উত্থান
পুঁজিবাজার: টানা উত্থানে সপ্তাহ শেষ হলো ঢাকা-চট্টগ্রামে
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামে সূচকের বড় উত্থান হয়েছে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ঢাকার বাজারে এই সপ্তাহে তিন দিনই লেনদেন হয়েছে ৬০০ কোটি টাকার ওপরে।
সারাদিনের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট করে।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ৬৭৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৬৯০ কোটি টাকা।
ডিএসইতে সূচক এবং লেনদেনের পাশাপাশি দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিরই শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে লভ্যাংশ দেওয়া ভালো কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৪ কোম্পানির মধ্যে ১০১টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ৩৩ কোম্পানির ১৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আলহাজ টেক্সটাইল মিলস সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
৯.৯৯ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষে আছে রহিম টেক্সটাইল মিলস এবং ৬ শতাংশের ওপরে দর হারিয়ে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ঢাকার মতো সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও, সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১৮ পয়েন্ট।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ২৩০ কোম্পানির মধ্যে ১২৫টির দরবৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে ১৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪৮ কোটি টাকা।
৯ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে এপেক্স ফুডস এবং ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্স।
১৪৭ দিন আগে
সূচকের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের উত্থান দিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। এ সময় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস-৫ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
আজ দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ২৩৩টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৬০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে জুনের সর্বোচ্চ লেনদেন আজ, সূচকের বড় উত্থান
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫৬ পয়েন্ট।
সেখানে প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯৩টি কোম্পানির মধ্যে ৫৪টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
১৫৯ দিন আগে
পুঁজিবাজারে উত্থানের মুখ দেখলো ঢাকা, পতন চট্টগ্রামে
টানা দুই দিন পতনের পর ঢাকার পুঁজিবাজারে উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রামে। তবে দুই বাজারেই বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯০ কোম্পানির দাম বেড়েছে বেশিরভাগের। ২২১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১০৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৩ কোম্পানির মধ্যে ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৭০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ১৩ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির।
৩১ কোম্পানির ২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড সর্বোচ্চ ১১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৯৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৮৮ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফুওয়াং ফুড। অন্যদিকে ৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইউসিবি ব্যাংক।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় উত্থান, পরের ঘণ্টায় পতন
চট্টগ্রামে পতন
ঢাকায় উত্থান হলেও সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯, কমেছে ৬৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শমরিতা হাসপাতাল এবং ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
১৯৮ দিন আগে
পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় উত্থান, পরের ঘণ্টায় পতন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান হলেও লেনদেনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় সূচক কমেছে ঢাকা-চট্টগ্রামের বাজারে, দাম নিম্নমুখী বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস নিম্নমুখী।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৬৪ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৪০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১৯৯ দিন আগে
উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু, সূচক বাড়লো দুই বাজারে
টানা তিন কার্যদিবসের পতন কাটিয়ে চলতি সপ্তাহে প্রথম দিনের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা দশদিন সরকারি ছুটি থাকবে। দীর্ঘ এ ছুটির সমন্বয়ে ঈদের আগে দুই শনিবার ১৭ মে এবং ২৪ মে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু রাখার ঘোষণা দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সে হিসাবে চলতি সপ্তাহে শনিবার (১৭ মে) লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে, যার ধারা বজায় ছিল শেষ অবধি।
সারাদিনের লেনদেনে ডিএসই'র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ২৭৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই বেড়েছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২১৬ কোম্পানির মধ্যে ১৪৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ৫৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে। ৫ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
২৬ কোম্পানির ৩৬ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৬২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৯৬ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার শাইনপুকুর সিরামিকস। অন্যদিকে ৫.৩০ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মার্কেন্টাইল ইসলামি ইনস্যুরেন্স।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: বেহাল সূচক, ব্যাংক খাতে বিপর্যয়
উত্থান চট্টগ্রামের বাজারেও
ঢাকার মতো সূচক বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৮ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪, কমেছে ৫৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৯ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
৯.৯১ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার নিটল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এবং ৯.৮৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২০১ দিন আগে
সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার: পতনের দিন কবে ফুরাবে, প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের
উত্থান দিয়ে শেষ হলেও সামগ্রিকভাবে সপ্তাহজুড়ে ভালো যায়নি দেশের পুঁজিবাজারের হালচাল। টানা পতনে বাজারের ওপর বিতৃষ্ণা সৃষ্টি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। প্রশ্ন জেগেছে—এ বেহাল দশা থেকে কবে মুক্তি পাবে পুঁজিবাজার?
