জুলাই
জুলাইয়ে দেশের অর্থনীতির গতি বেড়েছে, পিএমআই ৮.৪ পয়েন্ট
চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রকাশিত দেশের ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচকে (পিএমআই) উঠে এসেছে।
এতে দেখা যায়, জুন মাসের তুলনায় পিএমআই ৮ দশমিক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬১ দশমিক ৫ এ পৌঁছেছে। এটি মূলত অর্থনৈতিক কার্যকলাপে একটি শক্তিশালী সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ (পিইবি) যৌথভাবে জুলাই পিএমআই প্রকাশ করেছে। যাতে দেশের অর্থনৈতিক দৃশ্যপটের প্রতি ক্রমবর্ধমান আস্থার প্রতিফলন উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা ও সিঙ্গাপুর ইনস্টিটিউট অব পারচেজিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট (এসআইপিএমএম) এর কারিগরি সহায়তায় প্রস্তুত করা বাংলাদেশ পিএমআই একটি অগ্রণী উদ্যোগ। এটি ব্যবসা, বিনিয়োগকারী এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য সময়োপযোগী, নির্ভরযোগ্য অবস্থা তুলে ধরতে উদ্যোগটির নকশা করা হয়েছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনার শর্তবলি প্রকাশযোগ্য নয়: অর্থ উপদেষ্টা
প্রতিবেদন অনুসারে, সর্বশেষ পিএমআই সূচক মূলত উৎপাদন ও পরিষেবা খাতে দ্রুত সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।
নির্মাণ খাতও প্রবৃদ্ধিতে ফিরে এসেছে। অন্যদিকে কৃষি খাত যদিও এখনও সম্প্রসারিত হলেও মৌসুমী কারণ ও বন্যার প্রভাবে ধীরগতি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
উৎপাদন খাতে টানা ১১ মাস বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে—যেখানে নতুন কার্যাদেশ, কারখানার উৎপাদন, উপকরণ ক্রয়, সমাপ্ত পণ্য, আমদানি এবং সরবরাহকারী সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে বৃদ্ধি দেখা গেছে। তবে, কর্মসংস্থান এবং নতুন রপ্তানির সূচকগুলো সংকোচন দেখিয়েছে।
পরিষেবা খাতে, জুলাই মাসে টানা দশম মাসের মতো বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে সমস্ত প্রধান সূচক—নতুন ব্যবসা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, কর্মসংস্থান, উপকরণ খরচ এবং অর্ডার ব্যাকলগ—দ্রুত হারে প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত হয়েছে।
জুন মাসে প্রথমবারের মতো সংকোচনের পর নির্মাণ খাত জুলাই মাসে পুনরুদ্ধার করেছে। মাসটিতে নতুন ব্যবসা, নির্মাণ কার্যকলাপ, উপকরণ খরচ এবং অর্ডার ব্যাকলগের সম্প্রসারণ হয়েছে—যদিও কর্মসংস্থান হ্রাস অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে, কৃষিখাত তার দশম মাসের বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তবে তা ধীর গতিতে। নতুন ব্যবসা এবং উপকরণ খরচসহ বেশিরভাগ উপসূচক, ধীর প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে এবং কর্মসংস্থান আরও সংকুচিত হয়েছে।
পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য শুল্ক ২০ শতাংশ করা স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতি
ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি কৃষি, উৎপাদন ও পরিষেবাগুলোতে ধীর বৃদ্ধি হয়েছে। এতে নির্মাণ খাত আশাব্যঞ্জক উত্থান নথিভুক্ত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বশেষ পিএমআই সূচক ইঙ্গিত দেয় যে, জুলাই মাসে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি সম্প্রসারিত হয়েছে মূলত পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধির কারণে। এর ফলে রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৭৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।’
তবে, কৃষি খাত জুলাই মাসে ধীরগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে, যা দুর্বল সময়কাল এবং বর্ষার ব্যাঘাতকে প্রতিফলিত করে বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
১১৯ দিন আগে
জুলাই মাসের কর্মসূচি থেকে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ বাদ দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী
সরকার আসন্ন জুলাই মাস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্বে ঘোষিত প্রতীকী ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ফারুকী এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন। বলেন, এই নির্দিষ্ট উদ্যোগটি নিয়ে শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ বিতর্ক ছিল।
তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই স্মরণে অনুষ্ঠানের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিল। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত।’
তিনি আরও বলেন, পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়।
