‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের অনেক ধরনের অনুভূতির জন্ম হয়েছে। এই অনুভূতিগুলো বিশেষ করে সংস্কার কার্যক্রম ও আমরা যে ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে সেটা সেভাবে পূরণ হচ্ছে না। এসব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে মাঠপর্যায়ে যে ধরনের কার্যক্রম প্রয়োজন, সেটাও আমরা যথেষ্ট পরিমাণে করছি না।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ‘জুলাইয়ের বীরকন্যা’ শিরোনামে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই প্রদর্শনীতে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে অভ্যুত্থানে নির্যাতিত নারীরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘যখন একটা বিচার হয়, তখন ভাবি বাকি সমস্যাগুলো কমে আসবে। যখন একটা বিচার হয় না, তখন পরপর অনেকগুলো বিচার হয় না। আমরা আগেও দেখেছি, যখন নির্বাচনের সময় এসেছে, শুধুমাত্র ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় কীভাবে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, যেন একটা নির্দিষ্ট এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে যে, ধানের শীষে ভোট দিলে একজন নারীকে কীভাবে শাস্তি পেতে হবে। এটারও বিচার হয়নি।’
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘১৫ বছর যে জুলুমের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, সে জুলুমের বিচার আমরা কীভাবে পাব? আমরা মনে করি, এখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতিই একমাত্র ফ্যাসিস্ট তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের প্রয়োজন একজন নারী ব্রিগ্রেড। এই রেভ্যুলেশনের সমস্ত এসেন্স (নির্যাস) যারা ধারণ করবে, তারাই ব্রিগ্রেডের অংশ হয়ে উঠবে।’
‘তার জন্য নারীদের একটা সেপারেট (আলাদা) মনোযোগ প্রয়োজন। কারণ তাদের সমস্যাগুলোর একটা আলাদা মাত্রা আছে। আমাদের নারীদের যে স্পিরিটটা (চেতনা) আছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। কারণ আমাদের সামনে অনেক বড় লড়াই আছে।’