যশোরে ঘরের ভেতর থেকে স্বরুপজান ওরফে সাথী (৩৩) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ৯টার দিকে মনিরামপুর থানার পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এদিকে এই ঘটনার পরপরই পলাতক রয়েছে স্বামী ও নিহতের সতীন।
নিহত সাথী উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মিন্টুর ধানের চাতালে কাজ করতেন সাথী। তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠলে মিন্টুকে বিয়ে করেন সাথী। কিন্তু বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ছিলেন মিন্টুর প্রথম স্ত্রী সুমা পারভীন। ফলে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলে আসছিল। এদিকে মিন্টুর চাতালের একটি ছোট ঘরে বসবাস করতেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাথী। রবিবার রাতের কোনো এক সময় কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ ফেলে রেখেছে। সকালে সতীনের মেয়ে ফাতেমা রক্তাক্ত অবস্থায় সাথীকে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাটি স্থানীয় মেম্বরকে জানান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী মিন্টু ও সতিন সুমা পারভীন মিলে সাথীকে হত্যার পর পালিয়ে গেছে বলে অনেকে জানান।
আরও পড়ুন: ২ কিশোরীকে কক্সবাজারে হোটেলে আটকে নির্যাতন, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মিন্টু ও তার অপর স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাদের আটকে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তাদের আটক করা গেলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানা যাবে বরেও জানান তিনি।