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট ধারণার বিষয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।
জনগণ কর্মসূচি নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে।
ফারুকী লিখেছেন, ‘অন্যান্য সমস্ত কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। আসুন পুনরায় সংযোগ স্থাপন করি, পুনর্গঠন করি এবং জুলাইয়ের আসল চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করি।’
পড়ুন: আমাকে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের চাকরি গেছে, এটি হাস্যকর: ফারুকী
১৫৪ দিন আগে
জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকবে
জুলাই মাসেও জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকছে। রবিবার (২৯ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় ঘোষিত মূল্য তালিকা অনুযায়ী, জুন মাসের মতো জুলাইয়েও প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১০২ টাকা, কেরোসিনের মূল্য ১১৪ টাকা, পেট্রোলের মূল্য ১১৮ টাকা ও অকটেনের মূল্য ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর পদক্ষেপ: বিবৃতি
এর আগে, জুন মাসে প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য ১০৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা, পেট্রোলের দাম ১২১ টাকা থেকে কমিয়ে ১১৮ টাকা ও অকটেনের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা করা হয়। তবে কেরোসিনের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। জুলাই মাসের জন্য কেরোসিনে তেলের দামও অপরিবর্তিত থাকবে।
১৫৮ দিন আগে
জুলাই থেকে কলেজ শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে: শিক্ষা উপদেষ্টা
আগামী জুলাই মাস থেকে কলেজ শিক্ষকদের বদলি সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'বদলি, পদোন্নতি এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের মতো কাজে যেন শিক্ষকরা হয়রানির শিকার না হন, এই প্রক্রিয়াগুলো আরও সহজ ও স্বচ্ছ করা হচ্ছে। আগামী জুলাই থেকে কলেজে অনলাইন বদলি ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এরই মধ্যে যার ডামি প্রেজেন্টেশন এখানে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের সেখানে রাখা হয়েছিল।'
উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা মনে করি এতে শিক্ষকদের বদলির অনেক সমস্যা দূর করা যাবে। এখানে সাবজেক্টিভ এলিমেন্ট প্রশাসকরা যাতে তাদের ইচ্ছামত না করে নিয়ম-নীতির মধ্যে... একেবারেই শক্ত একটা ব্যবস্থা আমরা চালু করতে পারব ১ জুলাই থেকে। একইভাবে আমরা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকদের বদলির সেই ব্যবস্থা আমরা কয়েক মাসের মধ্যে চালু করব।'
'শিক্ষকদের বদলি ট্রান্সপারেন্ট এবং অ্যাকাউন্টেবল করা যথেষ্ট সম্ভব। সেই ব্যবস্থাটা নেওয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় বাধা দূর করতে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেব: শিক্ষা উপদেষ্টা
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, 'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তি শিক্ষকরা। তারা শুধু পাঠদানের জন্য নন, তারাই হলেন নেতৃত্ব, মূল্যবোধ ও নতুন প্রজন্ম গঠনের কারিগর। এই বিশ্বাস থেকে আমরা শিক্ষকদের রূপান্তরের কেন্দ্রে রাখতে চাই। আমরা চাই এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, যেখানে শিক্ষকরা স্বীকৃতি মর্যাদা ও পেশাগত স্বাধীনতা পাবেন।'
তিনি বলেন, 'শিক্ষকরা যাতে নীতি নির্ধারণী ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পান—সেই ব্যবস্থা করতে আমরা চেষ্টা করব।'
অভিযোগ আছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এসে শিক্ষকরা অসম্মানিত হন—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, 'কাউকে অসম্মান করার বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।'
১৮৩ দিন আগে
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার মাধ্যমে জুলাই মাসের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সোমবার (২৬ মে) ঢাকায় সংসদ ভবনের এল. ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্য অগ্রগতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের কাজের অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদন পাঠ করেন৷
এতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কিত ছয়টি কমিশনের প্রতিবেদনের অনুলিপি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোকে পাঠানো হয়। গত ৫ মার্চ কমিশনের চুড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল এবং জোটের কাছে মতামত প্রদানের জন্য পাঠানো হয়৷ যার মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ছিল ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয়ে ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সুপারিশ ২০টি৷ পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রশাসনিক স্বিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে এই কমিশনের সুপারিশ স্প্রেডশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির আশ্বাস আলী রীয়াজের
কমিশনের প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, দলগুলোর মতামত পাওয়ার পাশাপাশি গত ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা শুরু করে কমিশন এবং ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে গত ১৯ মে পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশন মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশন করে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের আলোচনায় অনেক বিষয়ে যেমন ঐকমত্য হয়েছে এবং বেশকিছু বিষয়ে মতভিন্নতাও রয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, নারীদের জন্য ১০০ আসন, বিদ্যমান পাবলিক সার্ভিস কমিশন পুনর্গঠন করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট তিনটি পাবলিক সার্ভিস গঠনসহ অনেকগুলো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে কমিশনের প্রতিবেদনে জানানো হয়৷ দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষে মতপার্থক্যের বিষয়গুলো সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর চুড়ান্ত অবস্থান জানাতে পারবে বলে আশা করে কমিশন৷
মতবিনিময়কালে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা শুরু করতে চায় কমিশন এবং এই আলোচনা হবে বিষয়ভিত্তিক। তিনি বলেন, সকল বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, কিন্তু যেসব মৌলিক বিষয়ে এখনো মতভিন্নতা রয়েছে সেসব বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্যই দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করবে কমিশন৷
উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আগামী ১৫ আগস্ট এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে৷
১৯২ দিন আগে
জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে
চলতি বছরের জুলাই থেকে আইএসপি (ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী) এবং আইআইজি (আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে) স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তাইয়্যেব।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(১৫ মে) আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফয়েজ তাইয়্যেব এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ১ জুলাই থেকে আইএসপি এবং আইআইজি স্তরে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমানো হবে। পরবর্তীতে ভোক্তা পর্যায়েও দাম কমানো হবে।
তাইয়্যেব মোবাইল অপারেটরদের এই উদ্যোগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার আহ্বান জানান। ‘আমাদের লক্ষ্য নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া।’
আরও পড়ুন: দেশে ৩ স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জহুরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ-উল-বারী উপস্থিত ছিলেন।
২০৩ দিন আগে
শাবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু জুলাইয়ে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। শনিবার ( ১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভারতে মুসলিমদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেই সব আসন পূরণ হয়েছে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পহেলা জুলাই থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের সব আসনে ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি কিছু আসনে ভর্তি বাতিল হচ্ছে। এজন্য ১৫ দিনের মত সময় নিয়ে খালি আসনের বিপরীতে আরেকবার ভর্তির জন্য ডাকা হবে।
২০৮ দিন আগে
আ.লীগকে নিষিদ্ধে জুলাই আহতদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সংগঠন ওয়ারিয়র্স অব জুলাই।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই আল্টিমেটাম দেন তারা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে ‘রাজধানী ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানায় সংগঠনটি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় থেকে ঘোষণা অথবা সিদ্ধান্ত চান বলে জানান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহতরা। এই সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিশ্রুতি না এলে ৪৮ ঘণ্টা পর সারা দেশ থেকে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে বাইপাস সড়ক নির্মাণ বন্ধে চার দিনের আল্টিমেটাম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনারে তাদের সেই অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে তাদের পরিস্থিতিও একই হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই আন্দোলনে আহত সুজন নামে এক যুবক বলেন, ‘হাসিনার এই গণহত্যাকারী দল গত ১৭ বছরে অনেক মা-বোনকে কাঁদিয়েছে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়, তাহলে আবার চব্বিশের জুলাইয়ের মতো আন্দোলন হবে।’
