিকে, শান্তিনগর থেকে কাকরাইল সড়কও বন্ধ। পরে ইস্কাটন দিয়ে রিকশা দিয়ে সেগুনবাগিচা গিয়ে সেখান থেকে প্রেস ক্লাব মোড়ে যাই। সেখান থেকে কাপ্তানবাজারের রিকশা নিয়ে দেখি গুলিস্তানের রাস্তা বন্ধ! পরে রিকশা থেকে নেমে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে হয়েছে।’
রমনা থানার ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) শফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, কোন কারণে রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করে যথাসম্ভব যানজট কমিয়ে আনার চেষ্টা করি। ঢাকায় চলাচলের প্রধান রাস্তা হলো উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ থেকে উত্তর। বাকি সবগুলো রাস্তা সংযুক্ত।
তিনি জানান, ‘সকালের দিকে উত্তর থেকে দক্ষিণে এবং বিকালে দক্ষিণ থেকে উত্তরে গাড়ি চলাচল বেশি হয়। কোনো রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের পরামর্শ দেই।’
শফিকুল ইসলাম আরও জানান, ‘ফার্মগেট থেকে শাহবাগ হয়ে সচিবালয়ের রাস্তা, মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে মিরপুর রোড এবং রামপুরা থেকে বাড্ডা এই চারটি সড়কে বেশি গাড়ি চলাচল করে।’
‘চারটির কোনো একটি রাস্তা বন্ধ থাকলে আমরা গাড়িগুলো দিক পরিবর্তন করে দেই। এই জায়গাগুলোতে প্রতিদিনই ট্রাফিক টিম কাজ করছে’ –দাবি করেন এ ডেপুটি কমিশনার।
বুধবার (১৪ মে) থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জবি শিক্ষার্থীরা। একই দিন শাহবাগ মোড় আটকে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্দোলন করেন বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
টানা আন্দোলনে প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাস্তা বন্ধ থাকায় রাজধানীবাসীর ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
২০৩ দিন আগে
জবির চলমান আন্দোলনে যোগ দিলেন সাবেক শিক্ষার্থীরা
চার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন তারা। এ ছাড়া, গতকাল উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দিকে বোতল ছুঁড়ে মারায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথ কলেজ নাম থাকাকালীন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সাবেক নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
জবির সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর থেকেই এটি বৈষম্য ও অবহেলার শিকার হয়ে আসছে। কখনো হল আবার কখনো ক্যাম্পাস নিয়ে আমাদের আন্দোলনে যেতে হয়। যেকোনো জাতীয় আন্দোলনে জবি সবার আগেই নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু সবসময়ই দেখা যায়, দিনশেষে আমরাই বঞ্চিত। বর্তমানদের যে তিন দাবি, তা অত্যন্ত যৌক্তিক।’
এ সময় সরকারের কাছে জবি শিক্ষার্থীদের দাবি অনতিবিলম্বে মেনে নেওয়ার দাবি জানান তারা। এ ছাড়াও, মানবেতর জীবনযাপন থেকে জবি শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আবেদন জানান সাবেকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ২০ বছর ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে। আগে আন্দোলন করে কোনো লাভ হয়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হোক।’
২০৩ দিন আগে
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ভিডিও এসএসসিতে ‘অটোপাশ’ আন্দোলন বলে প্রচার
অটোপাশ চেয়ে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন বলে একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে, ‘লেগেছে, লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’।
স্লোগানের কোথাও অটোপাশ দাবি করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের হাতে একটি ব্যানার আছে। ব্যানারের সামনে মানুষ থাকায় সেটি পড়তে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে ব্যানারের উপরের অংশে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩৩ শতাংশ অবৈধ পদোন্নতি দেওয়ার প্রতিবাদে’ লেখা বোঝা যাচ্ছে। ব্যানারের মাঝের ‘পরীক্ষা বর্জন’ ও শেষে ‘রংপুর আইডিয়াল’ লেখা অংশটি বোঝা যাচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অটোপাশ দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে বলে দাবি করে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। অসংখ্য ফেসবুক গ্রুপ, আইডি ও টিকটক থেকে গেল কয়েকদিন ধরেই ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ‘এসএসসি ব্যাচ ২০২৪ অ্যান্ড ২০২৫’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমরা অটোপাশ চাই, কারণ জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনসহ পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়নি, সবাই আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো নিজ নিজ জায়গা থেকে,
আমাদের দাবি একটাই অটোপাশ চাই, অটোপাশ চাই।’
‘ড্রিমস মেডিক্যালিয়ান ইনশাআল্লাহ’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি পোস্ট করা হয়েছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা ইউএনবির ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিওটি রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের।
আরও পড়ুন: মোদির ভিডিও পোস্ট করে হাসিনাকে হিন্দোলে সরিয়ে নেওয়ার প্রচার
গেল ২১ মার্চ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিরর শিক্ষার্থীরাও তাতে অংশ নেন।
সেদিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসে যান। এ সময়ে তারা ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
প্রথমে ভিডিওটি ছড়ানো হয় টিকটকে ‘জেহাদ১৫৫কে’ নামের একটি আইডি থেকে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ক্রাফট হটাও, পলিটেকনিক বাঁচা’। পরে এটি ‘অটোপাশ’ দাবিতে আন্দোলন বলে চাপিয়ে দিতে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
২৪২ দিন আগে
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৮ম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামীকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে বিষয় করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দেশবিরোধী ও ধ্বংসাত্মক আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের গ্রেফতার করা হবে।’
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধকল্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি, টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঈদ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হবে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বস্তিতে অভিযান বৃদ্ধি করা হবে।’
যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়
ঈদের সময় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ অধিদপ্তর এবং প্রযোজ্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব কন্ট্রোল রুম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় জয়েন্ট অপারেশন সেন্টার (01320001223) এর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে।
ঈদের সময় ট্রাফিক ও যানজট নিয়ন্ত্রণে যমুনা সেতু, পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভারসহ টোলপ্লাজাগুলোতে যানজট নিরসনে ইটিসিসহ (ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ) দ্রুত টোল আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনকারী বা যাত্রীবাহী যানবাহন ব্যতীত স্থলবন্দর ও নৌবন্দরসহ যেকোনো জায়গা থেকে ছেড়ে আসা নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী ও লম্বা যানবাহনগুলো ঈদের পূর্বের তিন দিন এবং পরের তিন দিন যেন মহাসড়কে চলাচল করতে না পারে বা নৌ-রুটে ফেরি পারাপার করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করার জন্য সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করা হয় ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা হয়, সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগ, দপ্তর, সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং যাত্রী সাধারণকে সচেতন থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, টাকা স্থানান্তরে মানি এস্কর্ট প্রদান, জাল টাকার বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঈদের ছুটির পূর্বেই গার্মেন্টস/শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা হবে। অন্যথায় গার্মেন্টস/কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গার্মেন্টস কারখানা, অন্যান্য শিল্প কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী ও ইন্ধনদাতা মালিক, শ্রমিক এবং বহিরাগতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট—‘জিরো টলারেন্স’।
আরও পড়ুন: র্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে, সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া ধর্ষণ মামলার বিচার কেবল দ্রুতই নয়, বিচারটা যাতে নিশ্চিত ও যথাযথ হয় ব্যবস্থা নিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন কঠোর করা হচ্ছে। তাছাড়া সভায় মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
২৫৪ দিন আগে