টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর আবারও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। এতে করে একদিকে কমেছে সূচক, অন্যদিকে দর নেমে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
গত কার্যদিবসের বছরের সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন একদিনের মাথায় আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ কোটি টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—সবকটিতেই ছিল কোম্পানিগুলোর দরপতনের প্রাধান্য। বিশেষ করে, ভালো কোম্পানির শেয়ার নামে খ্যাত ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দরবৃদ্ধি এবং অপরিবর্তিতের তালিকায় ছিল সিংহভাগ কোম্পানি। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টি কোম্পানির।
এদিন সরকারি ৪ করপোরেট বন্ডের সবকটির দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া একটি সরকারি সিকিউরিটিজেরও।
আরও পড়ুন: রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ২৭টি কোম্পানির ২৬ লাখ শেয়ার ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারা দিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
চট্টগ্রামেও পতন
ডিএসইর মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই)। সকালে উত্থান দিয়ে শুরু করলেও দিনের শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ মোট ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।
অন্যদিকে, ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।