‘আমরা মৃত্যুকে ভয় পাইনা। যতদিন জীবিত আছি, আওয়ামী লীগকে এই বাংলাদেশে ফিরতে দেব না।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নতুন করে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়াতেও নিষেধ করেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা।
২৫৭ দিন আগে
‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর অনেক ধরনের অনুভূতির জন্ম হয়েছে’
‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমাদের অনেক ধরনের অনুভূতির জন্ম হয়েছে। এই অনুভূতিগুলো বিশেষ করে সংস্কার কার্যক্রম ও আমরা যে ধরনের আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখেছিলাম, সেগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে সেটা সেভাবে পূরণ হচ্ছে না। এসব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে মাঠপর্যায়ে যে ধরনের কার্যক্রম প্রয়োজন, সেটাও আমরা যথেষ্ট পরিমাণে করছি না।’
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ‘জুলাইয়ের বীরকন্যা’ শিরোনামে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই প্রদর্শনীতে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে অভ্যুত্থানে নির্যাতিত নারীরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘যখন একটা বিচার হয়, তখন ভাবি বাকি সমস্যাগুলো কমে আসবে। যখন একটা বিচার হয় না, তখন পরপর অনেকগুলো বিচার হয় না। আমরা আগেও দেখেছি, যখন নির্বাচনের সময় এসেছে, শুধুমাত্র ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় কীভাবে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, যেন একটা নির্দিষ্ট এলাকায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে যে, ধানের শীষে ভোট দিলে একজন নারীকে কীভাবে শাস্তি পেতে হবে। এটারও বিচার হয়নি।’
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থানে শিশুমৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ, সুরক্ষা ও জবাবদিহি চায় ইউনিসেফ
তিনি বলেন, ‘১৫ বছর যে জুলুমের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে, সে জুলুমের বিচার আমরা কীভাবে পাব? আমরা মনে করি, এখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, জবাবদিহিহীনতার সংস্কৃতিই একমাত্র ফ্যাসিস্ট তৈরি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমাদের প্রয়োজন একজন নারী ব্রিগ্রেড। এই রেভ্যুলেশনের সমস্ত এসেন্স (নির্যাস) যারা ধারণ করবে, তারাই ব্রিগ্রেডের অংশ হয়ে উঠবে।’
‘তার জন্য নারীদের একটা সেপারেট (আলাদা) মনোযোগ প্রয়োজন। কারণ তাদের সমস্যাগুলোর একটা আলাদা মাত্রা আছে। আমাদের নারীদের যে স্পিরিটটা (চেতনা) আছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। কারণ আমাদের সামনে অনেক বড় লড়াই আছে।’
২৮৫ দিন আগে
জুলাই চার্টারের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কখন হবে: শফিকুল আলম
আগামী জাতীয় নির্বাচন এ বছরের শেষ নাগাদ, নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে; তা নির্ভর করছে জুলাই চার্টারের ওপর বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে কিছু কিছু সুপারিশ তিনি তুলে ধরেন।
রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে নির্বাচনের কথা বলছে, সেখানে বর্তমান সরকার কী এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে, প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রথম থেকে বলছেন ছয়টি বড় সংস্কার কমিশন যে সুপারিশগুলো করবে, সেটা নিয়ে একটি ঐকমত্য কমিশন করেছে অন্তবর্তী সরকার। সেই কমিশনের প্রধান হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা নিজেই।’
‘ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ। বাকি পাঁচটা কমিশন প্রধান এটার সদস্য। এই ছয়টি কমিশনের পুরো প্রতিবেদন নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবে ঐকমত্য কমিশন। তারপর একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে কতটুকু সংস্কার দ্রুত করতে হবে, কতটুকু পরে করা যাবে—কতটুকু করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার দরকার।’
