মহামারি সম্পর্কে সতর্ক হচ্ছেন সাধারণ মানুষও, যার ফলে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। তবে অ্যালকোহল থাকায় স্যানিটাইজার থেকে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকির বিষয়টিও উপেক্ষা করা উচিত নয়।
চলুন জেনে নেয়া যাক, মহামারি চলাকালীন কীভাবে আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করে নিরাপদে স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে।
ব্যবহারের পর হাত শুকিয়ে ফেলা:
অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজারে আগুনের ঝুঁকি এবং জ্বলনযোগ্য বাষ্প ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই হাতে স্যানিটাইজার প্রয়োগ করার পর, উভয় হাত পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত ঘষতে থাকুন।
আগুনের উৎস থেকে দূরে রাখা:
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল আগুনের যেকোনো উৎস থেকে দূরে রাখতে হবে। বাড়িতে ব্যবহারের সময়, হাতে স্যানিটাইজার প্রয়োগের পরপরই গ্যাসের চুলা বা মোমবাতির আগুন থেকে সতর্ক থাকুন। বিশেষত, ধুমপায়ীদের অবশ্যই অ্যালকোহলভিত্তিক স্যানিটাইজার হাতে দেয়ার পর ধুমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
রাসায়নিক দ্রব্য থেকে দূরে রাখা:
বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পাশাপাশি অন্যান্য রাসায়নিক পণ্য রাখার ক্ষেত্রে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ এতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়।
গরম যানবাহন এবং সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন:
একটি গরম যানবাহন/গাড়ির ভেতরে কি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল রাখা নিরাপদ? গাড়ির ভেতরের গরম পরিবেশে এটি তেমন ঝঁকিপূর্ণ না হলেও, বিস্ফোরণের ঝুঁকি হ্রাস করতে স্যানিটাইজারের বোতলটিকে গাড়িতে সোজাভাবে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যাতে কোনোভাবে বোতল থেকে স্যানিটাইজার গড়িয়ে বাইরে না পড়ে।
সংরক্ষণে সাবধানতা:
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ঘরে নিরাপদে রাখার জন্য তাপমাত্রা তুলনামূলক ঠান্ডা এমন স্থান বেছে নিন। আগুনের ঝুঁকি এড়াতে অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার এমন জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত নয় যেখানে তাপমাত্রা ৭৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
এছাড়া স্যানিটাইজারের ব্যবহৃত বোতলে জ্বলনযোগ্য বাষ্প বা জেলগুলো অবশিষ্টাংশের মতো থাকতে পারে। আর এই উপাদানগুলো যদি কোনো আগুনের উৎসের সংস্পর্শে আসে তবে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহারের পর যথেষ্ট পরিমাণে ঠান্ডা পানি দিয়ে ব্যবহৃত স্যানিটাইজারের বোতলগুলো ধুয়ে ফেলতে হবে।