গত বুধবার ঢাকার পুঁজিবাজারে এক ধাক্কায় সূচক কমে ১৫০ পয়েন্ট, যা এ বছরের সর্বোচ্চ পতন। পরদিন শেষ কার্যদিবসে প্রধান সূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট বাড়লেও ৫০০ কোটির ঘর থেকে লেনদেনে নেমে এসেছে ৩০০ কোটির ঘরে। এতে করেই বোঝা যায়—বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
তারেক হাসান শেয়ার ব্যবসা করেন প্রায় একদশক ধরে। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘বাজারের প্রতিটি বিনিয়োগকারী হতাশ। উত্থান-পতন বিশ্বের সব বাজারেই থাকবে। কিন্তু এমন লাগামছাড়া পতনের উদহারণ বিশ্বের আর কোথাও নেই।’
আরেক বিনিয়োগকারী কাওসার হাবিব বলেন, ‘মানুষ আগে দেদারসে বাজারে বিনিয়োগ করতো। এমনকি ২০১০ সালের বড় কারসাজির পরেও বাজার এতটা নিচে নামেনি যতটা এখন। ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে প্রতিনিধিরা অলস বসে থাকে, বিনিয়োগকারীর দেখা নেই।’
আরও পড়ুন: ধস কাটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান
টানা পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা দুষছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে। তাদের ভাষ্য, ‘কমিশন নিজেই একের পর এক উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি করছে। কিন্তু বাজার বদলাতে যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা সেটি কমিশনের থেকে আসছে না।’
গত এক সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট। এছাড়া শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১৯, বাছাইকৃত ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ সূচক ২ এবং সিএমই সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। এক সপ্তাহের লেনদেনে চট্টগ্রামের সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ৩০৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১ এবং কমেছে ১৬৮। অপরিবর্তিত ছিল ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
বাজারের বেহাল দশা নিয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে প্রতিনিয়ত প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে। আরেকটা গোষ্ঠী গুজব ছড়িয়ে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। পান থেকে চুন খসলেই বাজারে বড় পতন হয়। এর প্রধান কারণ দুর্বল বাজার ব্যবস্থা।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের শীর্ষ এক ব্রোকারেজ হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘কমিশন সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করছে। গিনিপিগ বানিয়ে তারা বাজারে যেভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন, তাতে করে আগামীতেও বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচক কমলো দেড়শ' পয়েন্ট, দায়ী পাক-ভারত উত্তেজনা নাকি অন্যকিছু?
তবে আশাবাদ প্রকাশ করেছে বাজারে অর্থ যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, ‘শিগগিরই কমিশনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনায় বসবে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বাজার ঠিক করতে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’
এ বছরের মধ্যেই বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
২০৯ দিন আগে
ধস কাটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে বড় উত্থান
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আতঙ্কে বড় ধসের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৯ পয়েন্ট, যা গতদিনের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ২৬ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ শেয়ার ডিএস-৩০ বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট।
একদিনের লেনদেনে ডিএসইএসের উত্থান হয়েছে ২.৫০ শতাংশ এবং ডিএস-৩০ এর উত্থান ১.৫০ শতাংশ।
ঢাকার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭৭ কোম্পানির এবং দাম কমেছে ১০ কোম্পানির। ৭ কোম্পানির শেয়ারের দামে আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’— তিন ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে সবকটির।
ডিএসই ব্লক মার্কেটে ২৮ কোম্পানির ১২ কোটি ৮২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং লাভেলো সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
সারাদিনে ৩৬৬ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫১৬ কোটি টাকা। মূলত শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় লেনদেন কমেছে বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার বাজারে ৯.৮৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার এবং ৫.৯১ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মেঘনা কনডেন্স মিল্ক লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও বড় উত্থান
ঢাকার মতোই ভালো উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ১১৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ১৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৪৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ২১ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শেষ কার্যদিবসের শীর্ষ শেয়ার দেশবন্ধু পলিমার, ক্রাউন সিমেন্ট এবং এনআরবিসি ব্যাংক। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
২১০ দিন আগে
বড় পতনের পর উত্থান দিয়ে শুরু শেষ কার্যদিবসের লেনদেন
গত দিনের দেড়শ পয়েন্ট সূচকের পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে উত্থান দিয়ে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২৫ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ৩৬৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে সূচক কমলো দেড়শ' পয়েন্ট, দায়ী পাক-ভারত উত্তেজনা নাকি অন্যকিছু?
দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৫০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ৬৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৮০ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
২১১ দিন আগে
ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পতন যেন থামছেই না পুঁজিবাজারে
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
২৩২ দিন আগে
ঢাকার লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চললেও, পতনের আভাস চট্টগ্রামের বাজারে; কমেছে সার্বিক সূচক।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথমার্ধে বেড়েছে সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ২০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৯৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৬ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখে লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ২৭০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঢাকার সূচক বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট।
তবে সূচক কমলেও দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৩৪ কোম্পানির মধ্যে ৫৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৫১ কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সিএসইতে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
২৩৯ দিন আগে