জাতীয় নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিচার, সংস্কার ও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে অবাধ ও সুষ্ঠু স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। সরকার আন্তরিক হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব বলে অভিমত দেন তিনি।
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য যতটুকু যৌক্তিক সময় দরকার সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার দাবিও জানান জামায়াত সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে ফ্যাসিবাদ ফিরবে: হামিদুর রহমান আযাদ
পরওয়ার বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, নিরপেক্ষভাবে স্থানীয় নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজরা জয়ী হতে পারবে না। তাই তারা আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। কিন্তু আমরা চাই, আগে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ স্থানীয় সরকার নির্বাচন হোক।’
বর্তমানে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে কোনো জনপ্রতিনিধি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় অবকাঠামো নির্মাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
এ ছাড়াও রিলিফ, ভিজিডি, কাবিখা ইত্যাদি প্রকল্পের জন্য জনগণ সাধারণত জনপ্রতিনিধিদের কাছে আসে। কিন্তু, তারা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশে হানাহানি, রক্তারক্তি রোধ করার জন্য ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের নামে মামলা করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে—নির্বাচনের আগেই জাতি তাদের বিচার দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: আগে স্থানীয়, সংস্কার শেষে পরে জাতীয় নির্বাচন: জামায়াত আমির
তিনি নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগে নির্বাচন কমিশনের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। তারপর অপরাধীদের বিচার করতে হবে। এরপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি। সবশেষে অর্ন্তবর্তী সরকারকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার কথা বলেন তিনি।
রাজবাড়ী জেলা জামায়াতের আরির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. দেলাওয়ার হোসেন ও অন্যান্য নেতারা।