তিনি বলেন, ‘যেসব সুপারিশে সবাই একমত হবে, রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে সই করবে। এরপর যেটা দাঁড়াবে, সেটা হবে জুলাই চার্টার। সেটার বাস্তবায়ন বর্তমান সরকার কিছু করবে, পরবর্তী সরকার কিছু করবে। আর সেই বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে—নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ নাকি আগামী বছরের জুনের মধ্যে হবে।’
আরও পড়ুন: নারী ফুটবলারদের বকেয়া বেতন দ্রুত পরিশোধের আশ্বাস শফিকুল আলমের
ছয়টি কমিশনের মধ্যে চারটির প্রতিবেদন গেল ডিসেম্বরের শেষ দিকে জমা দেওয়া হয়। আর আজ জমা দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন ও প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন।
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন করার প্রস্তাব
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিশনের সুপারিশে—এমন তথ্য দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘যদিও আগের সরকারগুলো বলেছে যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কার্যত বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কোনোদিনও স্বাধীন ছিল না। নতুন প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে পুরোপুরি ও কার্যকরভাবে স্বাধীন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘৩৫১ পাতার এই প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংস্কারও লাগবে। বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা আনতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছেন। তার আলোকে কিছু কাজও রয়েছে। আপনারা দেখেছেন বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালার কথাও এসেছে সুপারিশে।’
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস
বিচার বিভাগীয় কমিশনের সুপারিশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সুপারিশ হচ্ছে, স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস করা। বিশ্বের অনেক দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস আছে। সারা দেশে প্রায় চার হাজার পাবলিক প্রসিকিউটর আছেন। এই পুরো পাবলিক প্রসিকিউটর আসলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অনুগতদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিয়ে এসেছে। কিন্তু স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস এলে আগের সেই চর্চা আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে যেভাবে রিক্রুট হয়, সেভাবে এটা হবে। এটির মূল কারণ হলো—আদালতে ফৌজদারির মামলার ৪০ শতাংশ সরকারই দাখিল করে, দেখা যাচ্ছে পুলিশ এটা করে। পরে সরকারকে এই মামলাগুলো লড়তে হয়। এতে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস যাতে ভালো হয়, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।’
স্বাধীন তদন্ত সংস্থা
এছাড়াও প্রতিবেদনে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছে বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব অপরাধ হয়, পুলিশই সেগুলোর তদন্ত করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুলিশকে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবহার করে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে তদন্ত করা হয়। আমরা অনেক দেখেছি, বাংলাদেশের বড় বড় মামলাগুলো পুলিশি তদন্তের কারণে কীভাবে কলুষিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তগুলো খুবই রাজনৈতিক, অনেকক্ষেত্রে এগুলো ম্যানিপুলেট করা যায়।’
আরও পড়ুন: হাসিনার বিচার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার: শফিকুল আলম
শফিকুল আলম বলেন, এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী বেঞ্চকে তারা ডিভিশনে (বিভাগীয় শহরে) সেটআপ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। আগের হাইকোর্ট দেখেন, ১৯৭১ সালের পরে যে হাইকোর্ট, সেই একই হাইকোর্ট, একই জায়গায় আছে। এ জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো বাড়িয়ে বিভাগে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পুরো উপজেলা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গরিব মানুষের জন্য আইনি সহায়তা আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। এই কাজটা যাতে গ্রাম পর্যন্ত চলে যায়, এমন সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ গ্রামগুলো এখন বড় হচ্ছে। আধুনিক জীবনের অনেক বিষয় এসে গেছে সেখানে। যে কারণে সেখানে অনেক মামলা হয়,’ বলেন প্রেস সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, আর আইনজীবীদের রাজনীতি নিয়ে একটি নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।
৩০২ দিন আগে